জি বাংলার (Zee Bangla) সবচেয়ে জনপ্রিয় ধারাবাহিক জগদ্ধাত্রী (Jagaddhatri) । বেশ কয়েকটি সপ্তাহে ধরে ধারাবাহিকটি রয়েছে টিআরপি তালিকার শীর্ষে। ধারাবাহিকটিতে ইতিমধ্যেই উৎসবকে জেলে ঢুকিয়ে দিয়েছে জগদ্ধাত্রী ওরফে জ্যাস সান্যাল। তার সঙ্গে দেখা করতে জেলে আসে রাজনাথ মুখার্জী। আসেই তিনি উৎসবের এই পরিস্থিতি দেখে কষ্ট পায়। তারপর তার কাছে গিয়ে বলেন “কি দরকার ছিল উৎসব এই সব করার? সবই তো ছিল তোমার কাছে। তাহলে কেন করতে গেলে বেশি লোভ।”
তখন রাজনাথ মুখার্জীকে দেখে নাটক করেছে শুরু করে উৎসব। কান্নায় ভেঙে পরে সে। বলে সে ভুল করেছে আর তার ভুলটা সে শুধরে নিতে চাই তাই রাজনাথ মুখার্জী যেন তাকে জেল থেকে ছাড়িয়ে আনে এবং তাকে তার ভুল শুধরানোর আর একটা সুযোগ দেয়। সে কথা শুনে রাজনাথ মুখার্জীও তার কথায় গলে যায় এবং বলেন তিনি তাকে আরও একটা সুযোগ দেবেন এবং তাকে জেল থেকে ছাড়িয়ে আনবেন।
তখনই সেখানে চলে আসে স্বয়ম্ভু। স্বয়ম্ভুকে দেখে রেগে যায় উৎসব আর রাজনাথ। তাকে জিজ্ঞাসা করে সে এখানে কেন এসেছে? তার উত্তরে স্বয়ম্ভু বলে সে উৎসবের সেলের দায়িত্বে আছে। তখন রাজনাথ মুখার্জী স্বয়ম্ভুকে বলেন সে তো সবসময় চেয়েছিল যে রাজনাথ যেন তাকে ছেলে বলে মেনে নেয়, তাহলে তিনি তাই করবেন। মেনে নেবেন তাকে ছেলে হিসেবে কিন্তু উৎসবকে তাকে জেল থেকে ছাড়াতে হবে। জেলে থাকাকালীন কথা বলতে দিতে হবে এবং ভালো খাওয়ার দিতে হবে এবং কোনও অযত্ন করা যাবে না।
সে কথা শুনে কি করবে স্বয়ম্ভু তাই ভাবতে থাকে। তখন উৎসব তাকে বলে স্বয়ম্ভুর জন্য সব হয়েছে তাই তাকে ক্ষমা না করতে কিন্তু উৎসবকে আশ্বস্ত করে চলে যায় রাজনাথ। স্বয়ম্ভুও উৎসবকে বলে অনেক পাওয়া করেছিলেন এবার দেখ কি হয়। ওদিকে বৈদেহী মুখার্জী ছেলের শোকে খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে কাঁদতে থাকে। সকলেই তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে কিন্তু তিনি কারুর কথা শোনে না। দেবুদা বলে তিনি কিছু চেষ্টা করতেও ভয় পাচ্ছেন যদি তাতে জ্যাস উৎসবের কোনও ক্ষতি করে। সেটা শুনে আরও কাঁদতে থাকে বৈদেহী।
তখন মেহেন্দি এসে তাকে বলে শক্ত হতে তাদের যে করেই হোক উৎসবকে ছাড়াতে হবে। সেই কথায় একটু শান্ত হোন তিনি। জগদ্ধাত্রী ফাইল দেখতে থাকে ঋষি রায়ের এবং ভাবতে থাকে তাকে কোথায় লুকিয়ে রাখা হয়েছে। রান্না ঘরে আওয়াজ শুনে বৈদেহী জিজ্ঞাসা করায় চন্দ্রবদন বলেন জগদ্ধাত্রী রান্না করছে সেটা শুনে রেগে যায় বৈদেহী তখন তিনি জগদ্ধাত্রীর কাছে গিয়ে তাকে বলেন উৎসবকে ছেড়ে দিতে জগদ্ধাত্রী তাকে মা বলে ডাকলে তিনি আরও রেগে যায়।
তবে সে বৈদেহীকে বলে দেয় যে উৎসব তার শাস্তি পাবেই। ওনার পরিস্থিতি দেখে জগদ্ধাত্রী বুঝে যায় বৈদেহী উৎসবের শোকে এইরকম হয়ে গেছেন। তাই কিছু না বলে চলে যায়। তাহলে কি মনে হয় আপনাদের উৎসবকে পিতৃপরিচয়ের জন্য উৎসবকে ছাড়াবে? কি করবে জ্যাস সান্যাল?