Tollywood

Pushpita Mukherjee: আসক্ত ছেলেকে নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন পুষ্পিতা মুখার্জি! ‘প্রচুর সাফার করেছি, আর পারছিলাম না’ কষ্টের সুর অভিনেত্রীর গলায়

দীর্ঘ ত্রিশ বছরের অভিনয় কেরিয়ার তাঁর। টেলিভিশনের (Television) জনপ্রিয় মুখ অভিনেত্রী পুষ্পিতা মুখোপাধ্যায় (Pushpita Mukherjee)। বিগত কয়েক বছর ধরে ছেলেকে নিয়ে জেরবার হয়ে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। কারণ ওইটুকু ছেলের এই বয়স থেকেই আসক্তি।

টলিউড, জি বাংলা, রিয়ালিটি শো, দিদি নম্বর ১, রচনা ব্যানার্জী, পুষ্পিতা মুখার্জী, Tollywood, Zee Bengla, Reality Show, didi no 1, Rachana Banerjee, pushpita Mukherjee

হাজার চেষ্টা করেও ছেলেকে বাগে আনতে পারছিলেন না অভিনেত্রী। ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর মঞ্চে এসে কেঁদে ফেলেছিলেন পুষ্পিতা। এবার সেই ছেলেকে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। আর নিজেড় কাছে নয়, আসক্তি কাটাতে ছেলেকে সোজা পাঠিয়ে দিলেন দিল্লিতে। সেখানেই হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করবে সে।

আসক্ত ছেলেকে নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত পুষ্পিতা মুখার্জি’র (Pushpita Mukherjee)

পুষ্পিতার ছেলের ক্লাস নাইন। মোবাইল গেমে আসক্তি তাঁর। এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ”হয় ভালোর জন্যই হয়, প্রচুর সাফার করেছি। আর পারছিলাম না আমি। বাধ্য হয়েই দিল্লিতে পাঠালাম। যদি হোস্টেলে থেকে কিছুটা উন্নতি হয়।” অভিনেত্রীর স্বামী দিল্লিতে থাকেন। অর্থাৎ ছেলেটি একা আপাতত থাকছে না।

1670940388 pushpita 1

ছেলেকে ছেড়ে আগে এতদিন থাকেননি পুষ্পিতা। তাই কী একটুমন খারাপ? অভিনেত্রী বলেন, “প্রচুর সাফার করেছি। আর পারছিলাম না আমি। ওখানে ওর ভাল হবে। আগের থেকে ব্যাপারটা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে। এবারই গেল। দেখা যাক কী হয়! ওর অমতে কিন্তু কিছু করিনি। ওর কাছ থেকে হ্যাঁ শুনেই যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিয়েছি।”

আরও পড়ুনঃ অভিনেত্রী ঋ-এর বর্তমান অবস্থা দেখে কষ্ট হবে আপনারও

আপাতত দুই সপ্তাহ ছেলের গরমের ছুটি। মাসের দ্বিতীয় শনিবার টলিপাড়ায় ছুটি। দিন চারেকের সময় করে তাই দিল্লি উড়ে যাবেন তিনি। দিদি নম্বর ওয়ানে এসে অভিনেত্রী বলেন,“সব ট্রাই করেছি আমরা। পড়াশোনায় জিরো। কিচ্ছু করতে পারছি না। কিছুতেই পারছি না। এত ফোনের নেশা ওর।” অভিনেত্রীর আরও বলেন, “হাতে যদি একটু পাওয়ার থাকত তবে অনেক বাচ্চার জীবন সুন্দর হয়ে যেত। ওরা তো বুঝে নিজের ক্ষতিটা করছে না। ওরা নতুন জিনিস পেয়ে ভেসে গেল। আমি কিন্তু সবটা পুরো সময়টা ছেলেকে দিয়েছি। কিচ্ছু লাভ হয়নি।”

Joyee Chowdhury

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ-এ স্নাতকোত্তর। বিনোদন ও সংস্কৃতি বিভাগই মূল ক্ষেত্র। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।