জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কে প্রথম কাছে এসেছি (Ke Prothom Kache Esechi)। সায়ক বসু (Sayan Bose) এবং মোহনা মাইতি (Mohona Maiti) অভিনীত এই ধারাবাহিকটি ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছে দর্শকদের। মিহির চরিত্রেও কামাল করেছেন খুদে অভিনেত্রী রাধিকা কর্মকার (Radhika Karmakar)। সিঙ্গেল মাদারের লড়াইয়ের গল্প নিয়ে তৈরি এই ধারাবাহিকটিতে বর্তমানে এসেছে এক নতুন চমক। অবশেষে সমস্ত ঝড় ঝাপটা পেরিয়ে সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলেছে মধুবনী আর ঋক।
তবে ঋক এবং মধুবনীর নতুন জীবনে আগুন লাগানোর জন্য নতুন পরিকল্পনা করে ফেলেছেন ঋকের মেজ মা কমলিনী সেনগুপ্ত। মিহি যে মধুবনীর মেয়ে সেকথা ঋকের ঠাম্মির কাছে গোপন রেখেছেন কমলিনী। কিন্তু কেন লুকিয়ে গেলো আসল সত্যি? সম্পত্তির জন্য! ঋক মধুবনীর মতো একজন মেয়েকে বিয়ে করছে জানলে ঋককে সম্পত্তি থেকে বেদখল করবেন সুরমা সেনগুপ্ত আর সেই পরিকল্পনাই করেছিলেন কমলিনী সেনগুপ্ত। তবে সমস্ত কিছুই হতে শুরু করে কমলিনীর পরিকল্পনা অনুযায়ী।

মিহিকে নিয়ে সাত পাকে ঘুরলো মধুবনী
ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছে, যথাসময়ে শুরু হয়েছে মধুবনী আর ঋকের বিয়ে। মধুবনী আর ঋকের বিয়ে হচ্ছে দেখে ভীষণ খুশি হয় মিহি। শুরু হয় শুভ দৃষ্টির অনুষ্ঠান। কনের সাজে মধুবনীকে দেখে ভীষণ খুশি হয় ঋক। মধুবনীর দিক থেকে চোখই যেন সরছিল না ঋকের। এদিকে মায়ের কাছে যাওয়ার জন্য বারবার করে চেষ্টা করতে থাকে মিহি। কিন্তু মিহিকে নিজের কাছে আটকে রাখে মিহির এলাচ দিদুন।
এদিকে সুপর্ণার সঙ্গে কথা বলে ঋকের দাদু জানতে পারেন মিহি সুপর্ণার মেয়ে নয়। তবে তখনই মধুবনীর কাছে যাওয়ার জন্য ছুটতে থাকে মিহি। তবে মিহিকে আটকে দেন সুরমা সেনগুপ্ত। তিনি মিহিকে বলেন, ‘বিয়ের সময় মাসীর কাছে যাওয়া যাবে না। তখন মিহি বলে সে মাম্মার কাছে যাবে মাম্মা মানে তার মায়ের কাছে’। মিহি তখন এও জানায় মধুবনী ঘোষ আসলে তার মা। কথাটা শুনেই বিয়ে থামিয়ে দেন ঋকের ঠাম্মি। সকলে মিলে প্রশ্ন করতে শুরু করে মধুবনীকে।
আরও পড়ুন: হায়রে ভালোবাসা! গোলমালের মধ্যে দীপার আসল সত্যিটা জেনে গেল সপ্তর্ষি স্যার! মন ভাঙলো স্যারের
কমলিনীর সত্যিটা সবাইকে জানিয়ে দিল কুশলতবে সমস্যার জটিলতা কাটানোর জন্য এগিয়ে আসে ঋক। সে জানায় সে ভেবেছে দাদু সবটা জানতেন। তখনই কুশল বলে ওঠে দাদু না জানলেও সবটা কমলিনী সেনগুপ্তর জানার কথা। তিনিই বারবার গেছেন মধুবনীর বাড়িতে। কুশলের কথা শুনে চমকে ওঠেন কমলিনী। নিজেকে বাঁচাতে তিনি বলেন তিনি সব জানতেন তবে ভেবেছিলেন বাকিরাও সবটা জানে। যদিও কমলিনীর চালাকি ধরে ফেলে কুশল। তবে কুশলকে পরিবারের দোহাই দিয়ে চুপ করিয়ে দেন কমলিনী। বড়দের মাঝে এত সমস্যা দেখে মিহি বলে, ‘এইসব সমস্যা কি শুধু তার জন্যই হচ্ছে! সে কি অযাচিত সন্তান!’ মিহির কথা শুনেই চমকে যায় মধুবনী ।