এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনে যে সিরিয়ালগুলো চলছে সব সিরিয়ালে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মিল দেখা গেলেও বেশ কিছু গল্প একেবারে নতুনত্ব নিয়ে এসেছে দর্শকদের জন্য। সব গল্পই নারীকেন্দ্রিক তবে বেশ কিছু গল্পে নারীর ক্ষমতায়ন এবং বর্তমান সমাজে নারীদের অবস্থান নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এবং কঠোর বার্তা যেমন দেওয়া হয়েছে তেমন অনেক সময় এইগুলি দিতে গিয়ে যে দৃশ্যগুলি তুলে ধরা হচ্ছে তা নিয়ে কটাক্ষ বা সমালোচনা কম হচ্ছে না। আরে কটাক্ষের কারণে মাঝে মাঝে নায়ক-নায়িকারা চরিত্রকে ছাপিয়ে গিয়ে ব্যক্তিগত আক্রোশের মুখেও পড়তে বাধ্য হচ্ছে।
বর্তমানে জি বাংলায় বিভিন্ন ধরনের গল্প যেগুলি চলছে তার মধ্যে বৈবাহিক ধ’র্ষণের মত কঠিন এবং লুকোনো সামাজিক রোগ উঠে এসেছে। আবার দেখা যাচ্ছে আধুনিক যুগের মেয়ে পর্ণা পুরনোপন্থী শ্বশুরবাড়িতে এসে সবাইকে পাল্টে দিতে এবং সবার সঙ্গে মানিয়ে নিতে চেষ্টা করছে। তবে এবার আবার এক নতুন গল্প আসছে।
এই গল্প হল তিন বোনের। ইতিমধ্যে দুই বোনের বিপরীত সম্পর্ক এবং একেবারে বলা যায় আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক নিয়ে ইচ্ছে পুতুল সম্প্রচারিত হচ্ছে। তবে তিন বোনের এই গল্প একেবারে অন্যরকম হবে এবং সেখানে শুরুতে হিংসার কোনও স্থান নেই এমনটাই অনুমান করা হচ্ছে। বরং পরিবারের জন্য নিজের ভালোবাসাকে ত্যাগ এবং নিজের বিয়ে ভেঙে দেওয়ার মতো আত্মবলিদান দেবে বড় দিদি। তবে নিজের হবু স্বামীর ভবিষ্যতের কথা ভেবে সে নিজেরই মেজো বোনের সঙ্গে তার বিয়ে দিতে চাইবে।
রাই আসছে তার দুই বোনের গল্প নিয়ে। সিরিয়ালের নাম “মিঠিঝোরা”। মুখ্য চরিত্রে রয়েছে আরাত্রিকা মাইতি, দেবাদ্রিতা বসু এবং স্বপ্নিলা চক্রবর্তী। নায়কের ভূমিকায় নবাগত সপ্তর্ষি রায়। ঘোষণা আগেই হয়ে গেছে তবে জি বাংলা এতদিন শুধু টিভির পর্দায় প্রোমো চালিয়ে গেছে তবে এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এলো সেই ঝলক।
View this post on Instagram
প্রোমোতে দেখা যায় বাড়িতে খুশির হাওয়া কারণ বড় মেয়ে রাইয়ের বিয়ের দিনক্ষণ পাকা করে এসেছে তার বাবা। এমনই খুশির মধ্যেই বাবা হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। মায়ের চিন্তায় বুক শুকিয়ে যাচ্ছে যে কি করে মেয়ের বিয়ে দেবে এবং পরিবার চালাবে। আবার তাদের এক ভাইও রয়েছে যে শা’রীরিকভাবে বিকলাঙ্গ। রাই হাল ধরবে। নিজের মেজো বোন অর্থাৎ অভিনেত্রী দেবাদ্রিতা বসুর যে চরিত্রটি তার সঙ্গে নিজের হবু স্বামী অর্থাৎ অভিনেতা সপ্তর্ষি রায়ের চরিত্রটির বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিল সে দুজনকে মুখোমুখি এনে। মেজো বোন প্রশ্ন করে ‘পরিবারের জন্য আর কত করবি বড়দি?’ দুজনের হাতের উপর হাত রেখে এক করে দিয়ে চোখের জল ফেলে পেছনদিকে না তাকিয়ে সামনের দিকে এবার এগিয়ে যাবে রাই।