বর্তমানে টিআরপি (Trp) তালিকায় সমস্ত ধারাবাহিকগুলি রাজ করছে সেই সবকটি ধারাবাহিকের রাজা হয়ে একেবারে শীর্ষে অবস্থান করছে জি বাংলার (Zee Bangla) নিম ফুলের মধু (Neem Phooler Modhu)। শুরু থেকে দর্শকদের মনে একটা পাকাপাকি জায়গা তৈরি করে চলেছে এই ধারাবাহিকটি। এই ধারাবাহিকের থেকে আকর্ষণীয় চরিত্রটি হল নায়িকা পর্ণা। যতদিন যাচ্ছে আরও বেশি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এই ধারাবাহিক।
বর্তমানে গল্প অনুযায়ী, পর্ণাকে সৃজন বলে, ‘তার মা কৃষ্ণা এই প্রতিযোগিতায় নাম দিতে চায় কিন্তু সে কোন সঙ্গী খুঁজে পাচ্ছে না। তাই পর্ণা যদি তার নাচের সঙ্গী হয় তাহলে তার মা প্রতিযোগিতায় নাম দিতে পারে’। পর্ণা এক কথায় রাজি হয়ে যায়। মৌমিতা আর সুইটি খুব ভালো করেই জানতো পর্ণাকে হারানো এত সহজ বিষয় নয়। তাই তারা পর্ণাকে বেঁধে রাখার চেষ্টা করেছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা সফল হতে পারেনি।

ধারাবাহিকের আজকের পর্ব দেখা যাবে, একে একে প্রত্যেকে নাচ করে সবার মন জয় করে নিচ্ছে। তারপর আসে মৌমিতা আর সুইটির পালা। তারা দুজন স্টেজে উঠতেই গোটা মঞ্চ অন্ধকার হয়ে যায়। এরপর শুরু হয় ভূতের নৃত্য। দুজন মিলে রীতিমতো ভয় পাইয়ে দেয় ওখানে উপস্থিত প্রত্যেক মানুষকে। নাচের ন টাও নেই। তাদের অঙ্গভঙ্গি দেখে তাদেরকে অসুস্থ বলে মনে হয় দর্শকদের। শেষ পর্যন্ত তাদের গায়ে টমেটো ছুড়ে মারে দর্শকরা।
এক ফ্রেমে আলোকপর্ণা ও কৃষ্ণা
এরপর মঞ্চে ওঠে কৃষ্ণা আর পর্ণা। দুজন মিলে এত সুন্দর একটা গান বেছে নেয় যে গানটা শুনে সেখানে উপস্থিত প্রত্যেকের নাচতে শুরু করে। তাদের মতন সুন্দর করে আর কেউ নাচতে পারেনি। তাদের যৌথ প্রদর্শনী দর্শক সহ বিচারকদের মন জয় করে নেয়। আর তারপর আসে প্রতিযোগিতার মধ্যে যারা বিজয়ী হয়েছে তাদের নাম ঘোষণার পালা। সব থেকে ভালো নাচ করার জন্য বিজয়ী হয় কৃষ্ণা আর পর্ণা।
আরও পড়ুন: ছক ভেঙে নতুন জীবনে পদার্পন মধুবনীর, গায়ে হলুদ থেকে সিঁদুরদান ভালোয় ভালোয় মিটলো সব! চার হাত এক হলো ঋক ও মধুবনীর
সোনার হার পেয়ে পর্ণাকে ভুলেই গেল কৃষ্ণা!
এরপর কৃষ্ণার হাতে তুলে দেওয়া হয় সোনার হাড় হীরের লকেট সোনার দুল আর ১৫ হাজার টাকা। এই সব কিছু পেয়ে ভীষণ খুশি হয়ে যায় কৃষ্ণা। বাড়ি ফিরতেই ঠাম্মিকে সব উপহার খুলে দেখায় পর্ণা। তবে হাত থেকে উপহার গুলো ঠাম্মির কাছে নিয়ে চলে যাওয়ায় কিছুক্ষণের জন্য যেনো হৃদস্পন্দন থেমে যায় কৃষ্ণার। আর সেই দেখে বোঝাই যায় এই উপহার গুলোর মধ্যে একটাও জুটবে না পর্ণার কপালে।