প্রথমদিন থেকেই ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকের মিঠাই ছিল দর্শকদের কাছে খুব প্রিয়। মিষ্টি বিক্রেতা হিসাবে মিঠাই-এর মোদক পরিবারে এন্ট্রি নেওয়া থেকে বৌ হয়ে আসা- সব মিলিয়েই দর্শকদের কাছে বরাবরই মিঠাই পছন্দের। তার দুষ্টু-মিষ্টি কথা, ভাঙাচোরা ইংরেজি শব্দ- ধারাবাহিকের মিঠাই হয়ে উঠেছিল সকলের ঘরের মেয়ে।
মোদক পরিবারেরও আদরের মেয়ে ছিল মিঠাই। দাদু তাকে আরও ভালো মিষ্টি শেখার কথা বলে আর সিড তাকে শিক্ষিত করার কথা বলে। সিড নিজে তাকে শিক্ষিত করে তুলবে, এমন কথা বলেছিল। পাশাপাশি মিঠাই-এর স্বপ্ন ছিল একদিন তার নিজের বড় মিষ্টির দোকান হবে। কিন্তু সময়ের গতিতে ধারাবাহিকের গল্প এগোয়। ঝড়-ঝাপ্টা কাটিয়ে আবার খুশির আমেজ আসে, কিন্তু মিঠাই-এর পরিবর্তন লক্ষ করা যায় না।
দু-বছরের বেশি সময় ধরে চলছে ‘মিঠাই’। এমনকি মিঠাই-সিডের ছেলে শাক্যের জন্মের পর ছেলের স্কুলে ভর্তির সময়ও মিঠাই ইংরেজি না বলতে পারায় সমস্যায় পড়তে হয় শাক্যকে। সকলেই ভেবেছিল মিঠাই একদিন তার স্বপ্ন পূরণ করবে। কিন্তু তা হতে দেখা যায়নি। এরপরই মিঠাই-এর মৃত্যু হয়, আর তারপর নতুন করে মিঠাই সেই একইরূপে ফিরে আসে।
যেখানে দেখায় সে সকল স্মৃতি ভুলে একজনের বাড়িতে মিষ্টি তৈরী করছে। মিঠাইকে কাজে লাগিয়ে তারা মিষ্টির দোকান চালাচ্ছে। আর তা দেখেই বেশ অসন্তুষ্ট হয়েছে দর্শক। তাদের অনেকেরই বক্তব্য, মিঠাইকে সময়ের সাথে সাথে অল্প অল্প চেঞ্জ করানো উচিত ছিল। আর সাথে মিঠাইকে একটি মিষ্টির দোকানের মালকিন রূপে দেখাতে পারত লেখিকা।
একজন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে লেখেন, “দাদু বলেছিলো, ‘মিঠাই তুই পড়াশোনা শিখবি, আমি তোকে পড়াবো, যোগ্য করে তুলবো’। সিড মিঠাইকে হাতেখড়ি দিয়েছিলো। অথচ আজ পর্যন্ত এই চরিত্রটার গ্রোথ দেখালো না! যে যাই বলুক এই চাওয়াটা আমার থেকেই যাবে অসম্পূর্ণ হয়ে। রাখী ম্যাডাম তার নায়িকাদের গ্রোথ কেন দেখান না আমার মাথায় আসেনা! অথচ শুরুতে কত ডায়ালগ দেখালেন উনি! না হলো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভ আর না হলো মিঠাইয়ের স্বপ্নের দোকান। খুব করে চেয়েছিলাম ধীরে ধীরে মিঠাইয়ের গ্রোথটা দেখাক। কিন্তু ওই যা ছিলো তা-ই রেখে দিলো।”