জি বাংলার (Zee Bangla) অত্যন্ত জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা (Kar kache koi moner kotha) দর্শকদের মন জয় করেছে খুব। প্রতিদিন স্বামী, দেয়র ও জায়ের অত্যাচার বিরোধে শিমুলের রুখে দাঁড়ানোর গল্প ভালোবাসছেন দর্শকরাও। মানালি দে, বাসবদত্তা চ্যাটার্জী, স্নেহা চ্যাটার্জী, সৃজনী মিত্র, কুয়াশা বিশ্বাস, রিতা দত্ত, শ্রীতমা ভট্টাচার্য অভিনীত মেয়েদের জীবনের নানান সমস্যা ও দিককে এই ধারাবাহিক খুব সুন্দর করে দর্শকদের সামনে ফুটিয়ে তুলেছে।
তবে সাম্প্রতিককালে শিমুলের জীবনের নেমে এসেছে একের পর এক ঝড়। স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ, শতদ্রুর সাথে বন্ধুত্বে বিচ্ছেদ, শতদ্রুর বিয়ে, পলাশের দ্বিতীয় বিয়ে সব মিলিয়ে শিমুলের জীবন হয়ে উঠেছে অসহনীয়। আবার বর্তমানে শিমুল নিজের স্বামী পলাশকে বি’ষ দেবার অভিযোগে গ্রেফতার। তার সবচেয়ে প্রিয় শাশুড়ি মা যাকে শিমুল নিজের মায়ের থেকেও বেশি ভালোবাসে তিনিই শিমুলকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন।
যদিও শিমুলের এই পরিবার মুখ ফিরিয়ে নিলেও মুখ ফিরিয়ে নিতে পারেনি ভালোবাসার মানুষ। প্রেমিকার বিপদের কথা শুনে উকিল সহ শিমুলকে বাঁচাতে থানায় হাজির হয়েছে শতদ্রু। শতদ্রু তার মাকে স্পষ্ট জানিয়েছে তার মায়ের পছন্দ করা মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে না সে। এই সিদ্ধান্তে শতদ্রুর মা খুশি না হলেও খুশি হয়েছেন শিমুলের বান্ধবীরা এবং দর্শকরা।
তবে শিমুলকে বাঁচাতে গিয়েই হয়েছে আর এক বিপত্তি, গ্রেফতার হন শতদ্রু। আসলে শতদ্রুর মা যে মেয়েটির সাথে শতদ্রুর বিয়ে ঠিক করে সেই মেয়েটি পুলিশকে ফোন করে পুলিশকে জানান যে শতদ্রু তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিয়ে করছেন না এবং তার পুরনো প্রেমিকার সাথে সম্পর্ক রাখছেন।
উল্লেখ্য, তার পর সেই মেয়েটি শতদ্রুর কানে কানে বলে যে সব সময় পার পাওয়া যায়না, সব মেয়ে এক নয়, কোনও কোনও সময় ভুল করলে তার দামও দিতে হয়। তারপর পুলিশ মেয়েটির কথার ভিত্তিতে শতদ্রুকে গ্রেফতার করে। তো কি মনে হয় আপনাদের শিমুল কি পারবে তার ভালোবাসারা মানুষকে বাঁচাতে! তার উত্তর পাওয়া যাবে কার কাছে কই মনের কথার পরবর্তী পর্বে।