জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

জেল থেকে ছাড়া পেয়েই সুমতি ফিরল চন্দনের! বিপাশার কাছে গিয়ে ক্ষমা চেয়ে প্রায়শ্চিত্ত করল মধুরিমা আর চন্দন! নতুন ষড়যন্ত্র নয়তো?

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Kotha) ধারাবাহিকে হতে চলেছে সময়ের পরিবর্তন এবং সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই মোড় ঘুরতে চলেছে বিপাশা আর শিমুলের জীবনেরই। ইতিমধ্যেই চন্দনের বিরোধে সমস্ত অভিযোগ তুলে নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়ার আর্জি জানায় বিপাশা। সেই কথা শুনেই পুলিশও নিয়ে আসে চন্দনকে। বিপাশা তাকে ছড়িয়েছে এটা শুনে প্রথমে অবাক হয়ে চন্দন।

চন্দন বিপাশাকে বলে “বিপাশা তুমি আমায় ছাড়াতে এসেছ আমি তো ভাবতেই পারছি না। তার মানে তুমি আমায় ক্ষমা করে দিচ্ছ?” চন্দনের প্রশ্নের উত্তরে বিপাশা বলে “আমি তোমার জন্য কিছুই করিনি। আমি যা করেছি তোমার মেয়ে, মানে বসুন্ধরার জন্য করেছি। ওইটুকু মেয়ে তার বাবাকে না পেয়ে কান্নাকাটি করছিল তাই তোমাকে ছাড়াতে এসেছি।” তখন পুলিশ অফিসার বিপাশাকে বলে “সত্যি ম্যাডাম আপনার মতো করে আজকাল কেউ ভাবে না। একটা বাচ্চার জন্য আপনি এরকম একজন মানুষকে ক্ষমা করে দিলেন।”

তারপরই ওখান থেকে চলে যায় বিপাশা। ওদিকে শিমুলের বাড়িতে চলে আসে বিপাশা, সুচরিতা আর শীর্ষা। তাদের দেখে শিমুল তাদের বলে খেতে বসতে মধুবালা দেবী লুচি করেছে। কিন্তু শীর্ষা বলে খাওয়ার তারা পরে খাবে। তারপর সে শিমুলকে জিজ্ঞাসা করে স্কুলে তার প্রথমদিন কেমন গেল? তখন শিমুল তাদের জানায় ভালোই ছিল, ছাত্ররা খুব সহযোগী। এটা শুনে পরাগ বলে এটা শুনে সে খুব খুশি হয়েছে। তখনই সুচরিতা শিমুলকে জানায় বিপাশা কেস তুলে নিয়েছে। এটা শুনেই খুব অখুশি হয় শিমুল।

জি বাংলা, বাংলা ধারাবাহিক, কার কাছে কই মনের কথা, Zee Bangla, Bengali Serial, Kar Kache Koi Moner Kotha

কিন্তু বিপাশাকে সবাইকে বুঝিয়ে বলে সে সবটাই বসুন্ধরার জন্য করেছে। আর সে ওই বাড়ি থেকে চলে যাবে। সেটা শুনে তাকে বাধা দেয় শিমুল। কিন্তু বিপাশা পরিষ্কার জানিয়ে দেয় সে ওই বাড়িতে কিছুতেই থাকবে না। তখনই পরাগ বিপাশাকে বলে তার থেকে টাকা ধার নিতে কিন্তু তাতেও রাজি নয় বিপাশা। তখন শিমুল বলে “এবার চন্দনদা আরও সমস্যা করবে.” কিন্তু বিপাশা স্পষ্ট জানিয়ে দেয় সে সবটা দেখে নেবে।

আরো পড়ুন: কার কাছে কই মনের কথায় বিরাট পরিবর্তন! সরে যাচ্ছে মূল নায়ক চরিত্র! পরিবর্তে কাকে দেখা যাবে এবার?

তারপরই ঘরে আসে বসুন্ধরাকে ঘুম পাড়িয়ে দেয় বিপাশা। তখনই বিপাশার ঘরে চলে আসে চন্দন, মধুরিমা আর চন্দনের মা। তারা বিপাশা বলে তাদের ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য। বিপাশা তাদের জানিয়ে দেয় সে এই বাড়ি থেকে চলে যাবে। কিন্তু তার পা ধরে ক্ষমা চায় চন্দন। চন্দন বলে সে ভুল করেছে। মধুরিমাও বিপাশাকে বলে সে জানতো না চন্দন বিবাহিত তাহলে সে এই ভুল কখনও করত না। তখন চন্দন বিপাশাকে বলে সে বিপাশাকে খুব ভালোবাসে। বিপাশাকে যেন এই বাড়ি ছেড়ে না যায় কিন্তু বিপাশা পরিষ্কার জানিয়ে দেয় সে আর এই বাড়িতে থাকবে না। তাহলে কি এবার চন্দনের থেকে আলাদা হয়ে যাবে বিপাশা?

Ruhi Roy

রুহি রায়, গণ মাধ্যম নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ। সাংবাদিকতার প্রতি টানে এই পেশায় আসা। বিনোদন ক্ষেত্রে লেখায় বিশেষ আগ্রহী। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

                 

You cannot copy content of this page