জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

‘নীল তোকে ঘৃণা করে!’ মেঘের সঙ্গে নীলের বিচ্ছেদ পাকা করতে ময়ূরীর একের পর এক টোপ! কোন মোড় নিতে চলেছে এই সম্পর্ক?

বর্তমানে ধারাবাহিক যেদিকে এগোচ্ছে, অনেকেরই মনে হচ্ছে হয়তো গল্পে আসতে চলেছে নতুন কোনও অধ্যায়। ‘ইচ্ছে পুতুল’ (Icche Putul)-এ মেঘ ও নীলের জীবনে আসতে চলেছে নতুন কোনও মোড়। ময়ূরীর চালাকিতে ফের মিথ্যা অপবাদে মেঘকে আবার শ্বশুরবাড়িতে অপমানিত হতে হয়। এবার গিনির বয়ফ্রেন্ড রূপের সঙ্গে মেঘের নাম জড়িয়ে মেঘকে বদনাম করে ময়ূরী। গিনিকে বাঁচাতে গিয়ে মেঘ আবারও শ্বশুরবাড়িতে সকলের কাছে খারাপ হয়ে গেল। এবার মেঘ একেবারেই নীলকে ডিভোর্স দিয়ে দিতে চায়, পাশাপাশি ময়ূরীর সঙ্গে বিয়েটাও মেঘ নীলের সঙ্গের করাতে চায়।

এবার চিরতরে শ্বশুরবাড়ি থেকে বিদায় নিল মেঘ। মেঘের বাপেরবাড়ির পাড়ার এক লম্ফোট ছেলের সঙ্গে নীলের বোন গিনির সম্পর্ক রয়েছে। মেঘ তার সম্পর্কে সব জানার ফলে সেই সম্পর্ক নিয়ে খুবই চিন্তিত। মেঘ চায়নি গিনি এই মিথ্যা সম্পর্কে থাকুক। তাই বারংবার মেঘ গিনিকে সাবধান করেছে। কিন্তু মেঘের কথা কেউই বিশ্বাস করেনি। উল্টে মেঘই দুশ্চরিত্র এমন অপবাদ দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে জি বাংলার ধারাবাহিক ‘ইচ্ছে পুতুল’।

শুরু হওয়ার সাথে সাথে বড় লিপ নেওয়ার কথাও উঠছিল বারংবার। ধারাবাহিকে দুই বোনের মধ্যে বড় বোন অসুস্থ এবং ছোট বোন নিজের জীবন স্যাক্রিফাইস করে দিদিকে বাঁচিয়ে রেখেছে। কিন্তু তারপরও বড় বোন ময়ূরী ছোট বোন মেঘকে পদে পদে বিপদে ফেলে। এমনকি তার নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তার সংসার ভাঙতে চেয়েছে বারংবার। শ্বশুরবাড়ির প্রায় সকলেই আবার ময়ূরীর উপর বিশ্বাস রাখে। নীলের বোন গিনিও মেঘকে একেবারেই সহ্য করে না। আর তাই স্বাভাবিক ভাবেই মেঘের কথায় পাত্তা দেয় না গিনি। এমনকি মেঘের চরিত্রের দিকেও আঙ্গুল তুলেছে নীল সহ শ্বশুরবাড়ির অনেকেই। আর তার জেরেই মেঘ এবার শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজের বাড়ি চলে এসেছে।

নীলের মুখোমুখি মেঘ

আমরা জানি, নীল যে কলেজের শিক্ষক সেই কলেজের ছাত্রী মেঘ। তাই স্বাভাবিকভাবেই কলেজে নীলের মুখোমুখি হয় মেঘ। মেঘ চুপ থাকলেও নীল একজন শিক্ষক হয়ে কলেজের সকল শিক্ষার্থীদের সামনে মেঘকে অস্বস্তিতে ফেলার চেষ্টা করে। নীল কলেজের সকল শিক্ষার্থীদের সামনে জানিয়ে দেয়, মেঘ আজ থেকে মেঘ রয় নয়, মেঘ গাঙ্গুলি। এরপরও থেমে থাকেনি নীল, ক্লাসের পরেও নীল মেঘকে অপমান করে, এমনকি কলেজ ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বলে। যদিও নীল মেঘকে দোষী করলেও মেঘের প্রতি ভালোবাসা যে একেবারেই নেই, তা নয়।

আরও পড়ুনঃ ছেলে কলকাতায় ফিরলে আমরাও তো একসঙ্গে বিছানায় শুই’! কার কাছে কই মনের কথা সিরিয়ালের বিতর্কিত ‘ফুলশয্যা’ কাণ্ড নিয়ে অকপট শিমুলের দজ্জাল শাশুড়ি

ময়ূরী ষড়যন্ত্র

নীলের বাবা যদিও মেঘকে খারাপ ভাবে না। তবে নীল ভাবে মেঘ নীলের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে এগুলো করেছে। অন্যদিকে, ময়ূরী মেঘকে বারংবার বোঝাতে চায়, নীল মেঘকে ঘৃণা করে। ময়ূরী চায় নীলের সঙ্গে যাতে মেঘের ডিভোর্স শীঘ্রই হয়, আর ময়ূরী যাতে নীলের স্ত্রী হয়ে রয় বাড়িতে প্রবেশ করতে পারে। তবে ময়ূরী ভয়ে আছে যে কলেজে ওদের মধ্যে যেন আবার ঠিক না হয়ে যায়। তাই হয়তো আবারও কিছুভাবে নীল ও মেঘের বিচ্ছেদ মজবুত করতে নতুন কোনও পরিকল্পনা করতে। তবে কি মেঘের সত্যতা সামনে আসবে না কখনোই? রূপের আসল চরিত্র সম্পর্কে কি গিনি আদোও জানতে পারবে? দর্শকদের মনে এখন বহু প্রশ্ন। এবার শুধু অপেক্ষায় কখন সকল সত্যি সামনে আসবে! আর তারপরই কোন মোড় নেবে মেঘ ও নীলের সম্পর্ক!

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।