জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথায় (Kar Kache Koi Moner Kotha) অবশেষে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে শিমুল। পরাগ তার কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইলেও তাকে ক্ষমা করতে চায়নি শিমুল। সে পরিষ্কার জানিয়ে দেয় সে পরাগের সঙ্গে থাকতে চায়না। তার খারাপ লাগা কষ্ট পাওয়াতে তার কোনও যায় আসে না। এখন যদি পরাগ তাকে বিরক্ত করে তাহলে সে পরাগের নামে মানহানির মামলা করবে।
সেই কথা শুনে কষ্ট পায় পরাগ। তারপর কাউকে কিছু না বলে চলে আসে বাড়িতে। ওদিকে শিমুলকে নিয়ে বাকিরা চলে আসে বিপাশাদের বাড়ি। সেখানে শিমুলকে অনেক যত্ন করে বিপাশার শাশুড়ি। কিন্তু সেখানে আচমকা চলে আসে মধুবালা দেবী। তিনি শিমুলকে অনুরোধ করে তার বাড়ি গিয়ে পুতুলের সঙ্গে দেখা করতে। পুতুলের কথা শুনেই রাজি হয়ে যায় শিমুল। পুতুলকে গিয়ে ডাকলে পুতুলও শিমুলকে দেখে খুব খুশি হয়।
তারপর পরাগকে ডেকে মধুবালা দেবী বলেন শিমুল যাচ্ছে তাকে যেন বিরক্ত করা না হয়। সেই কথা শুনে চলে আসে পরাগ। সে জানিয়ে দেয় শিমুল যেন পুতুলকে নিয়ে সে যেতে পারে। তখন পুতুলকে নিয়ে শিমুল চলে গেলে যায় জিনিসপত্র আনতে। পুতুল তাকে আটকানোর চেষ্টা করে কিন্তু শিমুল আজনিয়ে দেয় সে আসবে না। তারপর শিমুল বলে সে বিয়েতে আসবে।
তখন শিমুলকে পরাগ অনুরোধ করে তাকে একটা সুযোগ দিয়ে সব নতুন করে সুযোগ দেওয়ার জন্য। সেই কথা শুনে শিমুল পরাগকে অনেক কথা শোনায় সেখান থেকে চলে যায়। পরাগ সেই কথা শুনে খুব কষ্ট পায়। বিয়ের দিন সকালে শিমুল চলে আসে ব্যানার্জী বাড়িতে এবং তার শাশুড়ির সঙ্গে কথা বলতে থাকে। ছেলের বাড়ির থেকে হলুদ আসলে পুতুলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে হলুদ পরে যায় মাটিতে।
সেটা দেখে ছেলের বাড়ির লোক অনেক কথা শোনায় পুতুলকে। ওদিকে একজন আসে খবর দেয় পরাগের আকস্মিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। পরাগ বলে হয় আর বাঁচবে না। সেই কথা শুনে কান্নায় ভেঙে পড়ে শিমুল। সেই ব্যক্তিকে বলে তাকে পরাগের কাছে নিয়ে যেতে। তাহলে কি মনে হয় আপনাদের পরাগকে কি বাঁচাতে পারবে শিমুল? পরাগের জন্যই কি আবার আলাদা হয়ে যাবে শিমুল আর শতদ্রুর পথ?