এই মুহূর্তে জি বাংলার পর্দায় শুরু হয়েছে নতুন ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা। শুরুর পর থেকেই বেশ ভাল রকমের জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই ধারাবাহিকটি।তারকাবহুল এই ধারাবাহিকটি আবার বিতর্কের সম্মুখীনও হয়েছে এই অল্প সময়ের মধ্যেই।
লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের ছেলে অর্ক গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখনীতে এই ধারাবাহিকটিতে এমন বিভিন্ন ঘটনা দেখানো হচ্ছে যে তা দেখে দৃশ্যতই বিরক্ত বাঙালি দর্শক সমাজ। সম্প্রতি এই ধারাবাহিকের একটি দৃশ্য দেখানো হয়েছে ফুলশয্যার রাতে বউকে সরিয়ে সেই খাটে মা ছেলে একসঙ্গে শুয়েছে। আর যা দেখার পর থেকে বিতর্কের ঝড় বয়ে যাচ্ছে এই ধারাবাহিককে ঘিরে।
আসলে এই পর্বের মাধ্যমে দেখানো হচ্ছে যে শিমুলের শাশুড়ি তার ছেলের ফুলশয্যার রাত নষ্ট করতে এসেছেন। আর সেই দৃশ্য দেখাতে গিয়েই দেখানো হয় মা-ছেলে শুয়ে রয়েছে ফুলশয্যার ফুল ছড়ানো খাটে আর নতুন বউ শুয়ে রয়েছে পাশের সোফায়। যথারীতি এই দৃশ্য ভীষণভাবে দৃষ্টিকটু লেগেছে দর্শকদের। রীতিমতো বিতর্কের ঝড় উঠেছে সমাজ মাধ্যমে।
তা এই বিষয়ে মুখ খুলে কি বললেন অভিনেত্রী রীতা দত্ত চক্রবর্তী?
এই বিষয়ে শিমুলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল শিমুলের দজ্জাল শাশুড়ি রীতা দত্ত চক্রবর্তীর সঙ্গে। আর সেই বিষয়ে মন খুলে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘সমাজমাধ্যমে কী লেখা হচ্ছে সেটা আমি জানি না। কারণ আমি নিজে ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে একদমই সক্রিয় নই। ধারাবাহিকে যা দেখানো হয়েছে, সেটার সঙ্গে অবশ্যই শহুরে পরিবার অথবা শহুরে মায়েরা মিল পাবেন না। কিন্তু লেখক তো কিছু একটা ভেবেই এমন দৃশ্য লিখেছেন’।
বাস্তব জীবনে কি সত্যিকার অর্থে কী এই ধরনের ঘটনা ঘটে? এই বিষয়ে মুখ খুলে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, যারা ছেলের সঙ্গে মায়ের ফুলশয্যার মতো বিষয় নিয়ে কটূক্তি করছেন সেই ক্ষেত্রে আমি বলব এটা সম্পূর্ণভাবে বিকৃত মানসিকতার প্রতিফলন থেকে তারা বলছেন। শেষে অবশ্য যুক্তি দিয়ে অভিনেত্রী বলেন, আমার ছেলেও বাইরে থেকে কলকাতায় ফিরলে আমরা একসঙ্গে শুই। তা এবার কি বলবেন নেটিজেনরা?