বিয়ের পর থেকেই শিমুলের উপর অত্যাচার করে গেছে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। শাশুড়ি হোক কিংবা স্বামী, বাদ যায়নি কেউই। প্রতিবার নিজের জন্য লড়ে গিয়েছে শিমুল। একটা সময় পর হঠাৎ করেই বদলে যান শিমুলের শাশুড়ি মধুবালা। এই সংসারে যে বড় বৌমা শিমুল সকলের ভালো চায়, তা উপলব্ধি করেন তিনি।
কিন্তু সময়ে সময়ে পাল্টি খেতেও ছাড়েন না শিমুলের শাশুড়ি। সকলের অভিযোগের তীর যখন শিমূলের দিকে তখন সুযোগ বুঝে শিমুলকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করান তিনি। জি বাংলার ‘কার কাছে কই মনের কথা’ ধারাবাহিক সমাজের জীবন্ত চিত্র তুলে ধরেছে।
শিমুলের উপর প্রতিমুহূর্তে ঘটা সমস্ত অন্যায়, অপমান হল তারই প্রতিফলন। শিমুলের শত্রুপক্ষের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। বাড়িতে বিয়ে হয়ে আসার পর থেকেই নিজের রূপ দেখাতে শুরু করেছে প্রতীক্ষা। শিমুল-সহ পথের কাঁটাদের এক ঝটকায় সরিয়ে ফেলতে হবে তাঁকে। তবেই হাতে আসবে সম্পত্তির চাবিকাঠি।
এদিকে ডিভোর্সের পরেও বাড়িতে রয়ে গিয়েছে শিমুল। শুধু তাই নয় বাড়ির মেয়ের মতো পদে পদে নিজের অধিকার ফলাচ্ছে সে। পুতুলের মাস্টার হিসেবে সে বাড়িতে হাজির করেছে প্রতীক্ষার প্রাক্তনকে। তাই শিমুলকে জব্দ করতে মোক্ষম চাল চেলেছে পলাশ-প্রতীক্ষা। পরাগের বিয়ের দিন তাঁকে বিষ দেয় তাঁরা। যার জেরে জেলযাত্রা জোটে শিমুলের জীবনে।
এই সময় শিমুলের পাশে দাঁড়ানোর কথা ছিল তাঁর শাশুড়ি মধুবালা দেবীর। কিন্তু তা না করে পাল্টি খেলেন তিনি। শিমুলের নাকি চোখের বিষ ছিল তাঁর বড় ছেলে। আর তাই পরাগকে বিষ শিমুলই দিয়েছে বলে দোষারোপের আঙুল তোলেন মধুবালা দেবী। তাঁর এহেন অকৃতজ্ঞায় কার্যত রেগে আগুন দর্শক মহল।
এদিকে, শিমুলের অনুপস্থিতিতে বাড়িতে তান্ডব শুরু করেছে প্রতীক্ষা। কাকি শাশুড়িকে ঘরভাঙানি বলে অপমান করেছে সে। হুকুম জারি করেছে যে পুতুলের মাস্টার আর এই বাড়িতে পা রাখতে পারবে না।
অবশ্য পুতুল এই কথায় প্রতিবাদ করলে তেড়ে যায় প্রতীক্ষা। পুতুলের গায়ে হাত তোলে সে। পুতুলের কপাল লাগে টেবিলের কোনায়। যন্ত্রণায় কুঁকড়ে ওঠে পুতুল। মধুবালা দেবী এবার চিৎকার করে ওঠেন। প্রতীক্ষা কিভাবে পুতুলের গায়ে হাত তোলার সাহস পায়! উত্তরে হাসে প্রতীক্ষা। অবশেষে পাল্টিবাজ মধুবালা দেবী বুঝতে পারে শিমুলকে গ্রেফতার করিয়ে কত বড় ভুল করেছেন তিনি।