স্টার জলসার (Star Jalsha) বহুল চর্চিত ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chhowa)। দীপার জীবনযুদ্ধের কাহিনি অবলম্বনে তৈরি এই ধারাবাহিক। দীপার জীবনে শান্তি ক্ষণস্থায়ী। যখনই একটু ভাল থাকার সময় এসেছে, তখনই দীপার জীবনে ঘটেছে নতুন কোনো বিপদ। ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে বিয়ে হয়েও পারিবারিক সমস্যার কারণে ভাল থাকা হয়ে ওঠেনি।
আর অন্যদিকে মিশকা সেন তো আছেই। দীপা আর সূর্যের জীবনের অন্ধকারময় অস্তিত্ব। সূর্যকে এক তরফা ভালোবেসে এসেছে সে। তাই যে কোনো মতে সূর্যের স্ত্রী হতে চায় মিশকা। সূর্যের ছায়াসঙ্গী হয়ে থাকতে চায়। তাই দীপা সূর্যকে আলাদা করার যারপরনাই ষড়যন্ত্র করে এসেছে সে।
মিশকার ষড়যন্ত্র বাঁধ মানে না। সূর্যকে পাওয়ার আশায় ছোট্ট রূপাকেও গাড়ির ধাক্কা দিতে দু’বার ভাবেনি সে। যার জেরে মিশকার ১০ বছরের জেল হয়। তবে জেল থেকে ফেরার হওয়ার ইচ্ছে তার প্রথমদিন থেকে। তারপর অবশেষে আসে সেই সুবর্ণ সুযোগ। নারী দিবসের দিন জেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে ভিক্টরের সাহায্য নিয়ে পালিয়ে আসে মিশকা।
জেল থেকে বেরিয়ে মিশকার প্রথম লক্ষ্য সূর্য। সূর্য এখন পরিবার-পরিজনদের ছেড়ে থাকে একটি প্রত্যন্ত গ্রামে। সেই গ্রামের হেলথ সেন্টারে ডাক্তার হিসেবে জয়েন করেছে। মিশকা যেদিন জেল থেকে পালায়, সেদিন সে ইরাকে নিয়ে একটি জরুরি কাজে বেরিয়েছে। মাঝে রাস্তায় গাড়ির পিছনের সিট্ থেকে বেরিয়ে আসে মিশকা। তার হাতে বন্ধুক।
Table of Contents
আরো পড়ুন: রাই-শৌর্যের জুটি ভেঙে রাইয়ের সঙ্গে রসায়নে জমবে কতটা নতুন নায়কের? নিজের মুখে খোলসা করলেন সুমন দে
সূর্য জানে মিশকা কাণ্ড জ্ঞানহীন, বেপরোয়া একটি মেয়ে। তাকে বুদ্ধি দিয়ে বাগে আনতে হবে। এদিকে মিশকাও ধুরন্ধর। কিছুতেই ধরা দিতে চায় না। কিন্তু সূর্যকে যে করেই হোক ইরাকে বাঁচাতে হবে। সূর্যের প্রাণের ভয় নেই। কিন্তু মিশকা ইরাকে ছাড়বে না। ইরাকে বাঁচাতে গিয়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে সূর্য। আর তখনই ধাক্কা লেগে হাইওয়ের একটি চলন্ত গাড়ির সামনে পড়ে যায় মিশকা। সূর্য বা ইরা দুজনের কেউই আর পিছন ফিরে তাকায়নি।