Neem Phooler Modhu Today Episode: জি বাংলার ( Zee Bangla ) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘নিম ফুলের মধু’ ( Neem Phooler Madhu )। ধারাবাহিকের বর্তমান পর্বে চলছে টান টান উত্তেজনা। বর্তমানে খানিক টিআরপির পতন হয়েছে। ধারাবাহিকের নায়িকা আলোকপর্ণা পেশায় সাংবাদিক। প্রগতিশীল মানসিকতার পর্ণা কীভাবে রক্ষণশীল দত্তবাড়ির আদর্শ বৌমা হয়ে উঠবে।
নিম ফুলের মধু আজকের পর্ব ৭ই অক্টোবর ( Neem Phooler Madhu Today Episode 7th October)
এদিন ধারাবাহিক শুরুতেই দেখা যায় পর্নার জন্য বাড়িতে সকলে একটি সেলিব্রেশন করছে সৃজন পর্ণা কে বলে তার জন্যই আজ সৃজনের জীবনে এত খুশি পর্ণা ফিরে না এলে তার জীবন থেকে আনন্দই হারিয়ে যেত। সকলেই ভীষণ খুশি হয় ও নাচ গান করতে থাকে এমন সময়, পর্ণা পিকলুর কাছে গিয়ে বর্ষাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয় যা শুনতে পেয়ে যায় কৃষ্ণা। উল্লেখ্য, কৃষ্ণা মনে মনে ভাবে তার ছেলের জীবন নষ্ট করার পর পর্ণা এবার তার মেয়ের জীবন নষ্ট করতে চলেছে। তা কৃষ্ণা কোনভাবেই হতে দেবে না।
পর্না গিয়ে সৃজন এর কাছে পিকলুর সাথে বর্ষার বিয়ের প্রস্তাবটা দিলে সৃজন ভীষণ খুশি হয় কারণ সে তার বোনের সাথে অন্য কোনও রকম অন্যায় হতে দিতে রাজি না। ইতিমধ্যে এসে উপস্থিত হয় কৃষ্ণা সব শুনে রাগ করে ঘরে গিয়ে তার বন্ধু মিষ্টুকে ফোন করে তার ছেলের সাথে বর্ষার বিয়ের সম্বন্ধ করতে চাইলে, মিষ্টু ভাবতে বসে বর্ষা যে ডিভোর্সী। এইদিকে বর্ষা পিকলুর সাথে সারারাত ফোনে কথা বলে, সকাল হতেই পর্ণা তার শশুরের সঙ্গে বর্ষা এবং পিকলুর বিয়ের কথা বলতে আসলে, কৃষ্ণা বর্ষার হাতে কিছু শাড়ি গয়না তুলে দিয়ে তাকে রেডি হয়ে আসতে বলে কারণ তাকে দেখতে আজ পাত্রপক্ষ আসবে।
বর্ষার তাকে জানিয়ে দেয় সে বিয়ে করতে রাজি না কারণ তার কথায় বিয়ে করে সে এখন অবধি পস্তাচ্ছে তাই তার অন্য কোন পছন্দ করা পাত্র কে সে কোন ভাবেই বিয়ে করবে না যদি তাকে পর্ণা ফিরিয়ে না আনতো তাহলে কারো জীবন নষ্ট হতে পারত। সৃজনের বাবা তাকে বাধা দিতে চাইলে সে কোন কথা শোনে না এবং নিজে চলে আসে। ঠাম্মা তার এই উত্তেজনার কারণ জানতে চাইলে কৃষ্ণা তাকে সবকিছু খুলে জানায় এবং বাড়ির সকলে তাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে এরকম কাজ না করতে কারণ বর্ষা নিজেও এখন বিয়ে করতে চাইছে না তাকে বাড়ির কেউ আর বিয়ে দিতেও চাইছে না এই মুহূর্তে।
আরও পড়ুন: বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই বিচ্ছেদ? আদৃত-কৌশম্বীর সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে, গুঞ্জন টলিপাড়ায়
বাড়ির সকলে কৃষ্ণাকে ব্যাপারটা বললে কৃষ্ণা দাবি করে সে মেয়ের মা এবং সে তার মেয়ের জন্য যেই ডিসিশন নেবে সেটাই ঠিক। কিন্তু এবার বাড়ির সকলে বর্ষার কাছে তার পছন্দ সম্পর্কে জানতে চায় আর বর্ষা বিয়ে করার জন্য পিকলুরই নাম নেয় আর পিকলু রাজি হয় বর্ষাকে বিয়ে করতে। যা দেখে বাড়ির সকলে ভীষণ খুশি হয় কৃষ্ণা বাদে, কৃষ্ণা বাধা চাইলে পর্না জানিয়ে দেয় পিকলু আর বর্ষা যদি খুশি থাকতে পারে একসাথে। তাহলে কেউ তাদেরকে বাধা দিতে পারবে না।