Bangla Serial

তিন্নির গায়ে হাত তুলল মৌমিতা! শুরু চুলোচুলি! উচিত শিক্ষা হয়েছে বলছেন নেটিজেনরা

বাংলা টেলিভিশনে এই মুহূর্তে বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক দর্শকদের মনে সমানে রাজত্ব করে চলেছে। জি বাংলা এবং স্টার জলসা মিলিয়ে এই ধারাবাহিকগুলি এই মুহূর্তে দর্শকদের অন্যতম প্রিয় বিনোদনের মাধ্যম। এর মধ্যে কিছু ধারাবাহিক জলসার এমন কিছু ধারাবাহিক জি বাংলার যা দর্শকদের পছন্দের।

জি বাংলার (Zee Bangla) পর্দায় চলা অন্যতম দর্শক প্রিয় ধারাবাহিক হচ্ছে নিম ফুলের মধু (Neem Phuler Modhu)। অভিনেতা রুবেল দাস ও অভিনেত্রী পল্লবী শর্মা অভিনীত এই ধারাবাহিকটি অতি অল্প সময়ের মধ্যেই দর্শকদের মনে রাজত্ব করা শুরু করে দিয়েছিল।বাস্তবধর্মী, অচলায়তন ভাঙার এই গল্প খুবই অল্প সময়ের মধ্যে দর্শকদের মনে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

তবে কোন‌ও ধারাবাহিকে নায়ক-নায়িকা যেমন থাকে তেমন খলনায়িকা ও খলনায়ক‌ও সমানভাবেই থাকে। আর নিম ফুলের মধু ধারাবাহিকে সেই খলনায়িকা হল নায়িকা পর্নার বড় জা মৌমিতার বোন তিন্নি। আসলে সৃজনের সঙ্গে তার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল কিন্তু ঠাম্মির ইচ্ছাতে পর্ণার সঙ্গে বিয়ে হয় সৃজনের। আর সেই রাগ থেকেই পর্ণা এবং সৃজনের জীবন ক্ষতবিক্ষত করতে তৎপর সে।

তিন্নির চক্রান্তে কলকাতায় সব জায়গায় চাকরি খুইয়ে গুজরাটে চাকরি নিয়ে চলে যাচ্ছিল সৃজন। আর সেই সময় সৃজনকে কলকাতায় আটকে রাখতে বেশ বড়সড় একটা রিস্ক নিয়ে নেয় পর্ণা। ‘নিউ জার্নি’ নামক একটি ভুয়ো শাড়ির সংস্থা খুলিয়ে সৃজনকে ৫০ হাজার টাকার মাইনে দিয়ে কলকাতায় আটকে রাখে।‌ আর নিজে ভোল বদলে হয়ে যায় কম্পানির মালিক। বিপাশা ব্যানার্জি।আর এর জন্য নিজের সমস্ত গয়নাগাটি বিক্রি করে দেয় পর্ণা।

পর্ণা সৃজনকে নিয়ে শুরু করে শাড়ির ব্যবসা। কিন্তু সেই কাজেও সৃজনকে বদনাম করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে ভিলেন তিন্নি। এমন কি পর্ণা-সৃজনের পিছনে গুন্ডাও লেলিয়ে দেয় তিন্নি। কিন্তু সব রকম বিপদ কাটিয়ে উঠেছে পর্ণা। দত্তবাড়িতে ফ্যাশন শো এর আয়োজন করেছে সে। না নামি দামি মডেল নিয়ে নয় বাড়ির মহিলারাই মডেল সেজে শাড়ির প্রচার করবেন।

আরও পড়ুনঃ ‘নীল তোকে ঘৃণা করে!’ মেঘের সঙ্গে নীলের বিচ্ছেদ পাকা করতে ময়ূরীর একের পর এক টোপ! কোন মোড় নিতে চলেছে এই সম্পর্ক?

আর এর জন্য বিভিন্ন নামী সংবাদমাধ্যমের তরফে সাংবাদিকরা এসেছেন। এসেছেন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। আর এরই মাঝে পর্ণাকে দুর্নাম করার চেষ্টা করে তিন্নি। পর্ণার শাড়িতে বিছুটি পাতার গুঁড়ো রগড়ে দিয়ে আসে সে। যদিও সেই শাড়িটি পরে তিন্নির দিদি মৌমিতা। আর ব্যাস শুরু চুলকানি। তিন্নিও দিদিকে শাড়িটা পড়ে থাকতে দেখে অবাক হয়ে যায়। যথারীতি সে দিদিকে সত্যি কথা বললে রাগত মৌমিতা নিজের জুতো ছুঁড়ে মারে তিন্নিকে। শুরু হয় দুই বোনে চুলোচুলি।

Ratna Adhikary