জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক নিম ফুলের মধুতে (Neem Phooler Madhu) ইতিমধ্যেই পর্ণা জানতে পেরে গেছে মৌমিতা আর অয়ন বাড়ির সমস্ত খবরাখবর দিচ্ছে ঈশাকে। ঈশার পিছু নিতে নিতে পর্ণা আর সৃজন পৌঁছায় থানায়। ওখানে গিয়ে তারা জানতে পারে রনির সঙ্গে দেখা করতে এসেছে ঈশা। পর্ণা আর সৃজন ভাবতে থাকে কি নিয়ে কথা বলতে পারে তারা। তারা বুঝতে পারে রুচিরার বাড়ি থেকে বেরোনোর খবর মৌমিতা দিয়েছিল ঈশাকে এবং ঈশাই পড়ে রনিকে সেই খবর হয়েছিল।
ইতিমধ্যেই রনির সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে আসে ঈশা। তারপর রনির গণ্ডাদের কাছে গিয়ে বলে দত্ত বাড়ির ওপর নজর রাখতে। তারা এসেছে কেন এসেছে সব খবর তাকে দিতে। এই বলে চলে যায় ঈশা। ঈশার যাওয়ার পর গণ্ডারা নিজেদের মধ্যেই কথা বলতে থাকে। তারা বলে যে “বস যে কেন এই মেয়েটাকে এত বিশ্বাস করে বুঝতে পারিনা। কত কিছুই তো করার চেষ্টা করলো মেয়েটা। গোডাউনে আগুন লাগল, মশলায় ভেজাল মিশিয়ে দোকান বন্ধ করলো কি লাভ হল তাকে।
গুন্ডাদের সমস্ত কথা শুনে নেয় পর্ণা আর সৃজন। সৃজন রাগের মাথায় ওদের মারতে যায় কিন্তু পর্ণা থামিয়ে দেয় তাকে। তারপর পর্ণা বলে এইসমস্ত কিছু করেছে ঈশা। কিন্তু তার মনে তরঙ্গ দত্তের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই তার। তাহলে কে এই তরঙ্গ দত্ত? পর্ণা যখন এই কথা ভাবছিল তখন সৃজন মনে মনে বলে সকলের চিন্তা আছে “তোমার শুধু আমার নেই। আমি কি এত তাই গুরুত্বহীন তোমার কাছে।”
ওদিকে তরঙ্গ দত্তকে ধরার জন্য বাড়িতে আসে রুচির সঙ্গে কথা বলে পর্ণা। তারা একসঙ্গে রুম সার্ভিসের নাম করে যায় তরঙ্গ দত্ত। তরঙ্গ মানা করে দেয় তাদের, তখন পর্ণা বলে একটা কাগজে লিখে দিতে কেন তাদের রুম সার্ভিস লাগবে না কারণ সেটা এখনকার নিয়ম বিরুদ্ধ। সেই কথা শুনে তরঙ্গ দত্ত আর কিছু বলে না আর পর্ণা আর রুচিরা পরিষ্কার করার নাম করে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে কিন্তু কিছুই পায়না তারা। অগত্যা বেরিয়ে আসতে হয় তাদের। বাইরে আসলে সৃজন তাদের জিজ্ঞাসা করে তারা কিছু পেল নাকি তখন পর্ণা বলে ওরা সব এমন করে গুছিয়ে রেখেছে যে কিছুই বাইরে থেকে পাওয়া যায়নি।
আরো পড়ুন: দর্শকরা আমাদের সম্পর্ককে এতটা ভালোবেসেছেন তাতে আমরা খুব খুশি! রোমান্টিক আড্ডায় গিনি-জিষ্ণু
তরঙ্গ দত্ত ওদিক বুঝে যায় পর্ণাদের ওদের ওপর সন্দেহ হয়েছে। মেয়েটি বলে যা করার তাড়াতাড়ি করতে যাতে কেউ কিছু জানতে না পারে। মেয়েটিকে তরঙ্গ বলে কিছু খেয়ে নিতে, মেয়েটিও তাকে বলে খেয়ে নিতে। ততক্ষনে স্প্রে নিয়ে ঘরে ঢোকে পিকলু আর জিনিয়া। তাদের তরঙ্গ বাধা দিলে সৃজন বলে এটা তাদের নিয়ম তাই সমস্যা হলে তারা চলে যেতে পারে। তখন বাধ্য হয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে তারা। স্প্রে করার নামে খোঁজাখুঁজি করে তারা একটা পরচুলা খুঁজে পায়। সে কথা পর্ণাকে বলতেই পর্ণা বুঝে যায় কিছু একটা ব্যাপার আছেই। তবে কি পর্ণা ধরতে পারবে তরঙ্গ দত্তের আসল উদ্দেশ্য? জানা যাবে আসন্ন পর্বে।