জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক জগদ্ধাত্রীতে (Jagaddhatri) উপল মিত্রের কথা গ্রাহ্য না হওয়ার উৎসবকে বেল দিয়েছে আদালত। এই ধারাবাহিকে ইতিমধ্যেই চলে এসেছে নতুন চমক। দিব্যিয়া সেনের সঙ্গে কথা বলছে দেবুদাকে। সে দেবুদাকে বলে সে একটা সিনেমা বানাতে চলেছে যার নাম পুতুলের মৃত্যু। নাম শুনে কিছুই বুঝতে পারেনা দেবু দা। তিনি দিব্যিয়াকে আবার জিজ্ঞাসা করেন সে আসলে কি বলতে চাইছে। দিব্যিয়া সেন বলেন সেই সিনেমার গল্প লিখছে স্বয়ং অমরেশ চ্যাটার্জী। নামটা শুনেই অবাক হয়ে যায় দেবু দা। দিব্যিয়া বলে সেই সব খেলা সাজিয়ে ফেলেছে।
দিব্যিয়া বলেন যদিও আমি সমরেশ চট্টোপাধ্যায়কে কোনও সুযোগ দিইনি। সবই দিয়েছেন বিলাস বাবু। তারপরই বিলাস বাবুকে দিব্যিয়া বলে যা যা বলেছে সেরকম করতে। সমরেশ যেন প্রায় দিন শুটিংয়ে আসে। সেটা শুনেই নিজের কাজে লেগে পড়েন বিলাস বাবু। এদিকে দেবু দাকে দিব্যিয়া বলে সে একটা খেলা খেলছে, কর্পোরেট খেলা। যেটাতে আগের বার সে হেরে গেলেও এবার হারবে না। ওদিকে বাড়িতে দেখা যায় স্বয়ম্ভুর নামে ডাকতে ডাকতে চিৎকার শুরু করেছে উৎসব। সে স্বয়ম্ভুকে জিজ্ঞাসা করে তার মা কোথায় আছে।
সেটা শুনে স্বয়ম্ভু বলে সে এইসব নিয়ে কিছু জানে না কিন্তু স্বয়ম্ভুকে উৎসব বলে সেই তার মাকে কিডন্যাপ করেছে। এই বলেই স্বয়ম্ভুকে মারতে ওঠে উৎসব। কিন্তু তখনই তার হাত ধরে নেয় জগদ্ধাত্রী। সে উৎসবকে বলে এই ভুল না করতে। কারণ স্বয়ম্ভু তাকে একবার মারলে সে উঠে দাড়াতে পারবে না। তার সে উৎসবকে এও মনে করিয়ে দেয় যে সে বেলে বাইরে এসেছে। এখনও অনেকে কিছু বাকি আছে তার জীবনে হওয়ার। কথাটা শুনেই প্রতিবাদ করে মেহেন্দি। সে বলে জগদ্ধাত্রী আসে তারা সমস্ত কিছু কেড়ে নিয়েছে।
তখনই সেখানে চলে আসেন চন্দ্রবদন বলেন বৈদেহি মুখার্জীর শেয়ার কিভাবে জগদ্ধাত্রীর নামে গেল। কিন্তু জগদ্ধাত্রী তাকে বলে সে এই নিয়ে কিছুই জানে না। এই বলে তারা চলে যায়। এদিকে বিলাস বাবু ফোন করেন সমরেশকে। তিনি তাকে বলে তাকে জোর আসতে হবে। কিন্তু তার কথা শুনে সমরেশের সন্দেহ হয় তার ওপর। যদিও সেটা পরে বিলাস বাবু মিথ্যে বলে দেন। এদিকে সাধু দার ডিপার্টমেন্টে চলে যায় দিব্যা সেন। সেখানে গিয়ে সে সাধু দার সন্দেহ জ্যাস আর কৌশিকী মুখার্জীর দিকে ঘুরিয়ে দেয়।
আরো পড়ুন: তুখোড় অভিনয়েও সেরা নায়িকা হল না পর্ণা! জগদ্ধাত্রীর হাতে পুরস্কার উঠতেই ক্ষুব্ধ জি বাংলার দর্শকরা!
দিব্যা ভাবে এবারের খেলা সে জিতেই ছাড়বে। সাধু দাও একজনকে জানিয়ে দেয় জগদ্ধাত্রী আর কৌশিকীর ফোন ট্যাব করার জন্য। ওদিকে কাঁকন দেখে কৌশিকীর ফোন বাজছে। কৌশিকী ফোন ধরতেই দেখে বিজু গায়েন। সে কৌশিকীকে বলে সে তার কথা মতো বৈদেহি মুখার্জীকে সরিয়ে দিয়েছে। তখন সেই কথা শুনেই অবাক হয়ে যায় কৌশিকী। সে বলে কে বলছে কিন্তু বিজু বলে সে কৌশিকী তাকে টাকা দিয়েছে এইসব করার জন্য। কাঁকনকে ডাকতে আসে কৌশিকীর মুখ দেখে জগদ্ধাত্রী বুঝে যায় কিছু একটা হয়েছে। তাহলে কি মনে হয় আপনাদের দিব্যার এই জাল ছিঁড়ে কি নিজেকে আর কৌশিকীকে বাঁচাতে পারবে জগদ্ধাত্রী?