শুরুটা ছিল আর পাঁচটা ধারাবাহিকের মতই। দেখানো হয়েছিল শাশুড়ি-বউমা কোন্দল। পারিবারিক ড্রামা। এমন কি, একটি পর্বে ছেলের ফুলশয্যার ঘরেই রাত্রিযাপন করেছিলেন মা। তবে কালের নিয়মে শাশুড়ি-বৌমা সম্পর্কের সমীকরণ বদলেছে। সম্প্রতি কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Katha) ধারাবাহিকে (Bengali Mega serial) জমে উঠেছে বউমা-শাশুড়ি রসায়ন। বৌমা শিমুল পাল্টে দিয়েছে দজ্জাল শাশুড়ির মন।
রুক্ষ স্বভাবের শাশুড়ি মধ্যে লুকিয়ে থাকা মিষ্টি স্বভাবের মানুষটিকে টেনে বের করে এনেছে বৌমা। এখন জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ সবটাই করে শাশুড়ি-বৌমা মিলে। শিমুল ও তাঁর শাশুড়ির এই মিল দেখানোর পর তরতর করে টিআরপি বেড়েছে এই ধারাবাহিকের। এই মুহূর্তে ধারাবাহিকটি নিয়েছে নয়া মোড়।
বিয়ে ভেঙেছে পরাগ আর শিমুলের। আইনত আলাদা হয়ে গেছে তারা। কিন্তু পুতুল আর মধুবালা এখনও মেনে নিতে পারছে না শিমুল আর তাদের আপন নয়। রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও, মানুষকে নিজের আপন করে নেওয়া যায়। এদিকে পরাগ আর প্রিয়াঙ্কা বিয়ের তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে।
আরো পড়ুন: জি বাংলার নতুন সিরিয়ালের জন্য নির্বাচিত হলেন জনপ্রিয় এই টেলি অভিনেতা! নাম শুনলে খুশি হবেন আপনিও
ছেলের বিয়েতে বিপাশাদের ডাকতে এলে তারা মধুবালাকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, তারা আর এই বিয়েতে যাবে না। শিমুলও কিছুতেই থাকবে না। মুখে না বললেও ও কষ্ট পাচ্ছে। বিয়ে নিয়ে সব মেয়েদেরই আবেগ থাকে। এসবের মধ্যে শিমুলকে টানলে ওর মনে কষ্ট হবে। এদিকে অনিচ্ছা সত্ত্বেও আশীর্বাদে যায় মধুবালা।
প্রিয়াঙ্কাকে বৌমা হিসেবে মেনে নিতে পারছে না মন থেকে। কারণ মধুবালা জানে প্রিয়াঙ্কা সংসার ভাঙতে পারে,সংসার করতে পারে না। কি করে যে পরাগ এই সিদ্ধান্ত নিল। একদিন না একদিন পরাগ নিজের ভুলটা বুঝবে। কিন্তু সেইদিন অনেক দেরি হয়ে যাবে। শিমুলের জায়গায় মধুবালাকে কিছুতেই বসাতে পারে না মধুবালা। এদিকে বিয়ে নিয়ে মেতে পরাগ আর প্রিয়াঙ্কা। কি হবে এরপর? মধুবালা কি প্রিয়াঙ্কাকে পরাগের স্ত্রী হিসেবে মেনে নেবে? শিমুল আর প্রিয়াঙ্কা কি পারবে এক ছাদের তলায় থাকতে? সবটাই ক্রমশ প্রকাশ্য।
View this post on Instagram