বর্তমানে বেঙ্গল টপার ধারাবাহিক জি বাংলার (Zee Bangla) ফুলকি (Phulki)। ধারাবাহিকে আসছে একের পর এক চমক। ইতিমধ্যেই লাবণ্য আর রুদ্রর চলে যাওয়ার পর মেয়ের কথা ভেবে খুব ভেঙে পড়েন বল্লভ রায় চৌধুরী। তিনি আফসোস করে বলেন “আজ আমার মেয়েটা এখানে থাকতে পারত তাহলে ভালো থাকত। কিন্তু ওর মায়ের জন্য আজ আবার ওকে ওই বাড়িতে ফিরে যেতে হল।” তখন ফুলকি তাকে আশ্বস্ত করে বলে সে সবসময় দিদি আর জামাইবাবুর ওপর নজর রাখবে। জামাইবাবু যদি আবার দিদির সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে তাহলে এবার জামাইবাবুকে সে নিজে শাস্তি দেবে।
অংশুও জেঠুমণি বলেন এবার রুদ্র লাবণ্যর কোন ক্ষতি করতে পারবে না। তখন জেঠুমণি বলেন তার মেয়ে হোস্টেলে থেকে লেখাপড়া করে বড় হতে চেয়েছিল কিন্তু তার স্ত্রী সেটা করতে দেয়নি। এখন তার মনে হচ্ছে তিনি একজন ব্যর্থ মানুষ। পারমিতা তখন রাজবল্লভ চৌধুরীকে বলে তারা লাবণ্যর কোনও ক্ষতি হতে সে দেবে না। ওদিকে রুদ্র আর রিকিয়া বারবার লাবুকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও কিন্তু এবার যেন কিছুতেই লাবণ্য তাদের সুযোগ দিচ্ছে না।
তখনই রুদ্রর বাড়িতে চলে আসে কাকিমা, পারমিতা, ফুলকি সহ সকলে। পারমিতা লাবণ্যকে জিজ্ঞাসা করে সে ভালো আছে কিনা। তখন সকলকে সামনে নাটক শুরু করে রুদ্র। সবাইকে দেখানোর জন্য সকলের সামনে নিজে খাওয়ার বেড়ে লাবণ্যকে খাওয়ার খাইয়ে দেয় রুদ্র। তারপর ফুলকিকে বলে “এখানে যা যা হয়েছে বাড়িতে বোলো তবে বেশি বোলো না তাহলে আবার রোহিত এসে আমার হাত ভেঙে দেবে।” তখন ফুলকিও মনে মনে ভাবে সে তাকে পাপের শাস্তি দেওয়াবে। এরপর ফুলকিরা চলে আসে বাড়িতে।
পরের দিন সকালে রুদ্র অফিসে গিয়ে চিৎকার করতে থাকে। কিন্তু শালিনী তাকে বলে এবার সবটা শান্ত হতে করতে হবে তাদের। তখনই চলে আসে রেবেকা। শালিনী তাকে বলে রোহিতকে বদনাম করার কাজ সে বন্ধ করল কেন। তখন রেবেকা সবটা বুঝিয়ে বললে শালিনীকে। শালিনী উত্তরে বলে ফুলকির আসন্ন ম্যাচের খবরের আড়ালে রোহিতের নামে আবার খারাপ লিখতে। তাতে রাজি হয়ে যায় রেবেকা। ওদিকে লাবুকে ফোন করে তার খোঁজ নেয় পারমিতা। সে লাবুকে বলে কিছু হলে তাদের জানাতে। তখন কাকিমনি ফুলকিকে বলেন রুদ্র কাল লাবুকে খাইয়ে দিয়েছে সেটা সবাইকে বলতে। তখন ফুলকি বলে খাইয়ে দিলে গায়ে হাত তোলা যায়না।
Table of Contents
আরও পড়ুন: অল্পদিনেই তিস্তার সংসার ছারখার! অপরাধ করে জেলে গিয়ে আ’ত্ম’হ’ত্যা করল ভিক্টর! অনুরাগে আসছে তুলকালাম করা পর্ব
তখন হৈমন্তী ফুলকিকে বলে নিজের কাজ করতে। নিজের ঘর সামলাতে, তার তো ডিভোর্স হতে চলেছে। তখনই নিচে এসে রোহিত। সে ফুলকিকে বলে তার ম্যাচ আছে তাই তাকে এবার খেলায় মন দিতে হবে। তখনই সেখানে চলে আসে শালিনী। ফুলকি আর সকলকে খবরের কাগজ দেখিয়ে বলে আবার রোহিতের নামে খারাপ লেখা হয়েছে কাগজে। ফুলকি এসব দেখে মনে মনে ভাবে “আমি জানি এইসবটা আপনি করেছেন শালিনী ম্যাডাম। আপনাকে শাস্তি পেতে হবে।” তখন ফুলকি বলে সে বক্সিংও করবে আর তার স্যারের দুর্নামও ঘোচাবে। তাহলে কি মনে হয় আপনাদের এবার কি পর্দা ফাঁস হবে শালিনীর?