সম্প্রতি জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar kache koi moner kotha)। এই ধারাবাহিকে মাস জুড়ে এসেছে একের পর এক নতুন মোড়। প্রথমে, বিবাহ বিচ্ছেদ হয় পরাগ ও শিমুলের। তারপর, পরাগ দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে চলেছে তার ছাত্রী প্রিয়াঙ্কাকে। এই সময় ঘটে ঘোর বিপদ। বিয়ের দিনই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে পরাগ।
পরাগকে গায়ে হলুদের জন্য ডাকতে গিয়ে প্রতীক্ষা দেখে যে, সে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তারপর সে চিৎকার করে নীচে নেমে আসে। নিচে এসে পরাগের অবস্থার কথা সবাইকে জানায় প্রতীক্ষা।সেই শুনে মধুবালা পলাশকে বলে, সে পরাগকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু পলাশ পরিষ্কার ভাবে মানা করে দেয়। সে জানিয়ে দেয় যে, যতক্ষণ না পুলিশ আসছে আর শিমুলকে নিয়ে যাচ্ছে, ততক্ষণ সে তার দাদাকে কোত্থাও নিয়ে যাবে না।
তারপর দেখা যায়, সবাই হাসপাতালে এসে উপস্থিত হয়। কিন্তু প্রতীক্ষা থানায় গিয়ে পুলিশকে অনুরোধ করে যাতে তারা শিমুলকে গ্রেফতার করে। কিন্তু অফিসার জানায় যে শিমুলকে গ্রেফতার করার জন্য যে যে প্রমাণের প্রয়জন তা এখনও পুলিশ পায়নি। তাই এই মুহূর্তেই শিমুলকে গ্রেফতার করা যাবে না.অন্যদিকে, প্রতীক্ষা পুলিশ নিয়ে হাসপাতালে হাজির হয়ে যায়। আর ডাক্তার এলে বোঝা যায়, পরাগের শরীরে বিষক্রিয়া হয়েছে।
সেখানে উপস্থিত ছিল প্রিয়াঙ্কা ও তার পরিবার। তারা সবাই একে একে দোষারোপ করে শিমুলকে। এরপর পুলিশ মধুবালা দেবীকে জিজ্ঞাসা করেন যে তিনি কাউকেইসন্দেহ করছেন কিনা। নিজের অসংলগ্ন কথাবার্তার দ্বারা সে বুঝিয়ে দেয় যে সে মনে করে, পরাগকে বিষ দিয়েছে শিমুলই।
আরো পড়ুন: জগদ্ধাত্রীতে ব্যাপক তুলকালাম! দেবুর থেকে সমস্ত ফাইল ছিনিয়ে নিল জগদ্ধাত্রী! চরম বিপাকে রাজনাথ
পরাগ একটু সুস্থ হয়ে গেলে তাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করতে আসে তাকে। পরাগকে পুলিশ বলে যে তার পরিবারের সবাই তার প্রাক্তন স্ত্রী শিমুলকে সন্দেহ করছে। আর তাকে পুলিশ জিজ্ঞাসা করে যে, সেও শিমুলকে সন্দেহ করে কিনা। পরাগ সাফ সাফ জানিয়ে দেয় যে শিমুল আর হয় করুক না কেন কাউকে খুন করতে পারে না। আর পরাগের এই ব্যবহারে অবাক হয়ে যায় দর্শকরা।