Tollywood

Rii Sen: “মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছি…”, ঋ-এর গলায় বেদনার সুর, অভিনেত্রীর দুঃখের কথা শুনলে কেঁপে উঠবে আপনার বুক

Rii Sen: সিনে তারকাদের জীবন নিয়ে সমাজের সমস্ত মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। কিন্তু কোথাও গিয়ে আমাদের সবার জীবন এক সূত্রে গাঁথা। আমাদের মতো তাঁদের জীবনেও এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা ক্ষমার অযোগ্য। তেমনি একটি ঘটনা সম্প্রতি ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেন (Rii Sen)। অভিনেত্রী প্রধানত পরিচিত ‘ঋ’ নামেই। নিজের জীবন সম্পর্কে এতদিন পর মুখ খুললেন তিনি।

ক্ষমা করতে পারেননি অভিনেত্রী ঋ (Rii Sen)! ভাগ করলেন সেই ঘটনা

টলিউড সিনে ইন্ডাস্ট্রির পরিচিত মুখ অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেন। পরিচালক কৌশিক মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে একসময় সম্পর্কে ছিলেন অভিনেত্রী। সেই সম্পর্কে থাকাকালীন তাঁরা একে-অপরের আদুরে নাম দেন, ঋ এবং কিউ। দীর্ঘ অনেকদিন কিউয়ের প্রেমে ডুবে ছিলেন অভিনেত্রী। একসঙ্গেই থাকতেন দুজনে।

পরিচালক কৌশিক মুখোপাধ্যায় ওরফে ‘কিউয়ের’ পরিচালনায় ‘গান্ডু: দ্য লুজ়ার’ কিংবা ‘কসমিক সেক্স’-এ চূড়ান্ত নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করে চর্চিত হন অভিনেত্রী ঋ। দুজনের সম্পর্ক ক্রমে গড়ায় আরও ঘনিষ্ঠতায়। তবে সম্পর্ক শেষমেষ টেকেনি। টানা এগারো বছর লিভ-ইন করার পর সম্পর্কে ভাঙন ধরে। অভিনেত্রী বললেন, সেই ভাঙনের সময়েই প্রেমিকের থেকে চরম আঘাতটা পেয়েছিলেন তিনি।

আরো পড়ুন: টালমাটাল পরিস্থিতিতে বর্ষার বৈবাহিক জীবন: অর্ণব সোহিনীর সম্পর্কের কথা জেনে গেল বর্ষা, নিম ফুলের আজকের চমক

সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বললেন, কিউয়ের সঙ্গে যখন তাঁর ব্রেকআপ চলছিল, যখন তিনি টাইফয়েডে পড়েন। সে সময় একেবারে একা হয়ে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। কিউ কিন্তু একবারের জন্যেও তাঁর খোঁজ নিতে আসেননি। তাঁকে দেখতে আসেননি। শুধু তাই নয় তিনি, একবার জানতেও চাননি যে, তিনি বেঁচে আছেন না মরে গিয়েছেন। ঋ বললেন, “আমি হয়তো সেই সময় মরেই যেতে পারতাম।”

Rii Sen and Q

যন্ত্রণায় মোড়ানো গলায় অভিনেত্রী বললেন, তিনি শুনেছিলেন কিউ অন্য মহিলার সঙ্গে ব্যস্ত। সে কথা মনে পড়লে আজও চোখ ভিজে আসে ঋয়ের। তিনি বলেন, অভিনেত্রী কাঁদতে-কাঁদতে ভাবতেন, “একটা মানুষ কীভাবে এরকম করতে পারে।” ঋ এর আক্ষেপ, যে মানুষটাকে একটা সময় তিনি এতটা ভালোবেসেছিলেন, সেই মানুষটা একবারের জন্যও তাঁর খোঁজ নেবে না! তা সে নাই থাকুক তাঁরা একসঙ্গে।

Joyee Chowdhury

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ-এ স্নাতকোত্তর। বিনোদন ও সংস্কৃতি বিভাগই মূল ক্ষেত্র। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।