জি বাংলার (Zee Bangla) সুপারহিট মেগা জগদ্ধাত্রী (Jagadhatri) বর্তমানে টেলিভিশন পর্দার অন্যতম পুরোনো ধারাবাহিক। এই ধারাবাহিকটি দিনের পর দিন দর্শকদের মন জয় করে চলেছে এবং তাদের প্রিয় বিনোদনের একটি অংশ হয়ে উঠেছে। ধারাবাহিকের নতুন পর্বে আসছে দুর্দান্ত চমক, যা আগের থেকে আরো বেশি উত্তেজনা সৃষ্টি করছে। আজ, জি বাংলায় সম্প্রচারিত হবে ‘জগদ্ধাত্রী’-র বিশেষ এপিসোড (Special episode), যা দর্শকদের জন্য একটি বড় আকর্ষণ হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই এই বিশেষ পর্বের প্রোমো (Promo) প্রকাশ্যে এসেছে, যা দর্শকদের মধ্যে উৎসাহ বাড়িয়ে দিয়েছে।
জগদ্ধাত্রী আজকের পর্ব ১৪ই অক্টোবর (Jagaddhatri Today Episode 14th October)
ধারাবাহিকের শুরুতেই দেখা যায় জগদ্ধাত্রী দুর্গা মায়ের মায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে মায়ের হাতের নকল অস্ত্র খুলে আসল অস্ত্র লাগিয়ে দিয়েছে। তারপরেই পুরোহিতের ছদ্মবেশে নন্দী এবং চিরঞ্জিত এসে উপস্থিত হয়। এরপরেই জগদ্ধাত্রীর কাছে স্বয়ম্বুর ফোন আসে, সে জগধাত্রীর কাছে জানতে চায় জগদ্ধাত্রী অবাধ্য হওয়ার কারণ। জগদ্ধাত্রী জানায় সে কিছুই জানে না সে শুধুমাত্র মল্লিকা ম্যাডামকে বাঁচানোর জন্যই এই পদক্ষেপ নিয়েছে। স্বয়ম্ভ অনেক ভাবে জগদ্ধাত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করে তার সন্তানের যাতে ক্ষতি না হয় সেই কারণে জগদ্ধাত্রী যাতে বাড়ি ফিরে আসে। জগদ্ধাত্রী কোন কথা না শুনে ফোন কেটে দেয়।
এই দিকে জগদ্ধাত্রী দেবুদা চিরঞ্জিত নন্দী সকলের দেখতে পায় মা দুর্গার পায়ের ছাপ। তারা মনে মনে ভাবে মা দেবী দুর্গা তাহলে কি সত্যিই জাগ্রত হয়েছে? তাদের মনে প্রশ্ন ওঠে অসুরি শক্তির কাছে কি দেবী দুর্গা এবার পরাজিত হবেন? এইদিকে ঋতুরানী এসে উপস্থিত হয ঋতুরাজের কাছে, ঋতুরাজ তাকে জিজ্ঞাসা করে সে কি এই পা নিয়ে কোনভাবে প্ল্যানটাকে সাকসেস করতে পারবে ঋতুরানী তাকে চিন্তা করতে বারণ করে চলে যায়।
অন্যদিকে মল্লিকা ম্যাডামকে ফোন করে কৌশিকী। মল্লিকার কাছে কৌশিকী অনুমতি চেয়ে নেয় তার বাড়ির দুর্গা পুজোতে রিপোর্টার পাঠিয়ে লাইভ করার জন্য। মল্লিকা জানতে চায় কি কারনে কৌশিকী এটা করতে চাইছে। কৌশিকী জানায় সে গোপন সূত্র থেকে খবর পেয়েছে যে মল্লিকা কে মারার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, তাই কৌশিকী চারিধারে ক্যামেরা লাগিয়ে এবং রিপোর্টিং এর মাধ্যমে জিনিসটাকে কিভাবে আটকানো যায় সেই ব্যবস্থা করবে। সঙ্গে কৌশিকী মল্লিকাকে এও জানায়, জগধাত্রীর পেটে একটা টিউমার হয়েছে তার উপর জগদ্ধাত্রী প্রেগন্যান্ট যাতে কোনভাবে মল্লিকা তাকে কোনও রকম জোর না করে। কারণ কিছু হলে জগদ্ধাত্রীকে এবং তার বাচ্চাকে কোনভাবেই বাঁচানো যাবে না। যা শুনে অবাক হয় মল্লিকা।
আরও পড়ুন: আদি-আনন্দীর কাহিনীতে প্রতিশোধের আগুন! আদির এই প্রচেষ্টা কি সত্যি ব্যর্থ হবে?
এদিকে মল্লিকা এবং কৌশিকী প্ল্যান করতে থাকে কিভাবে এ বিপদতা আটকানো যায়। ঠিক এর পরেই দিবানা মুখার্জিকে ডাকতে এলে কৌশিকী দিবানাতকে জানায় সে এবার পাড়ার পূজায় যাবে না যাবে মল্লিকার বাড়ির পুজোতে সে কোনভাবেই জগদ্ধাত্রী কোনো ক্ষতি হতে দেবে না সে এবার নিজে মাঠে নেমে পড়বে।