জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

টাকার অভাবে লোকের নোংরা পরিষ্কার করছে পাখি! কুশ-রাঙা বউয়ের কষ্টে কাঁদছে দর্শক! ইমোশনাল পর্ব টিআরপি টানবেই

জি বাংলার একটি জনপ্রিয়, চর্চিত ধারাবাহিক হল ‘রাঙা বউ’ (Ranga Bou)। এখানে মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন শ্রুতি এবং গৌরব। শ্রুতি অর্থাৎ পাখি একজন গ্রামের মেয়ে। অন্যদিকে গৌরব অর্থাৎ কুশ একটি অভিজাত, বনেদি পরিবারের ছেলে। পরিস্থিতির চাপে তাদের বিয়ে হয়, আর সেই গ্রাম্য মেয়েকে নিয়েই সুখে ঘর পেতেছিল কুশ। তবে সে অভিজাত পরিবারের ছেলে হলেও, অল্প রোজগারের জন্য ঘরের দাদা-বৌদিদের কাছ থেকে বাজে কথা শুনতে হয় কুশ ও পাখিকে।

উল্লেখ্য, ‘রাঙা বউ’ ধারাবাহিকের প্রথমেই দেখে এসেছি পরিস্থিতির চাপে পড়ে পাখির সঙ্গে কুশের আচমকাই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ফলে প্রথম থেকেই একটি ঝামেলার সূত্রপাত হয়েছে। তবে পাখির সঙ্গে কুশের সম্পর্কটা খারাপ নয়। প্রথম থেকেই কুশ পাখিকে সর্বদা আগলে রাখে। চলছিল তাদের সুখের সংসার, আর তারমাঝেই আবারও ঘনিয়ে আসে বিপদ। পরিবারের মধ্যে সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে শুরু হল একে অপরের সঙ্গে বিবাদ।

বয়স্ক বাবা – মাকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে সকল সম্পত্তি দখল করে নেয় দুই বড় ছেলে। একদিকে কুশের চাকরি চলে যায়। আর তাই কুশ ও পাখির সংসারেও অর্থের টানাটানি পড়ে। তাই পাখি কুশের পাশে দাঁড়াতে বিউটিপার্লারের কাজকেই অস্ত্র বানায় সংসার চালানোর জন্য। আমরা আগেই দেখেছি, সম্পত্তি ভাগাভাগির জন্য দুই বড় ছেলে মা-বাবার উপর অত্যাচার পর্যন্ত করে। বড় ছেলে মায়ের গলাও টিপে ধরে। এমনও ভায়োলেন্স দৃশ্যও দেখানো হয়েছে এই ধারাবাহিকে। দৃশ্যটি বেশ কঠিন হলেও এটি ধ্রুব সত্য।

বর্তমান সময়ে বাস্তবেও বহু ঘরে চলে এই কান্ড। বৃদ্ধ মা- বাবাকে এক ঘরে করে দেওয়া, তাদের উপর অত্যাচার, এমনকি তাদের নিজের বাড়ি থেকেই বের করে দেয় ছেলেরা। আর ঠিক এমনই ঘটল তরুণ ও বেলার সঙ্গেও। তাদের সমস্ত সম্পত্তি হাতিয়ে নিয়ে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়। যদিও তরুণ-বেলার পাশে রয়েছে পাখি ও কুশ। মা-বাবার সঙ্গে রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছে কুশ-পাখিও। তারা ফের মা-বাবাকে তাদের বাড়ি ফিরিয়ে দেবে, এমন বিশ্বাস রয়েছে দর্শকদের মনে।

তবে আপাতত বৃদ্ধ মা-বাবাকে খাবার যোগান দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে পাখি-কুশ। শেষ বয়সে এসে তরুণ-বেলার এমন পরিণতি দেখে চোখে জল আনতে বাধ্য করবে দর্শকদের। কিন্তু হাজার চেষ্টাতেও ভালো কাজ পায় না পাখি। শেষে রাস্তায় পাখি দেখে কয়েকজন নিজেদের মধ্যে একটা জায়গা পরিষ্কার করা নিয়ে আলোচনা করছে। সেটা দেখে পাখি নিজে ছুটে যায় সেই কাজ করতে। রাস্তার নোংরা পরিষ্কার করে পাখি হাজার টাকা পায়। এদিকে কুশ ও জ্যাঠুমনিও টাকার জন্য একটা কাজ খুঁজে যাচ্ছে।

Ratna Adhikary

                 

You cannot copy content of this page