জি বাংলার মিঠিঝোরা (Mithijhora new episode) ধারাবাহিকটি প্রথম থেকেই বেশ জনপ্রিয়। রাই, নীলু আর স্রোতের জীবনের নানা ওঠাপড়া নিয়ে এগোচ্ছে ধারাবাহিকের গল্প। জীবনের নানা টানাপড়েন ওঠা নামা সবটা নিয়েই পারিবারিক এই গল্প। সম্প্রতি, ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে, নীলু এখন বিপদমুক্ত।
উল্লেখ্য, অনির্বাণ তার মাকে স্পষ্ট করে দিয়েছে আর যাই হোক আর তাদের বিয়েটা হবেই।অনির্বাণের মা বারবার যাতে এই বিয়েটা ভেঙে দেওয়া হয় তা রাইয়ের মাকে বলছে। এর মাঝেই অনির্বাণ রাইয়ের মায়ের সাথে কথা বলতে চায়। তবে সেই দেখে রেগে যান অনির্বাণের মা। ফোনটা নিয়ে অনির্বাণের সাথে কথা বলে তবে মা ছেলের মধ্যে তর্কাতর্কি হয় বিয়ে নিয়ে। তবে অনির্বাণ স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে তারা হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরছে এবং বিয়েটা আজই হবে।
এদিকে খানিকটা সুস্থ বোধ করে নীলু। তবে সে মোটেও অনুতপ্ত নয়। নীলু বিরক্ত হয় তার এত কিছু করার পরেও বিয়েটা আটকাতে পারছে না। সেভাবে দিদিভাই হয়তো বদলে গেছে।হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে বিয়ে শুরু করতে বলার সময় এক নতুন বিপত্তি ঘটে। ঠাকুর মশাই বেঁকে বসে। তবে এও যে অনির্বাণের মায়ের কারসাজি সেটা বোঝা যাচ্ছে। এদিকে রাইদের বাড়ির তরফের পুরোহিত বলে যে বিয়ে হতে পারে তাতে কোন অসুবিধা নেই। অবশেষে তাদের বিয়ে শুরু হয়।
ধারাবাহিকের (Mithijhora) আগামী পর্বে দেখা যাচ্ছে, সমস্ত বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে অবশেষে বিয়ে হল রাই অনির্বাণের। রাইয়ের ইচ্ছাতে রাইয়ের মা বিয়েতে উপস্থিত ছিল। তবে রাইয়ের মা চাইছিলেন না এই বিয়েতে আর কোন সমস্যা হোক। যেহেতু মেয়ের বিয়ে মাকে দেখতে নেই, তাই তিনি বিয়ে থেকে দূরে ছিলেন তিনি। তবে ঠাকুর মশাই বলেন যে মা সম্প্রদান করতে পারবে। বাবা না থাকলে মায়ের সম্প্রদান করার রীতি রয়েছে।
এবার রাইয়ের শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পালা। যাওয়ার আগে মেয়ে জামাইকে আশীর্বাদ করছে রাইয়ের মা। বাড়ির সকলেরই চোখে মুখে কান্নার ছাপ। তবে মা মেয়ের ভালবাসার একটি দিক ফুটে উঠবে এই পর্বে। সবকিছু আগলে রেখেছিল রাই। সেটা ভালোই টের পাচ্ছেন রাইয়ের মা। এদিকে রাইয়ের মায়ের মনে অনির্বাণের বাবা-মায়ের ব্যবহার নিয়ে চিন্তা রয়েই গেছে। রাইকে সবকিছু মানিয়ে গুছিয়ে সুখের সংসার করার কথা বলে তারা। বোনের চলে যাবার সময় দরজায় এসে দাঁড়ায় দাদা। দাদার সাথেও যে বোনের একটা গভীর টান রয়েছে তা স্পষ্ট। মুখে রাগ দেখালেও অভিমান ভেঙে কাঁদতে শুরু করে। বাড়ির বড়ো মেয়ে আজ শ্বশুর বাড়ি যাচ্ছে, তবে কনকাঞ্জলি হবে না। সেই রীতি মানতে চাইনি রাই। রাই চেয়েছে তার যে ঋণ সে সারা জীবন ধরে শোধ করে যাবে।
আরো পড়ুন: মূক ও বধির চরিত্রে অভিনয় করে তাক লাগিয়েছে কাঁকন! তার অভিনয় কেমন লাগছে আপনাদের?
শ্বশুরবাড়ির পথে যাওয়ার সময়ও নীলুকে নিয়ে চিন্তিত রাই। মা কেন এমন মন্তব্য করল সেটা নিয়ে ভাবছে রাই। অনির্বাণ রাইকে খানিকটা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে। এদিকে সুস্থ হয়ে গেছে নীলু। আজই তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে । তবে কোনো বাড়ির লোক আসেনি, আগেই নার্সের থেকে জেনে নিয়েছে সে কথা। ডাক্তার ডিসচার্জ করে দিয়েছে। সে একাই বাড়িতে চলে যাবে সেই সিদ্ধান্ত জানায়। কিন্তু তারপরেই রাইকে বিদায় করে নীলুকে নিতে হাসপাতালে আসে মা, বৌদি, স্রোত। তবে নীলু বলতে থাকে যদি আমি সারা জীবনের জন্য চলে যেতাম তাহলে বোধহয় তোমাদের ভালো হত। তবে এখনও তার মনে মনে রাইয়ের প্রতি বিরক্তি রয়েছে। অনির্বাণের মা-বাবা এই বিয়েটাকে মোটেই ঠিক ভাবে নিচ্ছে না শ্বশুর বাড়িতে ঢুকতে গিয়ে কোন সমস্যার সম্মুখীন হবে রাই জানতে হলে দেখতে হবে মিঠিঝোরা ধারাবাহিকটি (Mithijhora)।