বাংলা টেলিভিশনের দুনিয়ায় কিছু কিছু ধারাবাহিক হঠাৎই রাজত্ব করতে থাকে। আসলে দর্শকদের চোখে এই ধারাবাহিকের গল্প হিট হয়ে যায়। আর যার ফলে সেই ধারাবাহিক দর্শকের মন হোক বা টিআরপি তালিকা সর্বত্রই রাজত্ব করতে থাকে। আর এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের দুনিয়ায় রাজত্ব করছে ধারাবাহিক কার কাছে মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Kotha) । বলাই বাহুল্য, বাংলা টেলিভিশন প্রেমীরা এই মুহূর্তে এই ধারাবাহিকে মজে রয়েছেন। বাস্তবসম্মত গল্পের কারণেই এই মুহূর্তে এই ধারাবাহিকের এতটা জনপ্রিয়তা।
এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে বধূ নি’র্যা’ত’ন, নারীদের উপর অ’ত্যা’চা’র, নারী শো’ষ’ণ বিভিন্ন বিষয়কে তুলে ধরা হয়েছে। নারীকে শুধুমাত্র ভো’গ্য’প’ণ্য মনে করা একাধিক বিষয়কে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে। আর সেই কারণেই প্রাথমিক পর্বের সমস্ত বাধা-বিপত্তিকে উপেক্ষা করে এই মুহূর্তে বেঙ্গল টপার হয়ে উঠেছে কার কাছে কই মনের কথা। চলতি সপ্তাহেও প্রথম স্থানেই রয়েছে এই ধারাবাহিকটি।
সম্প্রতি এই ধারাবাহিকের মূল দুই নায়ক নায়িকা চরিত্র মানালি দে ও দ্রোণ মুখোপাধ্যায় একটি সাক্ষাৎকারে ভাগ করে নেন নিজেদের মনের কথা। সেখানেই ফুটে ওঠে তাদের অনস্ক্রিন অফস্ক্রিন বিভিন্ন ঘটনার কথা। দীপাবলি ও শুভ বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে মানালি বলেন প্রথম স্থান অর্জন করে তাদের ভালই লাগছে। তবে তার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বও বেড়ে গেছে। কারণ দর্শকরা ভালোবাসা দিচ্ছেন। তাদের প্রত্যাশা বেড়ে গেছে।
অভিনেত্রীর কথায় বেঙ্গল টপার হওয়া তাদের কাছে আশীর্বাদের মতো। যদিও অভিনেত্রী বলেন সবার ভালো অভিনয় এবং ভালো কাজের ফলেই এই প্রাপ্তি, এই সাফল্য। নিজের অন স্ক্রিন স্ত্রীর হ্যাঁতেই হ্যাঁ মেলালেন পর্দার পরাগ। বললেন এই প্রথমবারের মতো মানালির সঙ্গে কাজ করছেন অভিনেতা। এখানেই পরিচয়। এখন কিন্তু অফস্ক্রিণে খুব ভালো বন্ধু হয়ে উঠেছেন দুজনে। এই বিষয়ে অভিনেতা দ্রোণ মুখোপাধ্যায় বলেন, আসলে বন্ডিং তৈরি না হলে সেটা রিফলেক্ট করেনা পর্দায়। বিষয়টা ভীষণ কৃত্রিম হয়ে ওঠে।
দ্রোণ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন তিনি নাকি মানালির মনের কথা বুঝতে পারেন। অর্থাৎ নায়িকার যদি মুড অফ থাকে, বা কখনও কোন সিন করতে ভালো লাগছে না। সেই সময়ে নিজেরা চা খেয়ে, কথা বলে বিষয়টাকে হালকা করে নেন। অভিনেতার কথায় কার কাছে কই মনের কথার পুরো টিম একটা পরিবার হয়ে উঠেছে আর তাই দর্শকরা চরিত্রের সঙ্গে এত গভীরভাবে রিলেট করতে পারছেন।
তা পর্দার পরাগ, পলাশ বাস্তব জীবনে কি রকম? এই কথায় হাসতে হাসতে অভিনেত্রী মানালিতে বলেন অনস্ক্রিন আর অফ স্ক্রিনের মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। অফস্ক্রিনে পরাগ-পলাশের থেকে ভালো ছেলে হয় না! এই ধারাবাহিকের সেটে মেয়েদের একচ্ছত্র অধিপত্য। আমরা ভীষণ শয়তানি করি।
পর্দার স্বামী, দেওরকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়ে মানালি বলেন, এই সেটে শুধুমাত্র দুজন পুরুষ। বাকি সবাই মহিলা। ওরা পুরো কোণঠাসা হয়ে গেছে। আমরা মেয়েরাই বেশি বদমাইশি করি। ওরা খুব ভালো। ওদের মতো শান্ত, ভালো ছেলে হয় না। আর মানালির মুখে প্রশংসা শুনে হাসতে থাকেন দ্রোণ। অর্থাৎ পর্দায় যা দেখানো হয় তার সঙ্গে বাস্তবের বিস্তর পার্থক্য এটা বলতেই হয়।