জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ফুলকিতে (Phulki) রোহিত এবং ফুলকিকে আলাদা করার জন্য ভয়ংকর পরিকল্পনা করেছে শালিনী। সেই কারণেই ফুলকি সিদ্ধান্ত নেয় সে রোহিতের জীবন থেকে চলে যাবে সারা জীবনের জন্য। তার পরিকল্পনার অনুযায়ী ফুলকি চলে যায় ধানুদির কাছে। ধানু দিকে গিয়ে ফুলকি বলে সে রোহিতকে ডিভোর্স দিতে চায়। সেই কথা শুনে চমকে যায় ধানু। ভাবতে থাকে সে কি করে বিষয়টাকে এড়াবে।
কিন্তু ফুলকি তার সিদ্ধান্তে অনড়। ধানু ফুলকিকে বলে “ডিভোর্স দেওয়ার জন্য একটা কারণ লাগে, কি বলবে কোর্টে কারণ দাদা মারে তোমাকে, কিন্তু সেটা তো মিথ্যে। তখন ফুলকি বলে রোহিত তাকে বারবার কান মুলে দেয়। কিন্তু ধানু বলে সেটা কারণ হতে পারেনা। তখন তাকে ভাবতে বলে পুলকি চলে যায় স্টোরে। সেখানে ফুলকিকে সকলে জিজ্ঞাসা করে রোহিতের কথা। তখন ফুলকি বলে রোহিত, তমাল, পিয়াল পরে আসবে। ওদিকে ধানুও চলে আসে সেখানে।
ফুলকি তাকে জিজ্ঞাসা করে তারা ডিভোর্স তিনি করবে কিনা সেই কথার কোনও উত্তর ফুলকিকে দিতে পারেনা ধানু। ওদিকে বাড়িতে অরুণা, পারমিতা না লাবণ্য কথা বলতে থাকে রান্না ঘরে। অরুণা বলে শালিনীকে যে করেই হোক বার করতে হবে বাড়ি থেকে। সেই কথার সমর্থন করে লাবণ্য আর পারমিতা। সেইসময় সেখানে চলে আসে রোহিত খাওয়ার জন্য। তখন পারমিতা রোহিতকে খেতে দেয় এবং লাবণ্য আর পারমিতা রোহিতকে জিজ্ঞাসা করে তার আর শালিনীর মধ্যে কি কথা হয়েছে।
সেই কথার কোনও উত্তর দেয়না রোহিত। অরুণাও জানিয়ে দেয় শালিনীকে এই বাড়িতে থাকতে পারবে না। তিনি শালিনীর জন্য একটি বাড়ি দেখেছেন সে ওখানেই থাকবে। সেই কথার প্রতিবাদ করতে যায় রোহিত কিন্তু সেইসময় ঘরে চলে আসে ধানু। সে সকলকে জানায় দেয় ফুলকির রোহিতকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য তার কাছে গেছিল। সেটা শুনে সকলেই চমকে যায়। রোহিত রেগে বলে ওর মাথা খারাপ হয়ে গেছে।
তখনই চলে আসে ফুলকি। সে তখন রোহিত তাকে জানিয়ে দেয় সে ফুলকিকে ডিভোর্স দেবে না। সেই কথা শুনে সকলে চলে যায় জেঠুমনির কাছে এবং তাকে সবটা জানায়। সবটা শুনে জেঠুমনি হাসতে থাকে এবং বলে এবার ফুলকিই শালিনিকে রোহিতের জীবন থেকে বের করে দেবে। তখন জেঠুমনি ফুলকি ডাকে কিছু কথা বার জন্য। তবে কি পরিকল্পনা করবেন জেঠুমনি?