বাংলা টেলিভিশনে বিনোদনমূলক চ্যানেলগুলিতে এখন আসছে একের এর পর এক নতুন ধারাবাহিক। তার মধ্যেই অন্যতম হলো জি বাংলার ‘মন দিতে চাই’। যেখানে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘আয় তবে সহচরী’ খ্যাত বরফি অর্থাৎ অভিনেত্রী অরুনিমা হালদারকে এবং জি বাংলার ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ ধারাবাহিক খ্যাত অভিনেতা ঋত্বিক মুখার্জিকে।
প্রথম প্রমো সামনে আসার পরেই এই ধারাবাহিক নিয়ে বেশ উৎসাহী হতে দেখা গিয়েছিল দর্শকমহলকে। তার কারণ একটু অন্য ধরনের গল্প নিয়েই এসেছে এই ধারাবাহিক। কয়েকদিন হয়েছে টিভির পর্দায় সম্প্রচারিত হতে শুরু হয়েছে এই নতুন ধারাবাহিক। সোম থেকে শুক্র প্রতিদিন রাত্রি ১০.৩০ থেকে সম্প্রচার হয় ‘মন দিতে চাই’। আর কয়েকদিনেই বেশ ভালো সারা ফেলেছে এই ধারাবাহিক দর্শকদের মধ্যে।
এই ধারাবাহিকের গল্পে দেখা যাচ্ছে নায়ক সোমরাজ ব্যানার্জি কিছুতেই মনে করে না যে কোন মেয়ে একজন ছেলের সমকক্ষ হতে পারে। অর্থাৎ তার বিশ্বাস একজন ছেলে যা করতে পারে একজন মেয়ে সেই সব কাজ করতে পারে না। উল্টো দিকে নায়িকা তিতির সব ধরনের কাজ করে নিজের পরিবারের পাশে দাঁড়ায়। এই নিয়েই গল্প শুরু হয়েছে।
সম্প্রতি একটি নতুন প্রোমো সামনে এসেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে, তিতির রিকশা থেকে নামতে গিয়ে পেরেকে লেগে তার জামার হাতা ছিঁড়ে যায়। তখনই পাশে কিছু বাজে ছেলে দাঁড়িয়ে ছিল যারা তাকে আজেবাজে কথা বলতে শুরু করে। তারপর সোমরাজ এসে তার নিজের কোর্টটা তিতিরকে দেয় এবং ছেলেগুলোকে চুপ করায়। এবং সেইসাথে যখন তিতির তাকে ধন্যবাদ জানাতে যায় সে তিতিরকে বলে যে মেয়েরা রাস্তায় বেরোলে ছেলেদের প্রয়োজন পড়বেই। তারপরেই দেখা যায় যে সোমরাজকে যখন এক ডেলিভারি বয় তার জিনিসটা দেয় এবং বিল মেটাতে গিয়ে সে তার মানিব্যাগটা খুঁজে পায় না। তখন তিতির এসে তার মানিব্যাগটা দিয়ে বলে যে আপনার কোর্টের পকেটে ছিল। এছাড়া তাকে বলে যে জীবনে কখন কাকে প্রয়োজন পরবে কেউ বলতে পারেনা।
এই প্রমো সামনে আসার পরেই দর্শকদের একাংশ বেশ উৎসাহী হয়ে পড়েছে। তার কারণ তারা মনে করছে খুব তাড়াতাড়ি তিতির এবং সোমরাজ একে অপরকে টক্কর দেবে আর তখন ধারাবাহিকের পর্ব জমজমাট হবে।তবে পরবর্তী দিনে এই ধারাবাহিক ঠিক কতটা মানুষের মন জয় করতে পারে এবং এই জুটিকে মানুষ কতটা ভালোবাসা দেয় সেটাই দেখার।