জগদ্ধাত্রী’ ধারাবাহিকে কোম্পানিতে কৌশিকীর জায়গা কে পাবে তাই নিয়ে চলছে মুখার্জি বাড়িতে বিবাদ। বৈদেহী এতদিন চেয়ে এসেছে যেকরে হোক উৎসব জায়গা পাক। কিন্তু কৌশিকী ইতিমধ্যে ভেবে রেখেছে অন্য কথা। সে চায় সঠিক উত্তরসূরি পাক এই অধিকার। আর তাই সে জগদ্ধাত্রীকে এই জন্য যোগ্য মনে করে। এদিকে কোম্পানির অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য একের পর এক ছক কষে যাচ্ছিল যাচ্ছিল বৈদেহী, মেহেন্দি ও উৎসব।
কালীচরণ বসকে আটকে রাখে তারা। কৌশিকীকে চ্যালেঞ্জ করে চন্দ্রনাথ, খুব কম সময়ের মধ্যেই মুখার্জিদের কোম্পানির সাফল্যকে ফিকে করে দেবে বলে দাবি করে। এমনকি দিব্যা আর চন্দ্রনাথ মুখার্জি হাত মিলিয়েছে তাও সামনে আসে। অন্যদিকে জগদ্ধাত্রী উৎসবকে জেলে ঢোকানোর সমস্ত পরিকল্পনা করে নেয়। তারপরই ধারাবাহিকে আসে এক চমকদার পর্ব। এতদিন স্বয়ম্ভুর সৎ মা হিসাবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে এসেছে বৈদেহী।
কোনোদিনও নিজের মায়ের ভালোবাসা পায়নি স্বয়ম্ভু। এবার রাজনাথ মুখার্জির কথায় নিজের ভুল স্বীকার করে নীল বৈদেহী। বৈদেহীর এরূপ হঠাৎ পরিবর্তন দেখে জগদ্ধাত্রী বিশ্বাস করতে পারে না। সে ভাবে, হয়তো বৈদেহী নতুন কোনও ফন্দি এঁটেছে। এদিকে বৈদেহীর কথায় উৎসবকে বাঁচানোর চেষ্টা করে স্বয়ম্ভু। তারপরই জগদ্ধাত্রীর জীবনে আসে নতুন আরেক বিপদ। গুলিবিদ্ধ হয় স্বয়ম্ভু। গুলিবিদ্ধ হয়ে স্বয়ম্ভু জগদ্ধাত্রীর কোলে লুটিয়ে পড়ে।
এরপরই সয়ম্ভুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একদিকে স্বয়ম্ভু হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে, অন্যদিকে জগদ্ধাত্রী তাকে খুঁজে চলেছে, যার জন্য এরূপ অবস্থা হয়েছে সয়ম্ভুর। তিন্নি সাহায্যে জগদ্ধাত্রী যখন মেন্ শুটারের কাছে পৌঁছয়, তখনই তার কাছে ফোন আসে যে স্বয়ম্ভু মারা গিয়েছে। জগদ্ধাত্রী এই দুর্দিনে মজা দেখতে হাসপাতালে আসে মেহেন্দি ও উৎসব। আর তাই এবার উৎসবকে সরাসরি গুলি করে মেরে দেওয়ার হুমকি দিল।
অন্যদিকে কৌশিকীর জায়গা দখল করে বসার জন্য বৈদেহী সহ সকল সদস্যের থেকে সই করিয়ে নেয় মেহেন্দি। উৎসবের সাথে প্ল্যান করে সমস্ত সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার প্ল্যান করেছিল মেহেন্দি। কিন্তু সেই প্ল্যানে জল ঢেলে দিল কৌশিকী। কোম্পানির যোগ্য উত্তরসুরী হিসাবে জগদ্ধাত্রীকে নিজের চেয়ারে বসলো কৌশিকী। সাথে মেহেন্দীকে অযোগ্য প্রমান করে কোম্পানি থেকে বের করে দিল। এরূপ কিছু ঘটনাই দেখা যাবে ধারাবাহিকের পরবর্তী পর্বগুলোতে। জগদ্ধাত্রীর জীবনে আসতে চলেছে এমনই কিছু নতুন মোড়!