Connect with us

    Bangla Serial

    বারংবার অপমানিত! পরাগকে ডিভোর্স দিচ্ছে শিমুল, সাথে আরও শর্ত! ভয় পেয়ে গেল শাশুড়িও

    Published

    on

    parag and shimul in kar kache koi moner kotha

    সমাজে মেয়েদের অবস্থাকে তুলে ধরছে বর্তমানে বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক। এরমধ্যেই সম্প্রতি শুরু হওয়া একটি ধারাবাহিক জি বাংলার (Zee Bangla) ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (ker kache koi moner kotha)। বাড়ির মেয়ে-বউদের এমনই কিছু অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বারংবার সামনে আনছে। হয়তো পর্বগুলো দেখে অনেক দর্শকেরই গা জ্বলছে, কিন্তু বাস্তবের কিছু ধ্রুব সত্যকেই তুলে ধরছে এই মেগা। ২০০৯ সালের স্টার জলসার ‘বউ কথা কও’ ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে ১৩ থেকে ৮৩ সকলের নয়নের মনি হয়ে উঠেছিলেন মানালি দে (Manali Dey)

    একাধিক ধারাবাহিকে তিনি কাজ করলেও সকলের কাছে আজও ‘মৌরি’ বলেই বিশেষ পরিচিত মানালি। নতুন ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথা’তে নতুন রূপে ফিরলেন মানালি। ধারাাহিকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন এই টেলি তারকা। যদিও বেশকিছু দর্শকদের মতে, ধারাবাহিকে বেশিরভাগই নেগেটিভ দেখানো হয়েছে। সমাজের রূপটিকে তুলে ধরতে গিয়ে এতটাই নেগেটিভ জায়গায় চলে গিয়েছে যে কিছুজন বিরক্তিপ্রকাশ করছে। উক্ত মেগাতে বেশকিছু বাস্তবের ঘটনাকেই তুলে ধরা হচ্ছে। একটি সাদামাটা প্রতিবাদী মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে নিজের সম্মানের জন্য যে লড়াই করতে চলেছে, তা নিয়েই এগোবে এই ধারাবাহিক।

    ধারাবাহিকের প্রথম প্রোমো দেখেই বোঝা যায়, শিমুলকে তার শ্বশুরবাড়িতে বহু সমস্যার মুখে পড়তে হবে। নতুন বউ হিসাবে বাড়ি আসতেই প্রতিমুহূর্তে শিমুলের খুঁত দেখতে ব্যস্ত। পাশাপাশি শিমুলের উপর অধিকার ফোলানোর চেষ্টা করে শিমুলের স্বামী। শিমুলকে কেউ অপমান করলে তার বিরোধিতা না করে বরঞ্চ সায় দেয় সেটায়। শিমুল গান ও নাচ দুটোই খুব ভালোবাসে। কিন্তু সেসবের কদর নেই শ্বশুরবাড়িতে। নাচের রিহার্সালে শিমুলকে না যেতে দেওয়ায় সে যখন নিজের ঘরে অন্যান্য মেয়েদের ডেকে এনে নাচ শেখায় তখন তীব্র প্রতিবাদ করে বাড়ির সকলে। এমনকি বাড়ি থেকে মাঝ রাতে শিমুলকে বের করেও দেয় শাশুড়ি ও স্বামী। কিন্তু শিমুল হারেনি।

    tollytales whatsapp channel

    শিমুল তারপরও সিদ্ধান্ত নেয় পাড়ার অনুষ্ঠানে নাচবে। অবশেষে সকলের সামনে নিজের পরিচয় গোপন রেখেই শিমুল নৃত্য পরিবেশন করে। শিমুলের নাচ খুবই ভালো লাগে শিমুলের শাশুড়ির। যদিও সে জানে না সেই মেয়ে তারই পুত্রবধূ শিমুল। শিমুলের শাশুড়ি তার হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়ার জন্য মঞ্চে আসে তখন শিমুল নিজের ঘোমটা তুলে পরিচয় দেয়। স্টেজে শিমুলকে দেখে রেগে গিয়ে শাশুড়ি তার গালে চড় মারে। যার প্রতিবাদ সকলের করে। তারপর বাড়িতে ফের অপমান করে শিমুলকে। এমনকি বাপের বাড়িতে রেখে আসার কথাও বলে। তবে শিমুল আর চুপ থেকে না। শিমুলের সাথে বিপাশা সহ প্রতিবেশীর সকলের থেকে। তারা শিমুলকে পুলিশে ফোন করতে বলে।

    শিমুল জানায় যদি তার গায়ে কেউ হাত দেয় আর বাপেরবাড়ি রেখে আসার কথা বলে তাহলে সে তাই করবে। এদিকে পরাগ শিমুলের সঙ্গে আর সংসার করতে পারবে না বলে জানায়। তাই শিমুল বলে ডিভোর্স দিতে গেলে খোরপোষের মামলাও করা হবে। আর তাতে মোটা অংকের টাকা পরাগকে গুনতে হবে। আর সেও আর চায় না অসম্মানিত হয়ে এখানে পড়ে থাকতে। সে পারবে নিজের খরচ নিজে চালাতে। আর শিমুলের কথায় সায় দেয় প্রতিবেশী বন্ধুরা। তবে কি এবার শিমুল পরাগকে ডিভোর্স দিয়ে দেবে নাকি ভয় পেয়ে শ্বশুরবাড়ির সকলে নিজেদের পরিবর্তন করতে বাধ্য হবে।