ভালোবাসার সপ্তাহতে ভালোবাসার রঙ লেগেছে ধারাবাহিকগুলোতেও। সেখান থেকে বাদ যায়নি জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক নিম ফুলের মধুতেও (Neem Phooler Madhu)। দুই ভালোবাসার মানুষ অর্থাৎ তরঙ্গ এবং নাতাশার চার হাত করবে বলে ঠিক করে পর্ণা। কিন্তু দত্ত বাড়িতে চলে আসে নাতাশার দাদা, তার গুন্ডাদের দলবল নিয়ে। আসার পরই তারা নাতাশা আর তরঙ্গকে মারার ফন্দি আঁটে। কিন্তু তাদের চাল ধরে ফেলে পর্ণা আর সকলে মিলে বেঁধে দেয় নাতাশার দাদা আর তার গুন্ডাদের।
তারপর তারপরই নাতাশাদের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পর্ণা। রুচিরা, বর্ষা আর পর্ণা মিলে তাকে সাজিয়ে নিয়ে আসে। ওদিকে চয়ন, পিকলু আর সৃজন সাজিয়ে নিয়ে আসে তরঙ্গকে। আনন্দে কেঁদে ফেলে নাতাশা। তারপর সকলে নিচে চলে আসে আর গুন্ডাদের বলে গান করতে কিন্তু তারা বেসুরও গান শুরু করে যেকথা শুনে হাসাহাসি শুরু করে দেয় সকলে তারপর স্পিকারে গান চালায় আর সবাই নাচানাচি শুরু করে।
পর্ণা আর সৃজন, পিকলু আর বর্ষা, রুচিরা আর চয়ন এমনকি জেঠুও জেঠিমা সঙ্গে নাচ শুরু করে। কিন্তু দুরে দাড়িয়ে সব দেখতে থাকে অয়ন আর মৌমিতা। অয়ন মৌমিতাকে বলে “ঈশার দ্বারা কিছু হবে না তাই যা করতে হবে আমাদের করতে হবে।” তখনই নাতাশার দাদা বলে ওঠে যা হচ্ছে ভুল হচ্ছে তারা কাউকে ছাড়বেনা। কিন্তু তখন জেঠু বলে পর্ণা থাকতে দত্ত বাড়ির কোনও ক্ষতি হবে না। তারপরই চলে আসে পুরোহিত।
পর্ণাকে যখন পুরোহিত জিজ্ঞাসা করে দানকে করবে তখন পর্ণা বলে মেয়ের দাদা যখন আছে তখন মেয়ের দাদাই করবে। তারপর সকলে মিলে নিয়ে আসে মেয়ের দাদাকে। আর তরঙ্গ নাতাশাকে সিঁদুর পরিয়ে বিয়ে সম্পন্ন করে। তখন সকলে আনন্দ করতে থাকে। ওপরে দিয়ে পর্ণাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেয় নাতাশা বলে “তোমরা না থাকলে আমরা জানি না কি করতাম। তখনই তরঙ্গ বলে তাদের ভিসা হয়ে গেছে কানাডার। সৃজন তাদের অভিনন্দন জানায়।
তারপর বাড়িতে এসে পুলিশ এবং নাতাশার দাদা এবং তার গুন্ডাদের ধরে নিয়ে যায় আর যাওয়ার আগে পুলিশ পর্ণা সাহসিকতার প্রশংসা করে। সকলেই খুশি হয় সেই কথা শুনে। ওদিকে মৌমিতা বাড়ির সব কথা জানিয়ে দেয় ঈশাকে। সব শুনে রেগে যায় ঈশা আর পর্ণাকে কলেজে অনুভব যখন প্রপোস করেছিল সেই ছবিগুলি নিয়ে বসে যায়। পরের দিন সকালে সৃজনের নামে পার্সেল আসে আর পর্ণা সেটা নেয়। সেটা খুলতে গেলে কৃষ্ণা বাধা দেয়। ছবিগুলি দেখে কি প্রতিক্রিয়া হবে সৃজনের? অবশেষে কি শাস্তি পাবে ঈশা?