শেষ হয়ে গিয়েছে ‘মিঠাই’। মনখারাপ তাই গোটা টিমের এবং ভক্তদের। কিছু শুরুর জন্য কিছু শেষ প্রয়োজন, আর সেটাই মেনে নিয়ে গোটা মিঠাই টিম আবার নিজ কাজে ব্যস্ত হতে চলেছে। প্রায় ৩ বছর ‘মিঠাই’- এর বয়স। ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে প্রথমদিন থেকে গ্রামের মিষ্টি মেয়ে মিঠাই বাঙালির হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে যাঁর অবর্তমানে দর্শক ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকটি ভাবতেই পারেন না।
দুষ্টু – মিষ্টি মিঠাই-এর চটাং চটাং কথা, ভাঙাচোরা ইংরেজি শব্দ, চঞ্চল স্বভাব যেন সকল চরিত্র থেকে আলাদা করেছে সৌমীতৃষাকে। এই ‘মিঠাই’ নামটির সাথে যেন দর্শকদের ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িয়ে রেখেছেন সৌমীতৃষা। এতবছর টানা তিনি অভিনয় করেছেন মিঠাই’তে তবে একবারও তাঁর জনপ্রিয়তা কমেনি। উল্লেখ্য, গল্পে প্রথম বড় ট্যুইস্ট আসে, মিঠাইয়ের মৃত্যু দিয়ে। আর তারপর গল্পে শাক্য আর মিঠির এন্ট্রি গল্পকে এক নতুন রূপ দেয়।
মিঠাই-এর মৃত্যুর সাথে মিঠির আগমন গল্পকে এক নতুন মোড় দিয়েছিল। যদিও এই মিঠির রোলেও কিন্তু অভিনয় করেছেন সৌমীতৃষা কুণ্ডু। শেষে অনবরত মিঠাই- এর চাহিদার তাগিদে নির্মাতারা মিঠাইকে ধারাবাহিকে ফেরাতে একপ্রকার বাধ্য হয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে, সৌমীতৃষাকে সকলে মিঠাই হিসাবেই দেখতে বেশি পছন্দ করতেন দর্শক। তবে এ বিষয়ে সৌমীতৃষার নিজের মত কী? এবার এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সেকথাই জানালেন তিনি। ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকটিকে সফল করতে কার ভূমিকা বেশি?
সৌমীতৃষা বললেন আসলে ‘মিঠাই’এর সফলতার জন্য মিঠাই বা সৌমীতৃষা কারুর ক্যারিশমাই বেশি বলা যাবে না। এই সফলতা পুরো টিমের। তাঁর মতে, কোনও সফল জিনিস কখনই কারুর একার জন্য হয় না, জড়িত থাকেন উপস্থিত প্রত্যেকটা মানুষ। টিমের সবার চেষ্টাতেই সফল হয়েছিল এই ‘মিঠাই’। তবে সৌমীতৃষা এবং মিঠাইয়ের মধ্যে তুলনা করলে সৌমীতৃষার ক্যারিশমাই বেশি বলে মনে করেন তিনি। কারণ এই মিঠাইকে প্রাণ দিয়েছে সৌমীতৃষাই। মিঠাই’- এর অনুপস্থিতিতে যখন মিঠি আসে তখন ভক্তদের অনর্গল ম্যাসেজ ঢুকতে থাকে।
যদিও প্রথম এক সপ্তাহ সবাই মিঠাইয়ের নাম করলেও মিঠির চরিত্রটাকেও খুব অল্প সময়েই ভালবেসে ফেলেছিলেন দর্শকরা। আর সেই ফলস্বরূপ মিঠাই ফিরতেই মিঠির বিয়ে হয়ে গেছে এখন ওর কী হবে ভেবে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে মানুষ। তবে ভক্তদের সেসময়ের কষ্টের মেসেজ দেখে একটা সময় তাঁর মনে হয়েছিল তিনি যেন সত্যিই নিজেই মরে গেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে দুঃখের পোস্টের ছড়াছড়ি। তবে এটা দেখলেই বোঝা যায় মানুষ একটা চরিত্রের মধ্যে কতটা ঢুকে আছে। কতটা ভালোবাসে সেই চরিত্রটাকে। তাই এটাই সৌমীতৃষার বড় সফলতা।