কার কাছে কই মনের কথা সিরিয়ালে (Kar Kachhe Koi Moner Kotha) প্রতীক্ষা (Pratikha) ও পলাশ (Palash) প্ল্যান করে শিমুলকে (Shimul) ঘর থেকে তাড়ানোর চেষ্টা করে চলেছে। প্রতীক্ষা তার বন্ধু মারফত শতদ্রুকে (Shatodru) শিমুলের বাড়িতে যাওয়ার জন্য বাধ্য করে। যদিও শতদ্রু চায়নি, কারণ সে চায় না শিমুলের শান্ত জীবনকে ব্যস্ত করতে। অন্যদিকে পলাশ প্ল্যান করে শিমুলকে হাতেনাতে ধরে পরাগের (Porag) সামনে দুশ্চরিত্রা প্রমান করার। প্রতীক্ষার সঙ্গে পলাশ শিমুলকে ফাঁসানোর প্ল্যান করে।
প্রথমদিকে প্রতীক্ষা যদিও শিমুলকে কিছুই বলেনি। তবে বর্তমানে শিমুল যেহেতু মুখ খুলেছে, তাই প্রতীক্ষার মনে হচ্ছে যে সে তার জায়গা হারিয়ে ফেলবে। তাই পলাশের সঙ্গে সেও এবার হাত মিলিয়েছে। শতুদ্রু হল শিমুলের প্রাক্তন প্রেমিক। বিয়ের পর যদিও তাদের দুজনের কোনও সম্পর্ক নেই। তবে শিমুলের স্বামী পরাগ শিমুলের উপর যে অত্যাচার করে তাতে শিমুলের মনে কোথাও লুকিয়ে রয়েছে শতদ্রুর জায়গা।
শিমুল শাশুড়ির অবর্তমানে পুতুলের (Putul) খেয়াল রাখতে ব্যস্ত। শিমুল যতই বাড়ির জন্য করুক না কেন শিমুলের খুঁত ধরতে ব্যস্ত সকলেই। বিশেষ করে দেওর পলাশ শিমুলকে একেবারেই সহ্য করে না। বহুবার শিমুলকে অপমান করেছে। তবে শিমুলও তাকে যোগ্য জবাব দিয়েছে। শিমুল তার সোনার বালা বিক্রি করে শাশুড়িকে তার বন্ধুদের সঙ্গে কাশি ঘুরতে পাঠিয়েছে। এদিকে প্রথমদিন থেকে শাশুড়ি শিমুলকে নানান কটু কথা শোনায়।
শিমুলের শাশুড়ি বাজে ব্যবহার করলেও সে মন থেকে খুব খারাপ নয়। তাই পুতুল শিমুলকে বলে, তার মাকে যেন শিমুল ভালো করে দেয়। এদিকে শতদ্রু তার বন্ধুদের বোনের বিয়ের জন্য নেমন্তন্ন করতে এলে সকলেই শিমুলকে নেমন্তন্ন করতে বলে। শতদ্রু প্রথমে রাজি না হলেও পরে সে শিমুলের বাড়ি যায়। শাশুড়ি কাশি গিয়েছে। এদিকে স্বামী ও দেওর দুজনেই চাকরিতে, এমনসময় শতদ্রু শিমুলের বাড়ি আসে।
শতুদ্রুকে দেখে শিমুল অবাক হয়ে গেলেও সম্মানের খাতিরে তাকে ভেতরে আসতে বলে। প্রথমবার তার বাড়িতে আসায় তাকে মিষ্টি দেয়। শতদ্রু তখন তার বোনের বিয়ের কার্ড শিমুলের হাতে ধরায়। আর সেই সময়ের অপেক্ষায় ছিল পলাশ ও প্রতীক্ষা। শিমুল ও শতুদ্রুকে একা দেখতে পেয়ে পরাগকে খবর দেয় তারা। পরাগ এসে শিমুল ও শতদ্রুকে একসঙ্গে দেখে রেগে যায়। এবার শিমুল কিভাবে নিজের ও শতদ্রুর সম্মান বাঁচাবে, তাই দেখার অপেক্ষায় দর্শক।