জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘জগদ্ধাত্রী’ (Jagaddhatri)। বর্তমানে সিরিয়ালের ধামাকাদার পর্ব চলছে। কোম্পানিতে কৌশিকীর (Kaushiki) জায়গা কে পাবে তাই নিয়ে চলছে মুখার্জি বাড়িতে বিবাদ। এদিকে জগদ্ধাত্রী আবার এক নতুন কেস হাতে নিয়েছে। কোম্পানি থেকে কৌশিকীকে সরানোর জন্য অনেকেই অনেক চেষ্টা করে চলেছে। আর তাই জগদ্ধাত্রীকে নিজের চেয়ার ছেড়ে দিতে চায় কৌশিকী। ধারাবাহিকের প্রথম প্রোমো দেখেই বাঙালি দর্শক জগদ্ধাত্রীর প্রেমে পড়ে গিয়েছিল।
চেনা ছকের বাইরে একেবারে অন্য ধারার গল্প নিয়ে শুরু হয়েছিল জ্যাস (Jyas)-স্বয়মভুর (Swayambhu) এক কেমেস্ট্রি। দ্বৈত চরিত্রে জগদ্ধাত্রী ছিল অনবদ্য। গৃহিনী থেকে স্পেশাল ক্রাইম ব্র্যাঞ্চ অফিসারের চরিত্রে দর্শকের মন জিতে নিয়েছেন পর্দার জ্যাস সান্যাল। কোম্পানির অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য একের পর এক ছক কষে চলেছে বৈদেহী, মেহেন্দি (Mehendi) ও উৎসব। এরমাঝেই স্বয়ম্ভুর মৃত্যুর প্লট এনে গল্পে ট্যুইস্ট আনেন লেখক। যদিও সম্প্রতি বাড়ির সকলকে চমকে দিয়ে স্বয়ম্ভু জগদ্ধাত্রীর সঙ্গে বাড়িতে ফেরে।
বৈদেহী বাইরে থেকে নিজেকে খুশি দেখালেও ভেতরে ভেতরে হাত মিলিয়েছে মেহেন্দির সঙ্গে। স্বয়ম্ভুকে মেরে উৎসবকে কোম্পানির অধিকার পাইয়ে দিতে নতুন ছক কষছে সে। মেহেন্দি আর উৎসব প্ল্যান করে চলেছে, কিভাবে কৌশিকী, জগদ্ধাত্রী ও স্বয়ম্ভুকে বাড়ি থেকে তাড়ানো যায়। যদিও জগদ্ধাত্রী আগেও তাদের সাবধান করেছে। তবে এবার তারা মোক্ষম চাল চালার প্রচেষ্টায় আছে। এরমাঝেই সমুদ্র সৈকতের জোড়া খুনের তল্লাশি চালাচ্ছে জগদ্ধাত্রী, সাথে রয়েছে স্বয়ম্ভু। আর সেই খোঁজ পেয়ে তুষারতীর্থ প্ল্যান করে জগদ্ধাত্রী ও স্বয়ম্ভুকে মেরে ফেলার।
ইতিমধ্যে তুষারতীর্থ আবার নিজের পার্টিতে ফিরেছে। এখন সে উঠেপড়ে লেগেছে নিজের ছেলেকে জেল থেকে বার করার জন্য। তাই এবার দিভিয়া কৌশিকীকে সাবধান করতে তার অফিসে আসে। দিভিয়া ফের তুষারতীর্থের সাথ নিয়েছে। সে বলে কৌশিকীর বাপেরবাড়ি ছাড়ার আগেই তুষারতীর্থ তাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেবে। যদিও কৌশিকী তার কথায় ভয় পায় না। অন্যদিকে দেখা যায়, সমুদ্র সৈকতে কেস সল্ভ করতে গিয়ে বারংবার স্বয়ম্ভু বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে।
বাড়ির সম্পত্তি থেকে সরাতে উৎসবও স্বয়ম্ভুকে মেরে ফেলার ফন্দি করে। ইতিমধ্যে স্বয়ম্ভু তার মায়ের খোঁজ পেয়েছে। আর সেই মা ফিরে আসতেই সকলের মনে ভয় ঢুকেছে যে রাজনাথ স্বয়ম্ভুকে সম্পত্তির ভাগ দেবে। জগদ্ধাত্রী তুষার তীর্থকে ফোনে বলে দিভিয়া আবার যাতায়াত শুরু করে দিয়েছে, সে খবর সে জানে। ‘সাপ আবার সাপুড়ের বীণে নাচতে শুরু করেছে!’ অন্যদিকে তুষারতীর্থ খানিকটা হুমকির সুরে জগদ্ধাত্রীকে তার ছেলের থেকে কেস তুলে নিতে বলে। জগদ্ধাত্রী তখন তার কথার গুরুত্ব না দিয়েই ফোন রেখে দেয়।