জি বাংলার একটি নতুন ধারাবাহিক হল ‘রাঙা বউ’। এখানে মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন শ্রুতি এবং গৌরব। শ্রুতি একজন গ্রামের মেয়ে। অন্যদিকে কুশ একটি অভিজাত, বনেদি পরিবারের ছেলে। কুশের বোন হচ্ছে কুসুম। একটি গ্রাম্য মেয়েকে নিয়েই সুখে ঘর পেতেছিল কুশ। তবে সে অভিজাত পরিবারের ছেলে হলেও, অল্প রোজগারের জন্য ঘরের অনেকের কাছ থেকেই বাজে কথা শুনতে হয় তাদের।
উল্লেখ্য, ‘রাঙা বউ’ ধারাবাহিকের প্রথমেই দেখে এসেছি পরিস্থিতির চাপে পড়ে পাখির সঙ্গে কুশের আচমকাই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ফলে প্রথম থেকেই একটি ঝামেলার সূত্রপাত হয়েছে। তবে পাখির সঙ্গে কুশের সম্পর্কটা খারাপ নয়। গ্রামের মেয়ে পাখি শহরে এসে একটু চাপে পড়েছিল, সাথে তবে শ্বশুরবাড়ির কিছু লোক প্রথম থেকেই তার ক্ষতি করার চেষ্টা করে। কিন্তু কুশ পাখিকে সর্বদা আগলে রাখে।
চলছিল তাদের সুখের সংসার, আর তারমাঝেই আবারও ঘনিয়ে আসে বিপদ। তানিয়া বলে এক মেয়ে কুশের বাড়ি এসে দাবি করে, সে কুশের আগের বউ। ৫ বছর ধরে সে কুশকে খুঁজছিল। অবশেষে কুশকে সে ফিরে পেয়েছে। যদিও তার কথা বাড়ির কেউ বিশ্বাস করেন। তবে কুশ আর পাখির একে অপরের উপর বিশ্বাস বেশিদিন টানতে হয়নি সেই বিপদকে।
আর সেই বিপদ সামলানোর পরই কুশ ও পাখির সংসারে অর্থের টানাটানি পড়ে। একদিকে কুশের চাকরি চলে যায়, অন্যদিকে তাদের এক ঘরে করে দেয় বাড়ির দুই বউ। চাপে পড়ে এবার কুশের পাশে এগিয়ে এল পাখি। নিজের জানা বিউটিপার্লারের কাজকেই অস্ত্র বানালো সংসার চালানোর। ছোট্ট ঘরেই খুলল সেই ব্যবসা।
প্রমান করে দিল, বিউটি পার্লার কোনও ছোট কাজ নয়। সক্ষম অনুযায়ী মানুষ সৎ পথে সমস্তরকম কাজ করেই নিজের সংসার চালাতে পারে। পাখির পাশে এসে দাঁড়ালো কুশ। উক্ত পর্ব বার্তা দিল সেসকল পরিবারকে যারা বিউটিপার্লারের কাজকে ছোট মনে করেন! এবার কি তবে পাখি টার নিজ রোজগারে কুশের আত্মসম্মান ফিরিয়ে দেবে?