জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক জগদ্ধাত্রী (Jagaddhatri)। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে শীর্ষে থাকার পর ধারাবাহিকটির টিআরপি সাময়িক কমলেও জনপ্রিয়তা হারায়নি ধারাবাহিকটি। ধারাবাহিকে ইতিমধ্যে দেখা গেছে সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছেন কৌশিকী মুখার্জী এবং জগদ্ধাত্রী। সম্প্রতি বেল পেয়ে মুখার্জী বাড়িতে ফিরে এসেছে উৎসব। আর ওদিকে বৈদেহি মুখার্জী হয়েছেন নিখোঁজ। জ্যাস সান্যালের শত চেষ্টা করার পরও হদিশ মিলছে না বৈদেহি মুখার্জীর।
ওদিকে সাধুদার অফিসে গিয়ে কৌশিকী আর জগদ্ধাত্রীর বিরুদ্ধে মামলা ঘুরিয়ে দিয়েছে দিব্যা সেন। সে বলেছে হতেই পারে জগদ্ধাত্রী আর কৌশিকী মিলেই লুকিয়ে রেখেছে বৈদেহি মুখার্জীকে তাই জগদ্ধাত্রী আর তাদের ডিপার্টমেন্ট কিছুতেই খুঁজে পাচ্ছে না বৈদেহি মুখার্জীকে। সবটা শুনেই সাধুদাও মনে সন্দেহ জাগে তাদের বিরুদ্ধে। যদিও তিনি কোথাও এটাই বিশ্বাস করেন যে জ্যাস এইসব করবে না।
কিন্তু ইতিমধ্যে দেখা গেলে কৌশিকী, জগদ্ধাত্রীর ফোনকে ট্যাব করেন সাধুদা। ওদিকে গুন্ডারা কৌশিকীকে ফোন করে বলেন তার কথা মতোই তারা আটকে রেখেছেন বৈদেহি মুখার্জীকে। এছাড়াও নানা ক্লু আসতে থাকে জগদ্ধাত্রী আর কৌশিকী মুখার্জীর বিরুদ্ধে। তখনই সেই বাড়িতে চলে আসেন মেহেন্দির মা। তিনি বাড়িতে এসে বলেন মেহেন্দিকে বঞ্চিত করা হচ্ছে সম্পত্তি থেকে, দায়িত্ব থেকে।
তখন কৌশিকীও বলেন সে অফিসের ভার মেহেন্দির কাঁধে দিতে পারে কিন্তু অফিসের সঙ্গে বাড়ির সমস্ত দায়িত্বও নিতে হবে মেহেন্দিকে। কৌশিকী চাল প্রথমে জগদ্ধাত্রী বুঝতে না পারলেও কৌশিকী তাকে ইশারা করলে সবটা পরিষ্কার হয়ে যায় জগদ্ধাত্রীর কাছেও। কৌশিকীর কথা শুনে রাজি হয়ে যায় মেহেন্দির মা। তারপর শুরু হয় মেহেন্দির দুঃসময়। বাড়ির এতগুলি মানুষের জন্য রান্না করতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যায় মেহেন্দি। বিশেষত সবজি কাটা সবটা করতে গিয়ে নাজেহাল মেহেন্দি আর সেটা দেখেই হেসে গড়িয়ে পড়ছেন দর্শকরা।
আরো পড়ুন: একসঙ্গে ঘুমটাই সবচেয়ে ভালো লাগছে! ওকে এখন অন্য কারর বৌদি লাগে! শ্রীময়ীকে নিয়ে অদ্ভুত মন্তব্য কাঞ্চনের
সম্প্রতি সেই নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা লিখে জানিয়েছেন “হাসতে হাসতেই এপিসোড শেষ হয়ে গেল। মেহেন্দি পরিবারের সকলের জন্য রান্না করবে আর বিছানা করবে রাতে। এঁচোড় কাটা দেখে হাসতে হাসতে শেষ। পড়েই গেল এঁচোড় কাটতে গিয়ে। কৌশিকী মুখার্জী আর জগদ্ধাত্রী কি অবস্থা করেছে মেহেন্দির।” আবার কিছু মানুষ এও বলেছেন “দারুন এপিসোড ছিল। সত্যি হাসিই থামছিল না মেহেন্দিকে দেখে, কৌশিকী যখন ইশারা করেছিল তখনই বুঝেছিলাম মেহেন্দির কপালে দুঃখ আছে তাই বলে এতটা সেটা বুঝিনি।” সারা সোশ্যাল মিডিয়ায় জুড়ে এই ধরণেরই কমেন্ট করছেন নেটিজেনরা। তাহলে এই বিষয়ে আপনাদের কি মনে হয়, মেহেন্দি শাস্তিটা ভালোই পেয়েছেন বলুন!