ইচ্ছে পুতুল (Icche Putul) ধারাবাহিকের গত কিছু পর্বে দেখা যায়, গিনির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছে জিষ্ণু। বাড়ি থেকে চলছে তাদের বিয়ের কোথাও। এমন সময় গিনির অতীত সম্পর্ককে ভাবলেই গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে বাড়ির প্রত্যেকের সঙ্গে। তারা গিনিকে আরও একবার ভেবে দেখতে বলে এই বিষয়ে। সেই কথা শুনে গিনি বলে যে সে আগেরবার মেঘকে ভুল ভেবে ভুল করেছে। কিন্তু এখন তার মেঘের ওপর যথেষ্ট ভরসা রয়েছে। আর জিষ্ণু সম্পর্কে মেঘের যে ধারণা সেটা থেকেই সে এই সিদ্ধান্তটা নিয়েছে।
তার এই কথা শুনে তাদের বিয়ের জন্য রাজি হয়ে যায় গিনির বাড়ির প্রত্যেকে। কিন্তু গিনির মনে রূপের প্রতি যে ভয় জন্মেছিল সেই থেকেই সে মেঘকে ফোন করে। ফোন মেঘকে গিনি বলে সে ভয় পাচ্ছে। যদি রূপ তার কোনও ক্ষতি করে দেয়? তাহলে কি করবে সে। তার উত্তরে মেঘ বলে যে, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। মেঘ তার সঙ্গে আছেন এই কথায় খানিকটা হলেও নিশ্চিন্ত হয় গিনি।
অন্যদিকে দেখা যায়, কোর্টের সিদ্ধান্তে একেবারেই খুশি নয় মেঘ। নিজের ব্যাগ আঁকড়ে ধরে চোখে জল নিয়ে বিচারকের কথা মাথা পেতে নেয় সে। কোর্টের বাইরে এলে, নীল মেঘকে জানায়, যে তারা বন্ধু হয়ে তো থাকতেই পারে। আর প্রস্তাব দেয়, তার সঙ্গে কফি ডেটে যাওয়ার। সেই প্রস্তাবে রাজিও হয়ে যায় মেঘ। আর মেঘের সঙ্গে গিনির কথোপকথন শুনে ফেলে ময়ূরী। সে জেলে গিয়ে গিনির বিয়ের খবর রূপকে দিয়ে আসে।
আরও পড়ুনঃ নিম ফুলে ধুমতানানা পর্ব! রাস্তায় দত্ত বাড়ি! কৃষ্ণাকে দায়ী করে ডিভোর্স দিল বাবুউউর বাবা! বেশ হয়েছে বলছেন নেটিজেনরা
কোর্ট থেকে বাড়িতে ফিরলে, মেঘের আজকের অবস্থার জন্য মেঘের বাবা ও মেঘকে দায়ী করে মেঘের মা। সে ভীষণ ক্ষুব্ধ হয় তাদের এই সিদ্ধান্তে। এমন সময় মেঘের বাবা তাকে জানায় যে, সে মেঘের বিয়ে ঠিক করছে। পাত্র তার বন্ধুর ছেলে। এমন সময়, এই কথা শুনে মেঘ বেশ অবাক হয়। আর মনে মনে দুঃখ পায়। সে কোনওদিন তার বাবাকে জোড় করতে দেখিনি। আজ যখন মেঘের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাচ্ছে তার বাবা, সেটা সে কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না।
View this post on Instagram