জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক নিম ফুলের মধু (Neem Phooler Madhu)। একের পর এক চমক ধারাবাহিকটিকে একইভাবে রেখেছে জনপ্রিয়তার শিখরে।টিআরপি তালিকায় কখনও প্রথম বা কখনও দ্বিতীয়স্থানে রাজত্ব করছে ধারাবাহিকটি। তবে কোনও কাহিনীই দীর্ঘ সময় ধরে না চলার কারণে দর্শকরাও বেশ উপভোগ করেন পর্ণার কেরামতি। ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকে গেছে দোলের বিশেষ পর্ব। এছাড়াও ধারাবাহিকে বর্ষার বিয়ে নিয়ে চলছে ধুন্ধুমার কান্ড।
বিয়ের পরের দিন অমিবাবুকে পুলিশ গ্রেফতার করায় নবনীতার কথায় বর্ষাকে দত্ত বাড়িতে রেখেই বাড়ি ফিরে যায় অর্ণব। পরে অমিবাবু নির্দোষ প্রমাণিত হলে নবনীতা কৃষ্ণাকে বলে বর্ষাকে তাদের বাড়িতে দিয়ে যেতে। কিন্তু তার প্রতিবাদ করে পর্ণা। পর্ণা জানিয়ে দেয় নবনীতাকে নিজে এসে নিয়ে যেতে হবে বর্ষাকে। কিন্তু সেই কথায় অহংকারে ঠেস লাগে নবনীতা। তিনি জানিয়ে দেয় তার ছেলের তিনি আবার বিয়ে দেবেন। কিন্তু পর্ণা বুদ্ধি করে পুলিশ দিয়ে ভিসার অনুমোদন গ্রহণ করার অছিলায় নবনীতাকে বাধ্য করে বর্ষাকে নিয়ে যেতে।
পর্ণার তীক্ষ্ম বুদ্ধির সামনে হেরে গিয়ে নবনীতা বাধ্য হয়ে নিয়ে যায় বর্ষাকে। যদিও শশুরবাড়িতেও বর্ষার সঙ্গে একদমই ভালো ব্যবহার করেনি নবনীতা। পদে পদে কথা শোনাতে থাকে বর্ষাকে। ওদিকে বর্ষার কষ্টে দিশেহারা হয়ে যায় পিকলু। সে ঠিক করে সে সুন্দরবনের একটি এনজিওতে চাকরি নিয়ে চলে যাবে। কিন্তু ইন্টারভিউর সময় সব সাইন্সের ছেলে দেখে অবাক হয় পর্ণা। তারপর পর্ণা জানিতে পারে যে পোর্টাল থেকে এই চাকরির খবর পাওয়া গেছিল সেটাই খুলছে না।
এইসব দেখে আরও অবাক হয়ে পর্ণা। ওদিকে সমস্ত ছেলেদেরকেই চাকরি দিয়ে দেয় নিউ লাইফ এনজিও। তারপর বলা হয় তাদের সকলকেই এখনও যেতে হবে তাদের সঙ্গে। পথে তাদের গাড়িতে এসির মাধ্যমে গ্যাস ছড়িয়ে দিয়ে সারা গাড়িতে। সেই গন্ধেই অজ্ঞান হয়ে যায় সমস্ত ছেলেরা। সেই গাড়িতে ছিল পিকলুও। তবে কি পর্ণা পারবে পিকলুর জীবন বাঁচাতে। এখন সেটাই দেখার। তবে তারই মধ্যে এসে গেছে ধারাবাহিকের নতুন প্রোমো। দত্ত বাড়িতে এসেছে নতুন সদস্য।
আরো পড়ুন: রাইয়ের জীবনে শৌর্য্য অতীত! অনির্বাণের সঙ্গে ক্রমশ জমাট বাঁধছে রাইয়ের সম্পর্কের সমীকরণ! প্রেমে মাখা মিঠিঝোরার নতুন প্রোমো!
সন্তানের জন্ম দিয়েছে পর্ণা। তবে কন্যা সন্তান হওয়ার কারনে সদ্য জন্ম হওয়া নাতনীর মুখ দেখেনি কৃষ্ণা। সে পর্ণাকে জানিয়ে দেয় “আমি বাবুর বাবু চেয়েছিলাম পর্ণা, মেয়ে নয়।” শাশুড়ির মুখ থেকে এরকম কথা শুনে হতাশার সঙ্গে পর্ণা সৃজনকে জিজ্ঞাসা করে “তুমি খুশি হয়নি না মেয়ে হয়েছে বলে!” তখন সৃজন মেয়েকে কোলে নিয়ে বলে “আমি খুব খুশি হয়েছি।” তখনই সৃজন তাদের মেয়েকে বলে “মায়ের মতো হতে হবে কিন্তু।” তখনই নিজের ছোট পা দিয়ে সৃজনকে লাথি মারে তাদের মেয়ে। সৃজন বলে “এই মেয়ে তো দেখছি মায়ের থেকেও বেশি তারকাটা হবে।” এই বলেই হাসতে থাকে সকলে। তাহলে আপনারা কারা কারা উৎসাহী পর্ণার মেয়েকে দেখার জন্য?