জমে উঠেছে জি বাংলার (Zee Bangla ) ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kachhe Koi Moner Kotha) । এই মুহূর্তে ভীষণ রকমের সফল এই ধারাবাহিকটি। বাংলা টেলিভিশন প্রেমীরা এখন মন্ত্রমুগ্ধের মতো এই ধারাবাহিকটি দেখে চলেছেন। আসলে এতটাই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে এই ধারাবাহিকটি।
এমনকি মাঝে পরপর দু’সপ্তাহ বেঙ্গল টপার পর্যন্ত হয়েছে এই ধারাবাহিকটি। যদিও এই সপ্তাহে তৃতীয় স্থানে নেমে এসেছে এই ধারাবাহিকটি। কিন্তু তা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরেই প্রথম পাঁচে জায়গা করে নিয়েছে অর্ক গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রযোজনায় এবং নির্দেশনায় চলা এই ধারাবাহিকটি।
উল্লেখ্য, এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে সমাজের বিভিন্ন বাস্তবধর্মী বিষয়কে তুলে ধরা হচ্ছে। উঠে আসছে স্পর্শকাতর বিষয়বস্তু। এমন সব চরিত্রের উপরে এই ধারাবাহিকের মধ্য দিয়ে আলো ফেলা হয়েছে যে চরিত্র গুলিকে আমরা বাস্তব জীবনেও দেখে থাকি। ইতিমধ্যেই পরাগ-পলাশের মা জেনে গেছে, নিজের নামে নয় বরং নিজের প্রতিবন্ধী ননদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে পরাগের থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়েছে শিমুল। আর তার পর থেকেই তার চরিত্রে পরিবর্তন দেখা গেছে। যদিও এখনও পর্যন্ত আসল সত্যি জানে না দুই ভাই।
প্রত্যেক মাসে নিজের মাইনের অর্ধেকটা দিয়ে দেওয়ার জন্য পরাগের হাতে টাকা কমে গেছে। আর তাই ধাক্কা সামলাতে পরাগ তার মাকে জানায় এতগুলো টাকা প্রতি মাসে চলে গেলে তার হাতে আর কিছুই থাকছে না। তাই সে এবার থেকে বাড়িতেই টিউশনি পড়াবে। এই শুনে মধুবালা পরাগকে বলে, ভালো কথা। কিন্তু প্রচুর ছাত্র ছাত্রী আসার পরিবর্তে আসে একটি সুন্দরী তরুণী। যাকে পড়িয়েই টাকা রোজগার করবে পরাগ।
সুন্দরী ছাত্রীকে দেখে মনে সন্দেহ জাগে শিমুলের। ধারাবাহিকের আগামী পর্বে দেখা যাবে, ঘরে পড়াশোনা করার বদলে নিজের স্যারের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত ছাত্রী। স্যারের অবস্থাও তেমনই। দে
ছাত্রীর সিনেমা দেখা হয় কিনা, কি ভালোবাসে কি বাসেনা সব জানতে চায় পরাগ। শুধু তাই নয় নিজের সংসারে বউয়ের সঙ্গে ঝামেলা অশান্তি সবটাই নিজের নতুন ছাত্রীর সঙ্গে ভাগ করে নেয় পরাগ। এমনকি ওই ছাত্রীর প্রতি তার যে পূর্ব অনুরাগ ছিল সেটাও জানিয়ে দেয় পরাগ।
এই ধারাবাহিকের আগামী পর্বে দেখা যাবে, গল্প করতে করতে হাসিতে ফেটে পড়ে পরাগ এবং তার নতুন ছাত্রী। ঠিক সেই সময় সেখানে চলে আসে শিমুল। সে বলে এটাই কি পড়াশুনা হচ্ছে? আর ঠিক তখন পরাগের ছাত্রী শিমুলকে বলে শিমুল তাকে হিংসে করছে। ইনসিকিউরিটিতে ভুগছে। ছাত্রীকে না থামিয়ে পরাগ অপমান করে শিমুলকে। এরপর শিমুল সেই ছাত্রীকে বলে যায় ‘নিজের সর্বনাশ নিজে ডেকে এনো না’