জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“আমার তরফ থেকে দিতিপ্রিয়ার সঙ্গে আর কোনও ছবিই আসবে না!”— সমালোচনায় ইতি টানলেন জীতু! ট্রোলের মুখে দিতিপ্রিয়ার কথা মাথায় রেখে, কঠিন সিদ্ধান্ত জীতুর!

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) এখন চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। বিশেষত, এই ধারাবাহিকে আর্য ও অপর্ণার চরিত্রে অভিনয় করা ‘জিতু কামাল’ (Jeetu Kamal) আর ‘দিতিপ্রিয়া রায়’কে (Ditipriya Roy) নিয়ে দর্শকদের উন্মাদনা তুঙ্গে। অনস্ক্রিনে তাঁদের রসায়ন এতটাই মুগ্ধকর যে বহু দর্শকের কাছে তাঁরা এখন ছোটপর্দার আদর্শ জুটি। ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা যত বাড়ছে, ততই সমাজ মাধ্যমেও তাঁদের নিয়ে আলোচনার ঢেউ উঠছে।

অভিনয় জগতের নিয়ম মেনেই অনস্ক্রিন জুটিদের ভক্তরা প্রায়শই অফস্ক্রিনেও জুটিতে দেখতে চান। ফলে যখনই কোনও অভিনেতা বা অভিনেত্রী একসঙ্গে ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি পোস্ট করেন, ভক্তরা তাতে আবেগে ভেসে যান। সম্প্রতি, জিতু কামাল তেমনই দিতিপ্রিয়ার সঙ্গে ধারাবাহিকের কিছু দৃশ্যের ছবি পোস্ট করেন তাঁর সমাজ মাধ্যমের পাতায়, যা রাতারাতি ভাইরাল হয়। এই ছবিগুলোর সঙ্গে দেওয়া ক্যাপশন ঘিরেও অনেকে বিভিন্ন ইঙ্গিত খুঁজে পান।

তবে সামাজিক মাধ্যমে জনপ্রিয়তা যত সহজে আসে, তার পাশাপাশি আসে কটাক্ষ আর সমালোচনার তীর। ঠিক তেমনটাই হয়েছে জিতু কামালের সঙ্গে। কিছু নেটিজেন ছবির ক্যাপশনকে ঘিরে অশালীন মন্তব্য করতে শুরু করেন। তারা অভিনেতার উদ্দেশ্যে কটাক্ষ ছুঁড়ে বলেন, তিনি নাকি বয়সের ফারাকে নজর না রেখে ভুল বার্তা ছড়াচ্ছেন এবং দিতিপ্রিয়াকে নিয়ে নোংরা ইঙ্গিত করছেন। জিতুর পোস্ট করা ছবির ক্যাপশন, দেখেই অনেকে তাঁর চরিত্র নিয়েও কুমন্তব্য করেন।

ওই ক্যাপশনে লেখা ছিল”এই বয়সের চাউনিতেই বুকে ঝড় উঠছে!” আর সেটাই মূলত সমালোচনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই পরিস্থিতিতে সংবেদনশীলতার পরিচয় দিয়ে অভিনেতা জিতু একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সহ-অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়ার কথা ভেবেই তিনি আর তাঁদের কোনও অফস্ক্রিন ছবি প্রকাশ্যে আনবেন না তিনি! তাঁর মতে, দিতিপ্রিয়া অনেক ছোট, তাই তাঁর যেন কোনওভাবে অস্বস্তি না হয়, সেটাই তাঁর প্রথম প্রাধান্য।

তবে এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। জিতু জানান, তাঁদের অফস্ক্রিনে বেশি কথাবার্তাও হয় না। দিতিপ্রিয়া সাধারণত নিজের ঘরেই সময় কাটাতে ভালোবাসেন এবং অভিনেতা নিজেও এখন তাঁদের মধ্যে আলাদা করে কোনও যোগাযোগ করতে ইতস্তত বোধ করছেন, যাতে সমালোচনার আর কোনও আগুন না ছড়ায়। সব মিলিয়ে, একজন সহঅভিনেত্রীকে সম্মান দিয়ে এবং কটাক্ষের মুখে আত্মসম্মান বজায় রেখে যে সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসাযোগ্য।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।
Titli Bhattacharya