বর্তমানে জি বাংলার (Zee Bangla) বিখ্যাত একটি ধারাবাহিক হল ইচ্ছে পুতুল (Icche Putul)। ত্রিকোণ প্রেমের গল্প নিয়ে দর্শকদের সামনে হাজির হয়েছিল এই ধারাবাহিকটি। অবশ্য জি বাংলার পর্দায় ত্রিকোণ প্রেমের গল্প এটা প্রথম নয়। এর আগেও বহু ধারাবাহিকে ঘটেছে এই টানটান উ’ত্তে’জ’না পর্ব। কিন্তু এই হল্পের নিজস্বতার জন্য বহু দর্শকদের মন কেড়েছে ধারাবাহিকটি।
ধারাবাহিকের গত কিছু পর্বে দেখা যাচ্ছে, মেঘ o নীলের বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া ছয় মাসের জন্য স্থগিত রেখে দিয়েছে বিচারপতি। সে চায় মেঘ ও নীল যেন আরও একটি সময় পান। এই কারণে তিনি নির্দেশ দেন, আগামী হয় মাস যেন মেঘ আর নীল একসঙ্গে থাকে। কিন্তু অপরদিকে নীল ভাবতে থাকে সে খুশি হলেও, মেঘের সমস্যা হচ্ছে হয়ত। সেই কারণে সে ভাবে, যে আর কোনও কারণেই সে মেঘের জীবনে বিরক্তির কারণ হবে না।
আরো পড়ুন: ল্যাপটপ কান্ডে ফাঁসলো অপরাধী, কু’ট’নি ঈশা! মুখোশ খুলে পর্দা ফাঁস করল সৃজন! অবিশ্বাসী স্বামীকে কি ভালবাসতে পারবে পর্ণা?
নীল সিদ্ধান্ত নেয় যে, সে আর কলকাতায় থাকবে না। নীল কাজে ট্রান্সফার নিয়ে দিল্লী চলে যায়। মেঘ সে কথা জানতে পেরে আপ্রাণ চেষ্টা করে নীলকে আটকানোর। কিন্তু সে ব্যর্থ হয়। মন ভেঙে যায় নীল ও মেঘের। নীল দিল্লী পৌঁছে সিদ্ধান্ত নেয় যে সে মেঘকে একটি চিঠি লিখবে। চিঠিতে সে তার এই সিদ্ধান্ত গ্রহনের নেপথ্যের কারণ উল্লেখ করে।
অন্যদিকে দেখা যায়, নীলকে আটকাতে ব্যর্থ হয় বলে নিজের বাড়িতে মন মরা হয়ে ফিরে আসে সে। মেঘও সিদ্ধান্ত নেয় নীলকে একটি চিঠি লেখার। আবার দেখা যায়, ধারাবাহিকটি ছয় মাস লিপ নিয়েছে। নীলের বাড়িতে তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। কারণ ৬ মাস পর আবার বাড়ি ফিরতে চলেছে নীল।
অন্যদিকে, মেঘের মনেও একটা অভিমানের পাহাড় জমে আছে। নীলের প্রতি এক আকাশ অভিমান জমে জমে একটা স্তুপে পরিণত হয়েছে। নীলের এই ভাবে সব কিছু ফেলে চলে যাওয়াটা একেবারেই মেনে নিতে পারেনি মেঘ। এগিয়ে এসেছে তাদের ডিভোর্সের শুনানির তারিখ। বিচ্ছেদের ভয়ের থেকেও মেঘকে দেখার আনন্দ আরও বেশি করে দানা বাঁধছে নীলের মনে। তাহলে কি আসলেই আলাদা হয়ে যাবে মেঘনীল? নাকি এতদিন পর, একে অপরকে দেখে আবার নতুন করে শুরু করবে তারা?