আজ অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর ৭৩ তম জন্মদিন।বাংলা থেকে মুম্বই জয় করা এই নায়ক ১৯৫০ সালের ১৬ই জুন বাংলাদেশের বরিশালের ঝালকাঠি জেলায় জন্মগ্রহণ করেন । কিন্তু তাঁর শৈশবের নাম কিন্তু মিঠুন চক্রবর্তী নয়। তাঁর নাম ছিলো ‘গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী’। কিন্তু সিনেমায় আসার পর নাম বদলান তিনি। হয়ে ওঠেন সবার প্রিয় মিঠুন চক্রবর্তী। বলিউডের ডিস্কো ড্যান্সার।
এহেন বাঙালি ছেলেটির জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেন খ্যাতনামা বাঙালি পরিচালক মৃণাল সেন। ১৯৭৬ সালে মৃণাল সেনের পরিচালনায় মিঠুন চক্রবর্তী পা রাখেন সিনেমা জগতে। অভিষেক হয় হিন্দি চলচ্চিত্র মৃগয়ায়। আর জানেন কী নিজের প্রথম ছবির মধ্যে দিয়েই তিনি ‘সেরা অভিনেতা’ হিসেবে ভারতীয় ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ হাতে তোলেন এই তারকা।
এরপর সম্পূর্ণ নিজের প্রচেষ্টায়, কঠিন পরিশ্রমে বলিউডের নিজের স্থায়ী আসন প্রতিষ্ঠা করেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। আজও বাংলা থেকে হিন্দি সব জায়গাতেই দাপটের সঙ্গে কাজ করে চলেছেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা। এই মুহূর্তে ডান্স বাংলা ডান্সে বিচারকের মঞ্চ আলোকিত করছেন তিনি। আর এখানেই উদযাপিত হয় মহাগুরুর জন্মদিন। এই বিশেষ দিনে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী , অভিনেতা কৌতুক শিল্পী, রেডিও উপস্থাপক মীর।
এছাড়াও ছিলেন প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী তথা অভিনেত্রী মমতা শঙ্কর। কিছুদিন আগেই
দেব এন্টারটেইনমেন্ট ভেঞ্চার্স ও বেঙ্গল টকিজের যৌথ প্রযোজনায় প্রজাপতি ছবিতে সুদীর্ঘ ৪০ বছর পর এক সঙ্গে অভিনয় করেন মমতা শঙ্কর ও মিঠুন চক্রবর্তী। ব্যাপক প্রশংসিত হয় সিনেমাটি। আর আজ মিঠুন চক্রবর্তীর জন্মদিনে নিজে হাতে পায়েস রেঁধে খাওয়ালেন মমতা শঙ্কর।
জানা যায়, মৃগয়ার শুটিং চলাকালীনই মিঠুন চক্রবর্তী ও মমতা শঙ্করের বিয়ের তারিখ পর্যন্ত ঠিক হয়ে গিয়েছিল। পরে কোনও এক অজ্ঞাত কারণে ভেঙে যায় তাঁদের সম্পর্ক।যদিও সেই বিয়ে ভেঙে যাওয়ায় কোনও আক্ষেপ নেই অভিনেত্রীর। এই প্রসঙ্গে তিনি একবার জানিয়েছিলেন, আমার আর মিঠুনের বিয়ে না হয়ে খুব ভালো হয়েছে। মিঠুন খুব ভালো বন্ধু। আমাদের মধ্যে এখনও যোগাযোগ রয়েছে।
এই প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী জানিয়েছিলেন মিঠুনের সঙ্গে বিয়ে হলে আমার নাচ, ছবি করা বন্ধ হয়ে যেত। ও একদমই পছন্দ করত না। ওঁর বক্তব্য ছিল, তুই শিখছিস শেখ। কিন্তু বউ হওয়ার পর বাড়িতেই থাকতে হবে। যোগিতার ক্ষেত্রেও এমনটাই হয়েছে। আর সেইজন্য ওঁর যোগিতা আর আমার জন্য চন্দ্রোদয়ই ঠিক।