প্রত্যেক সপ্তাহের টিআরপি তালিকায় নজর রাখলেই দেখা যায় বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় এই মুহূর্তে জনপ্রিয়তম ধারাবাহিক স্টার জলসার অনুরাগের ছোঁয়া। ভীষণ ভীষণভাবে দর্শকপ্রিয় এই ধারাবাহিকটি। উল্লেখ্য, একটানা ২৭ বার বেঙ্গল টপার হয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছে স্টার জলসার এই ধারাবাহিকটি।
উল্লেখ্য, যাঁরা নিয়মিতভাবে এই সিরিয়ালটির দেখেন তাঁরা জানেন, সূর্য-দীপার মধ্যে সম্পর্কের উন্নতির আজও হয়নি। যদিও ধারাবাহিকের আকর্ষণ বজায় রাখার জন্য নিত্যদিন নিয়ে আসা হচ্ছে একের পর এক চমক। দর্শকদের মনোরঞ্জনে কোনরকম খামতি রাখতে চায় না পরিচালক বা প্রযোজনা সংস্থা।
এই ধারাবাহিকের নায়ক-নায়িকা সূর্য-দীপার মধ্যেকার অবস্থান একই। তাঁদের মধ্যে অভিমান ব্যতীত আর অবশিষ্ট নেই কিছুই।
বার বার দীপার বিরুদ্ধে মিশকা সূর্যর মগজ ধোলাই করছে। আর টানা দীপাকে দোষী ভেবেই চলেছে সূর্য। নিত্যদিনই সে যাচ্ছেতাই ভাবে দীপাকে অপমান করে চলেছে সূর্য। একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না দর্শকদের একাংশ। উল্লেখ্য, এই সিরিয়ালটির নিয়মিত দর্শকরা জানেন এই সিরিয়ালের অন্যতম মূল আকর্ষণ হল সূর্য-দীপার দুই জমজ মেয়ে সোনা-রূপা।
সোনা বড় হয়েছে সূর্যর কাছে আর রূপা দীপার কাছে। বিভিন্ন সময়ের রূপা যে সূর্যর সন্তান তার প্রমাণ সূর্য পেলেও বারবার তা অস্বীকার করে গেছে সে বা দেখেও না দেখার ভান করেছে। অনুরাগের ছোঁয়ার আসন্ন সমস্ত পর্বে দেখা যাবে সূর্যের উপর অনুরাগ করে রূপাকে নিয়ে অনেক দূরে চলে গেছে দীপা। কষ্ট করে রূপাকে পড়াশোনা শেখায় সে। যদিও দীপার ইচ্ছা ছিল যে রূপাকে সূর্যের মতো বড় চিকিৎসক বানাবে। কিন্তু মিশকার মতো অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য জজ হয়ে ফিরে আসে রূপা।
১৪ বছর পর রূপা ফিরে আসতে তাঁর সঙ্গে দেখা হয় হিয়ার মেয়ে দিয়ার। রূপাকে দেখতে উকিল দিয়া জানায় কীভাবে মিশকা তার এবং তার মায়ের সঙ্গে অন্যায় অবিচার করেছে। এরপর রূপার বুদ্ধিতে দিয়া মিশকার বিরুদ্ধে কেস করে। সেই কেস কোর্টে উঠলে মিশকার সমস্ত অপরাধ প্রমাণিত হয়। নিজের ভুল বুঝতে পেরে হাত কামড়াতে থাকে সূর্য।মিশকাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় রূপা।যদিও মিশকা সূর্যকে বলতে থাকে সে তাকে ভালোবেসেই এইসব করেছে। কিন্তু সূর্য ঘেন্নায় মিশকাকে বলে তোর ভালোবাসা আমি চাইনি। তোর মতো মেয়ের সঙ্গে এমন ঘটনাই ঠিক।