জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কোন গোপনে মন ভেসেছে (Kon Gopone Mon Bheseche)। ধারাবাহিকের প্রথম ঝলক মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই ধারাবাহিকের কাহিনী নিয়ে বিশেষভাবে উৎসাহী ছিলেন দর্শকরা। তবে ধারাবাহিকটি শুরুর হওয়ার পর থেকেই প্রতি সপ্তাহেই নতুন নতুন চমকের কারণে বেড়েছে ধারাবাহিকের টিআরপি। সহজ, সরল শ্যামলীর জোড়া বাড়িতে প্রবেশ, তারপর অনিকেতের সঙ্গে তার বিয়ে, তিস্তার আগমন, অনিকেতের মনে শ্যামলীর জায়গা করে নেওয়া, তিস্তার অস্তিত সকলের সামনে চলে আসা, শ্যামলীর জোড়াবাড়ি ছেড়ে ডুয়ার্সে চলে আসা এবং সবচেয়ে মন্দারের শ্যামলীকে জোর করে বিয়ের চেষ্টা সব মিলিয়ে একের পর এক চমক এসেছে ধারাবাহিকে।
তবে সম্প্রতি ধারাবাহিকে নিয়ে বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন দর্শকরা। ধারাবাহিকের বেশ কয়েকটি জিনিস একেবারেই মনে ধরছেন না তাদের। এই নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করাও শুরু করছেন তারা। ধারাবাহিকের বেশ কয়েকটি বিষয়কে তুলে ধরে কয়েকজন এও দাবি করেছেন এই বিশেষ কারণগুলির জন্যই জন্যই নাকি প্রথম সারি নাম থাকার শর্তেও শীর্ষস্থানে পৌঁছতে পারছে না কোন গোপনে মন ভেসেছে। জানান কি কি বলেছেন নেটিজেনরা।
কোন গোপনে মন ভেসেছে (Kon Gopone Mon Bheseche) জুড়ে রয়েছে শ্যামলী, গুরুত্ব নেই অনিকেতের?
একজন নেটিজেন ধারাবাহিকে নিয়ে একটি পোস্ট করে জানিয়েছেন তার মতামত। লিখেছেন “ধারাবাহিক ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলছে শ্যামলীর নিজস্ব চারিত্রিক গুণাগুণ। ধারাবাহিকে শ্যামলীর চরিত্রটিকে শুরুর থেকে দেখানো হয়েছিল গ্রামের একটি সহজ, সরল, মধ্যবয়স্ক মেয়ে হিসেবে। অথচ ইদানিং তার আচরণ দেখে মনে হয় জোড়াবাড়ির সবচেয়ে জ্ঞানী ব্যক্তি সে। অথচ মুখে বলে সে নাকি রাস্তা ঘাট কিছুই চেনে না। ধারাবাহিক জুড়ে খালি থাকে শ্যামলী ব্যস।”
শ্যামলীর কেরামতের কাছে পাত্তা পায়নি কোন গোপনে মন ভেসেছের বাকি চরিত্রগুলো?
ধারাবাহিক নিয়ে এও মন্তব্য করা হয়েছে “বর্তমানে এই ধারাবাহিকের হিরো সবচেয়ে হ্যান্ডসাম অথচ ধারাবাহিকে তাকে সেরকম চাকচিক্যময়ভাবে সকলের সামনে তুলে ধরা হয়না। যেমনটা ফুলকির রোহিত বা কথার এভির ক্ষেত্রে হয়। এমনকি তার চরিত্রটাও কখনও গিয়ে শ্যামলীর কেরামতির সামনে ঢাকা পড়ে যাচ্ছে।”। না না এখানেই শেষ নয়, আরও বলেছেন তারা। নেটিজেনদের বক্তব্য এই ধারাবাহিকের বেশিরভাগ কলাকুশলীরা সকলেই খুব জনপ্রিয় মুখ। কোন ধারাবাহিকে এত জনপ্রিয় মুখ কম দেখা যায়। তবে তার শর্তেও বেশিরভাগ সকল চরিত্রেরই এই ধারাবাহিকে সেরকম বিশেষ কোন ভূমিকা নেই খালি শ্যামলীর একাই সব সামলায়। বাকিরা সকলেই মূল্যহীন।
আরও পড়ুনঃ ছেলেকে নিয়ে কি এমন সিদ্ধান্ত নিলেন অভিনেত্রী পুষ্পিতা?
কোন গোপনে মন ভেসেছে ধারাবাহিকে দেখা যায়না দাপুটে ভিলেন!
এমনকি “ধারাবাহিকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র অর্থাৎ খল চরিত্রগুলোকেও এই ধারাবাহিকে ভীষণ সাদামাটা দেখানো হয়েছে। অপলা মূলত অপরাজিতার কানে শ্যামলীর নামে বিষ ঢালে আর অরুণাভ আর তৃষা টাকা লুট করার চেষ্টা করে তাও এখন সেটাও করতে দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু ফুলকির রুদ্ররূপ সান্যাল তারপর জগদ্ধাত্রী ভিলেনদের কত জাঁকজমক করে দেখানো হয়। বাড়ির মাথায় দাদুদের ভূমিকা ধারাবাহিকে একেবারেই শূন্য। অথচ নিম ফুলের মধুতে হেমনলিনী তারপর কথাতে কর্তা দাদুর চরিত্রটি চরিত্রটি খুব প্রভাবশালী এবং স্ট্রং। কিন্তু এখানে একজন চলে গেলে আরেকজনও চলে যায়।” নেটিজেনদের মতে, ফুলকি, নিম ফুলের মধু, জগদ্ধাত্রীর মতো এই জুটিকে তেমন কোন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে দেখা যায়না আর সেই কারণেই ধারাবাহিকটি এখনও প্রথম তিন মধ্যে পৌঁছাতে পারেননি। আপনাদের কি মনে হয়, নেটিজেনদের মন্তব্যের সঙ্গে কি আপনারা এক মত?