Bangla Serial

Icche Putul: গিনির হাত-পা বেঁধে বন্দি করল রূপ! বাঁচাতে নীল-ময়ূরীকে আনল মেঘ! এল ঝাকাস প্রোমো

এমন কিছু সিরিয়াল থাকে যা শুরু হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই দর্শকদের মনে ব্যাপক জায়গা দখল করে। শুধুমাত্র একটা সিরিয়ালের গল্প জনপ্রিয় হতে পারে না পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে চরিত্রগুলো এবং যারা সেই চরিত্রে অভিনয় করছে সেই অভিনেতা অভিনেত্রীরা। সবমিলিয়ে একটা গোটা প্যাকেজ দর্শকদের কাছে আকর্ষণীয় না হয়ে উঠলে সেই সিরিয়াল জমাটি হতে পারে না।

এই মুহূর্তে তেমনই এক জমজমাটি সিরিয়াল হয়ে উঠেছে জি বাংলার ইচ্ছে পুতুল (Icche Putul)। দুই বোনের সম্পর্ক নিয়ে গল্প শুরু হলেও এখন গল্পে একেবারে অন্যরকম একটা অধ্যায় চলে এসেছে। আর সেটা নিয়ে এবার জমজমাটি পর্ব আসছে একের পর এক। ছোট বোন মেঘকে পছন্দ করে নীল কিন্তু তার সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় বড় দিদি ময়ূরীর। অবশেষে বিয়ের মন্ডপে নীল মেঘের মাথায় সিঁদুর পরিয়ে দেয়। আর তারপর থেকেই প্রতিহিংসামূলক আচরণ করতে থাকে ময়ূরী। মেঘকে ইচ্ছা করে শ্বশুর বাড়িতে বারবার অপমানিত এবং অপদস্থ করতে থাকে তবে মেঘকে শ্বশুরবাড়িতে সবাই ভুল বোঝে। অবশেষে মেঘকে বাধ্য হয়ে ওই বাড়ি ছাড়তে হয়।

এরপর আসে গিনির বিয়ের পর্ব যেখানে এক লম্পট ছেলে রূপের পাল্লায় পড়ে সে। আর রূপ আগে মেঘাকে নিজের জালে ফাঁসানোর চেষ্টা করে এবং সেই বাড়িতে এসেও ময়ূরের সাহায্য নিয়ে মেঘের কাছাকাছি আসতে চায়। সদৃশ্য সবাই দেখে ফেলে এবং পরবর্তীকালে তা নিয়ে ব্যাপক তামাশা হয় সেই বাড়িতে। মেঘ হাজার বার মানা করা সত্ত্বেও শেষমেষ গিনির বিয়ে হয় রূপের সঙ্গে।

এবার শ্বশুরবাড়িতে আসার পর থেকে রূপের আচরণ ইতিমধ্য পাল্টে যেতে থাকে আর সেটা বুঝতে পারে গিনি। সে যেরকম ভাবে আগের রূপকে নিজের বয়ফ্রেন্ড হিসেবে চিনতো এখন স্বামী হিসেবে সম্পূর্ণ অন্যরকম লাগছে তাকে। সব সময় মদ্যপান করে থাকে আর এমন কী ভাত কাপড়ের থালা উল্টে ফেলে দিয়ে সে রীতিমতো গিনিকে চিনতে অস্বীকার পর্যন্ত করে।

আর এবার এল এক চূড়ান্ত প্রোমো। গিনির হাত-পা বেঁধে তার ঘরের মধ্যে বন্দি করে রেখেছে রূপ। মেঘ সেটা জানতে পেরে গিনিকে উদ্ধার করতে আসে এবং সেই সঙ্গে ডেকে পাঠায় নীল আর ময়ূরীকে। ময়ূরী যখন প্রশ্ন করে নীলকে যে আজ তাদের আশীর্বাদ আর সেটা বাদ দিয়ে কেন তাকে আনা হয়েছে তখন সে বলে দুজনকেই ডেকেছে মেঘ। এবার রূপের সমস্ত রূপ প্রকাশ পাবে তার ভায়রা নীলের সামনে। আর ময়ূরীকেও যে এবার জবাবদিহি করতে হবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।

Ratna Adhikary