অনস্ক্রিন আর অফস্ক্রিনের যে কতটা তফাৎ, যারা ওই কাজে থেকেছে একমাত্র তাঁরই বুঝতে পেরেছেন। তবে বিষয়টা সম্পর্কে অজানা কেউই নন। সবাই জানেন, যে কতটা খাটুনির পর, কতটা স্ট্রাগলের পর একটা চান্স পাওয়া যায়। আর অনেকসময় এই স্ট্রাগলের গল্পগুলো খোদ এক একটি সিনেমার প্লট হয়। যেমন একটি গল্প রয়েছে জি বাংলার (Zee Bangla) অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক “খেলনা বাড়ি” (Khelna Bari) এর মিতুল অর্থাৎ অভিনেত্রী আরত্রিকা মাইতির (Aratrika Maity)।
আসলে চান্স পাওয়া মানেই সব ঠিক হয়ে যাওয়া এমনটা নয়। ডারউইনের ওই কথাটা যেন প্রতি মুহূর্ত এখানে মনে করায়, স্ট্রাগল ফর এক্সিস্টেন্স। সবার সেরা সবার থেকে আলাদা অথচ সবার মতো হয়ে উঠতে হবে। তবেই না আলাদা করে ডাকা হবে তোমাকে। আর এখানেই জহুরীর অভাবে নেই। হীরে চিনে নিতে তাঁদের অসুবিধা হয় না।
যেমন করে চিনে নেওয়া হয়েছিল অভিনেত্রী আরত্রিকা মাইতিকে। রূপের দিক দিয়ে তিনি নাকি তথাকথিত সুন্দরী নন। আর অনেকেই মনে করেন, অভিনেত্রী হওয়ার জন্য এটিই যেন একমাত্র বৈশিষ্ট্য দরকার। কিন্তু সেটা যে নয়, এই ধারণাকে সুন্দর করে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী নিজেই। আর এই বুড়ো আঙ্গুল দেখানোর গল্পটা যেন সত্যিই এখটা সিনেমা।
মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হতে না হতেই পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর স্বপ্ন তাঁর প্রবল হয়ে ওঠে। ঝাড়গ্রামের একটি মধ্যবিত্ত বাড়ির মেয়ে। কলকাতায় গিয়ে অডিশন দেওয়া, থাকা একটা বিলাসবহুল স্বপ্ন। কিন্তু সেই পরিস্থিতিকেও জয় করেছেন তিনি।
করতেই হতো, মায়ের গয়না যে নিলামে চড়িয়ে দিয়ে এসেছিলেন কলকাতায়। কিন্তু কলকাতায় অডিশনে এসে তাঁর সঙ্গে থাকা আরও অডিশনের মেয়েদের দেখে তাঁর পায়ের তলার মাটি নড়ে গিয়েছিল। সবার কত স্টাইল, কত ঠাঁট। কিন্তু ওই যে জহুরীর অভাবও এখানে নেই। সেইদিন বাড়ি ফিরেই ডাক এসেছিল ধারাবাহিকের জন্য। আর তারপরই নিজেকে প্রমাণ করে যাচ্ছেন অভিনেত্রী আরত্রিকা। যদিও খেলনা বাড়ি তাঁর প্রথম ধারাবাহিক নয়। এর আগে “করুণাময়ী রানী রাসমণি” তে তিনদিনের জন্য শ্যুট করেছিলেন একটি ছোট্ট চরিত্রে।