Bangla Serial

৬ মাসের প্রেম থেকে ৩ দিনের ডিভোর্স! স্বামী স্নেহাশীষ চক্রবর্তীকে নিয়ে মুখ খুললেন ‘জগদ্ধাত্রী’র ননদ ‘কৌশিকী’ রূপসা চক্রবর্তী

তিনি টেলি পাড়ার অত্যন্ত পরিচিত মুখ। বাংলা টেলিভিশনের দুনিয়ায় তার জনপ্রিয়তা কিন্তু আকাশ ছোঁয়া। পজেটিভ চরিত্রে মনমুগ্ধকর অভিনয়ের জন্য অভিনেত্রী রূপসা চক্রবর্তী(Rupsha Chakraborty) কিন্তু বাঙালি দর্শকদের কাছে বিশেষ কদর‌ পান। অসংখ্য সফল ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন তিনি। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্লুজ প্রোডাকশন (Blues Production) হাউসের সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি।

স্নেহাশীষ চক্রবর্তীর প্রোডাকশন হাউজ ব্লুজ প্রোডাকশনের অন্যতম বড় স্তম্ভ রূপসা চক্রবর্তী। ‘টাপুর টুপুর’, ‘বেনে বউ’, ‘খোকাবাবু’, ‘জড়োয়ার ঝুমকো’, ‘তুমি রবে নীরবে’, ‘তা বলে কি প্রেম দেব না’, ‘ভালবাসা ডট কম’,‘রাখিবন্ধন’ একাধিক সফল ধারাবাহিক তার নামের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে।‌ এখন তিনি সবার ‘কৌশিকী মুখার্জি’।

স্নেহাশীষ চক্রবর্তীর সঙ্গে কী সম্পর্ক রূপসার?

উল্লেখ্য, তিনি সম্পর্কে জনপ্রিয় গল্পকার এবং প্রযোজক স্নেহাশীষ চক্রবর্তীর স্ত্রী। তবে অভিনয়ের ব্যাকগ্রাউন্ড ছোট থেকেই রয়েছে অভিনেত্রীর। রূপসা চক্রবর্তীর বাবা অলোক চট্টোপাধ্যায়ও কিন্তু নামী অভিনেতা। আর পরিবারে নাটক, অভিনয়, গানের পরিবেশ থাকায় গানের প্রতি বেশি ঝোঁক ছিল রূপসা চক্রবর্তীর। অসামান্য তাঁর গানের গলা।

কার কাছে গান শিখতেন অভিনেত্রী রূপসা চক্রবর্তী?

বর্তমানে স্বামী স্নেহাশীষ চক্রবর্তীর কাছে একসময় গানের তালিমও নিয়েছিলেন রূপসা চক্রবর্তী। অভিনেত্রী জানিয়েছেন প্রায় ৬ থেকে ৭ মাস তিনি গান শিখেছিলেন স্নেহাশীষ চক্রবর্তীর কাছে। আর এই গান শিখতে শিখতেই প্রেম এবং পরে বিয়ে। যদিও স্নেহাশীষ চক্রবর্তীর সঙ্গে বিয়ের পর প্রথম দিকে হাউসওয়াইফ থাকলেও পরে স্বামীর অনুপ্রেরণায় অভিনয় জগতে পা রাখেন রূপসা চক্রবর্তী।

উল্লেখ্য, আজ‌ও স্বামী স্নেহাশীষ চক্রবর্তীকে নিজের অভিনয়ের গুরু মানেন রূপসা। বর্তমানে জগদ্ধাত্রী ধারাবাহিকে কৌশিকীর চরিত্রেও অসামান্য অভিনয় করছেন তিনি। আর মিষ্টি চেহারার এই অভিনেত্রীর অভিনয়ে মজে বাঙালি। উল্লেখ্য, ব্লুজ প্রযোজনা সংস্থায় নতুন অভিনেতারা প্রথম প্রথম তাঁকে একটু সমীহ করে চললেও অচিরেই সবার বউমনি হয়ে ওঠেন রূপসা চক্রবর্তী। দাদার ব‌উ তাই তাকে ‘বৌদি’ বলে ডাকতেই অভ্যস্ত টলিপাড়া।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।