Bangla Serial

টিআরপি বাড়াতে একের পর এক বিতর্কিত দৃশ্য, সমাজ মাধ্যমেই নির্মাতাদের তুলোধোনা করলেন সিরিয়াল প্রেমীরা

বাংলা সিরিয়ালের প্লট নিয়ে বারংবার অভিযোগ তুলেছেন দর্শকরা। টিআরপি বাড়াতে একের পর এক বিতর্কিত দৃশ্য দেখানো হয়েছে ধারাবাহিক গুলিতে। যার জন্য সিরিয়াল বন্ধ করার দাবিও তোলেন দর্শকরা। বর্তমানে ধারাবাহিকগুলিতে প’র’কী’য়া দেখানো অত্যন্ত সাধারণ ব্যাপার। বি’বা’হ ব’হি’র্ভূ’ত সম্পর্ক থেকে একের বেশি সম্পর্ক। সমাজে এই সকল দৃশ্য কার্যতই প্রভাব ফেলছে বলে মনে করছেন দর্শকমহল।

সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় বাংলা সিরিয়ালের কদর্য প্লট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দর্শক। প্রায় প্রতিটা গল্পের ধাঁচ এক। যত দুঃখ কষ্ট নায়ক -নায়িকার। অথচ ভিলেনকে দেখা যায় খুল্লামখুল্লা ঘুরতে। বিয়ের পর যেন পরীক্ষা শুরু হয় নায়িকার। হঠাৎ করেই উদয় হয় নায়ক/নায়িকার প্রাক্তন প্রেমিক/প্রেমিকা তার পর শুরু হয় ত্রিকোণ প্রেমের বহর।

পারিবারিক সম্পর্কগুলোও বিকৃত ভাবে দেখানো হচ্ছে টেলিপর্দায়। কখনও ভাই, ভাইকে ঘুমের ওষুধ দেয় তো কখনও বোন বোনকে নেশার ওষুধ দেয় নোংরা অ্যালিগেশন দেবে বলে। আবার কখনও দেখা যায় ছেলের ফুলসজ্জার ঘরে বউয়ের জায়গায় মা! এদিকে নির্বিবাদী নায়িকা খাটের বদলে সোফায় ঘুমোচ্ছে। কোনো কোনো সিরিয়ালে তো বাবার পরকীয়ার প্রভাব সামলাতে হয় নায়িকাকে।

শুধু তাই নয় বিয়ের আগেই ঘনিষ্ঠ হওয়া, ঘুরপথে স্ত্রীর চরিত্রের প্রশ্ন তোলা, প্রেমিক/প্রেমিকার সঙ্গে ঘর করতে স্বামী/স্ত্রীকে মেরে ফেলার প্ল্যানও উঠে আসছে ছোট পর্দার সিরিয়ালগুলিতে। আগে তো জীবন্ত অসুখ ছিল পর্দায় আর এখন ভূত হয়েও নায়কের জীবনে রয়ে যায় তাঁর প্রাক্তন। বাধা দেয় তাঁর সাংসারিক জীবনে। অন্যদিকে, প্রয়োজনের খাতিরে গ্রাম্য মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে স্বার্থসিদ্ধি করতে চায় শহুরে পরিবার।

আরও পড়ুনঃ ময়ূরীর রহস্য ফাঁস! দুই বোনের সম্পর্ক শেষ, দিদিকে পুলিশে দিল মেঘ

কেন এহেন বিতর্কিত দৃশ্য, বিতর্কিত প্লট দেখানো হচ্ছে টেলিপর্দায়? কার্যত এই সকল কারণে টিভি দেখা থেকে দূরে থাকছেন বহু দর্শক। তাঁদের কথা, পরিবারের সঙ্গে বসে এই সকল সিরিয়াল দেখা যায়না। বিশেষজ্ঞদের মত, বাংলা সিরিয়াল এখন অনেক বেশি ব্যাবসায়িক। ভালো মন্দের বিচার না করেই তাই প্লট চেঞ্জ চলছে। কিন্তু এই পরিবর্তন সমাজের জন্য ভালো নয় বরং ক্ষতিকারক। ক্রমে তা বাড়বে বৈ কমবে না। তাই চ্যানেল কর্তৃপক্ষের উচিত দর্শকদের দিকটিও ভাবা।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।