বাংলা টেলিভিশনের দুনিয়ায় (Bengali Television) নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছিল আলফা বাংলা। বলা যায় অনেকাংশেই বাংলা ধারাবাহিকের খোলনচে বদলে দিয়েছিল এই টেলিভিশন চ্যানেল। সাদাকালোর যুগ থেকে রঙিন টেলিভিশন, আপামর বাঙালির জীবনটা যেন বদলে গিয়েছিল এক লহমায়। না তখনকার দিনের বাংলা সিরিয়ালের সঙ্গে আজকের দিনের বাংলা সিরিয়ালের আকাশ পাতাল পার্থক্য।
যত যুগ গেছে, যত সময় কেটেছে বিবর্তিত হয়েছে বাংলা ধারাবাহিক। শুধু রয়ে গেছে বিনোদন। তখনকার দিনের ধারাবাহিকে পারিবারিক গল্প, সম্পর্ক, অনেক বেশি গুরুত্ব পেত। এখনকার মতো গল্প বলা এত ফাস্ট ছিলনা। পরকীয়া, কূটকচালি, বা গল্পের সাহসিকতাতেও অনেকটাই পিছিয়ে ছিল তখনকার দিনের ধারাবাহিকগুলি।
বলাই বাহুল্য, এখনকার মতো একেবারেই গুরুত্ব পেত না টিআরপি। আসলে এই টিআরপি নামক বস্তুটি কি সেটাই হয়ত জানতো না বহু মানুষ। আর তাই গল্প খেই হারালেও বছরের পর বছর তা চলত। অবশ্যই তা দেখতেও ভালবাসতেন দর্শকরা। তবে বর্তমানে সময় বদলেছে। এখন বাংলা টেলিভিশনে সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ টিআরপি। নম্বর কম হলেই অচিরেই বিদায়। আর তাই বলাই যায়, অনিশ্চয়তা এখন আগের থেকে অনেকটা বেড়ে গেছে।
কিন্তু ওই যে বললাম রয়ে গেছে বিনোদন। আর সেই বিনোদনের অমোঘ আকর্ষনেই আলফা টিভি বাংলা (Alpha Bangla) থেকে জি বাংলা (Zee Bangla) কেটে গেছে ২৫টা বছর। নামের বিবর্তনের পাশাপাশি বিবর্তিত হয়েছে বাংলার ধারাবাহিক। আগে সপ্তাহে চার দিন দেখানো ধারাবাহিক এখন সাপ্তাহিক হয়ে উঠেছে। তবে শুধুমাত্র বাহ্যিক পরিবর্তন নয় আঙ্গিকেও পরিবর্তন হয়েছে। অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মধ্যে কমেছে সম্ভ্রম, কমেছে শেখার আগ্রহ, ইচ্ছা। কেটে গেছে ভয়।
আরও পড়ুনঃ অহনার দিন অতীত! শ্যামলী ও অনিকেতের মাঝে এবার আসছেন বিরাট জনপ্রিয় নায়িকা! দর্শকদের জন্য রয়েছে দারুণ চমক
এখন রিলসের দুনিয়ায় সবাই হিরো-হিরোইন। সবাই সব জানে। তাই এখন আর স্ক্রিপ্ট পড়া সেই অর্থে প্র্যাকটিস করতে হয় না। সবার হাতে দেদার অর্থ। আর তাই সিনিয়রদের গুরুত্ব দেওয়া, সম্ভ্রম দেওয়া কমেছে। শুধু রয়ে গেছে ধারাবাহিক প্রেমী মানুষ আর তাদের অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং ধারাবাহিকের প্রতি ভালোবাসা। আর সেই কারণে আজও রমরমিয়ে চলছে বাংলা ধারাবাহিক। আলফা বাংলার এক আকাশের নিচে থেকে জি বাংলার মিঠাই, ফুলকি, নিম ফুলের মধু আজও সফল। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে বাঙালিকে বিনোদন দেওয়ার জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা জি বাংলা।