Mithijhora Upcoming Episode: বর্তমানে জি বাংলার (Zee Bangla) যে সমস্ত ধারাবাহিকগুলো দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম ধারাবাহিক অর্গানিক স্টুডিওর মিঠিঝোরা (Mithijhora)। শুরুর থেকেই ধারাবাহিক কাহিনী মন জয় করে এসেছে দর্শকদের। রাই, নীলু আর স্রোত তিন বোনের কাহিনী পর্দায় দারুণ পছন্দ করেছিলেন দর্শকরা। ধারাবাহিকের শুরুতে দেখা যায় বাবা মা, দুই বোন দাদা বউদি, ভাইজি সকলকে নিয়ে ভরা সংসার ছিল রাইয়ের। হাসি আনন্দেরই বেশ কেটে যাচ্ছিল তার জীবন। কিন্তু হঠাৎ বাবার মৃত্যুর মোড় ঘুরিয়ে দেয় তার জীবনের।
সংসার এবং পরিবারের স্বার্থে নিজের ভালোবাসাকে জলাঞ্জলি দেখার সিদ্ধান্ত নেয় রাই। বাড়ির বড় মেয়ে হিসেবে সে ভেবেছিল বাবার মৃত্যুর পর পরিবারের হেল ধরে সকলের মুখে আবার হাসি ফোটাতে সক্ষম হবে সে। কিন্তু ঘটে যায় তার উল্টোটা। বদলে যায় সবকিছু। রাইকে দূরে ঠেলে দেয় মা আর দাদা। এমনকি যে বোনকে আনন্দে রাখার জন্য রাই নিজের ভালোবাসা মানুষকে দিয়ে দিল সেই বোনই রাইকে ভেবে নেয় নিজের চরম শত্রু।
পরিবারের সকলের শত লাঞ্ছনা শুনেও চুপ করে নিজের দায়িত্ব পালন করে চলে রাই। তারপর তার জীবনে নতুন মোড় নিয়ে আসে অনির্বাণ। রাইয়ের রৌদ্রতপ্ত জীবনে এক পশলা বৃষ্টির মতো একরাশ আনন্দের অনুভূতি নিয়ে আসে সে। পরিবারের সকলে জন্মদিন ভুলে গেলেও রাইয়ের জীবনের এই বিশেষ দিনে রাইয়ের একটি সারপ্রাইজ দেয় অনির্বাণ। একটি ক্যাফেতে রাইকে ডেকে কেক কাটে অনির্বাণ। আনন্দে আত্নহারা হয়ে পড়ে রাই।
মিঠিঝোরের বিশেষ চমক- মুখোমুখি শৌর্য্য আর অনির্বাণ (Mithijhora Upcoming Episode)
তবে সুখ খুব বেশি সময় সঙ্গ দেয়নি রাইয়ের। বাড়ির সামনে রাইকে অনির্বাণের সঙ্গে দেখে রেগে যায় শৌর্য্য। বাড়িতে ঢুকে রাইকে যা নয় তাই বলে অপমান করে শৌর্য্য। নীলুর প্রেগন্যান্সি থেকে শুরু করে সমস্ত মিথ্যে সকলের সামনে ফাঁস করে দেয় সে। এমনকি রাইকেও বলে অনির্বাণের থেকে দূরে থাকতে। যদিও রাইয়ের এইভাবে অপমান হতে দেখে নিজেকে আর সামলে রাখতে পারেনি অনির্বাণ। রেগে গিয়ে শৌর্য্যকেও দু চার কথা শুনিয়ে দেয় সে। এরপরই নিজের নিজের বাড়ি ফিরে যায় দুভাই।
আরও পড়ুনঃ গল্পে আসছে নতুন মোড়! ১৫ বছর এগিয়ে যাচ্ছে স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক! কোন ধারাবাহিক?
মিঠিঝোরা আগামী ধামাকা, শৌর্য্যর সঙ্গে নীলুর সম্পর্ক না অনির্বাণের ভালোবাসা কোনটা বেছে নেবে রাই?
পরেরদিন সকালে হতেই বেরিয়ে যায় অনির্বাণের অফিসের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যায় রাই। মনে মনে সে ভেবেই নেয় আজ তার অতীতের সব কথা অনির্বাণকে জানিয়ে দেবে সে। কিন্তু অফিসে ঢুকেই অনির্বাণের অন্যরূপ রেখে অবাক হয়ে যায় রাই। অনির্বাণ রাইকে বলে তার বন্ধু হতে। তিনি চান রাই সারাজীবনের মতো তার বন্ধু হয়ে থাকুক। অনির্বাণের কথা শুনে একপ্রকার চমকে যায় রাই। এরপরই অফিস থেকে বেরিয়ে শৌর্য্য সঙ্গে কথা বলে নীলুর ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে রাই। কিন্তু শৌর্য্য স্পষ্ট জানিয়ে দেয় নীলুকে বাড়িতে ফেরাতে চাইলে অনির্বাণের অফিস ছাড়তে হবে রাইকে। নাহলে সে কিছুতেই নীলুকে বাড়িতে ঢুকতে দেবে না। বোনের ভবিষ্যৎ নাকি নিজের ভালোবাসা কাকে বেছে নেবে রাই? আপনাদের কি মনে হয়?