বাংলা টেলিভিশনে এখন ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকে নিজেদের টিআরপি তালিকা স্থান ফিরে পাওয়ার জন্য একের পর এক পট পরিবর্তন করছে। কিন্তু এতদিন সেই পরিবর্তনে খুব একটা ফল দিতে দেখা যায়নি। তাই এবার একেবারেই ঘুরিয়ে ফেলেছে ধারাবাহিকের গল্প।
প্রসঙ্গত ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকের সম্প্রতি পর্বগুলিতে দেখা যাচ্ছে যে মিঠাই মারা গেছে এবং তারপরে বেশ কিছু বছর কেটে গেছে। মিঠাই এবং সিদ্ধার্থের ছেলে শাক্য আবার অনেকটা বড় হয়ে গেছে। তবে তার দুষ্টুমিতে নাজেহাল সিদ্ধার্থ। সিদ্ধার্থ মিঠাইকে যে কথা দিয়েছিল তাদের ছেলেকে সবকিছুতে বেস্ট করবে সেটারই চেষ্টা করে যাচ্ছে সবসময়।
আর সেই জন্যই সে শাক্যর সঙ্গে খুবই কঠোর। কিন্তু আবার বাড়ির অন্যদের ভালবাসা পেয়ে শাক্য খুবই দুষ্টু হয়েছে। উল্টোদিকে ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছে যে মিঠাইয়ের খুনিদেরকে খোঁজার জন্য সিদ্ধার্থ পুলিশ ফোর্সে জয়েন করেছে।
আর গল্পে এই টুইস্ট টা নিয়েই এখন সোশ্যাল মিডিয়াতে অন্য ধারাবাহিকের ভক্তরা মিঠাইকে ট্রল করছে। প্রসঙ্গত এর আগে সোশ্যাল মিডিয়াতে স্টার জলসার ধারাবাহিক ‘ধুলোকণা’কে নিয়ে নানা রকম কটাক্ষ করতে দেখা যেত মিঠাই ভক্তদের।
অনেকে বলতো, কখন ফুলঝুরি হঠাৎ করেই গান গাইতে শিখলো। আবার অনেককে বলতে দেখা যেত যে বাড়ির কাজের মেয়ে কি করে হঠাৎ করে গায়িকা হয়ে গেল! এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানারকম কটাক্ষ হত।
আর এবার হঠাৎ করেই সিদ্ধার্থের পুলিশ হওয়া নিয়ে ধুলোকণা’ ভক্তরাও :মিঠাই’কে কটাক্ষ করছে। তাদের মধ্যে একজন সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করে লিখেছেন, “ফুলঝুড়ি কখন গান শিখলো ?? ফুলঝুরি কিভাবে কাজের মেয়ে থেকে গায়িকা হয়ে গেল?? এইসব নিয়ে অনেক বকবক করত মিঠাই ফ্যানরা। যদিও এসবের জবাব লীনা দি গল্পেই দিয়ে দিয়েছেন।
কিন্তু তাদের সিড তো 30 বছর পার হয়ে যাওয়া একটি যুবক, সেই বেডায় কি করে মিঠাই মা*রা যাওয়ার কয়েক বছর প্রায় ৭-৮ বছর পরে পরীক্ষা দিয়ে পুলিশে ট্রেনিং নিয়ে পুলিশ হয়ে গেল ??
কর্পোরেট চাকুরী থেকে মিষ্টিওয়ালা থেকে রিকি রকস্টার থেকে আবার মিষ্টিওয়ালা থেকে পুলিশ অফিসার। মানব সভ্যতার ক্রম বিবর্তন যেন..”